ইন্টারনেট জগতের ১০ টি আশ্চর্য সত্য, যা শুনলে আপনি থমকে যাবেন!

ইন্টারনেট জগতের ১০ টি আশ্চর্য সত্য, যা শুনলে আপনি থমকে যাবেন: আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য সত্য যা শুনলে হয়তো আপনি থমকে যাবেন। আমি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম কথা গুলো শুনে।

ইন্টারনেট জগতের ১০ টি আশ্চর্য সত্য, যা শুনলে আপনি থমকে যাবেন!
ইন্টারনেট জগতের ১০ টি আশ্চর্য সত্য, যা শুনলে আপনি থমকে যাবেন!

১) ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যাঃ আমরা অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং জানি যে এটার গুরুত্ব অনেক। কিন্তু কেউ কি জানেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা কি হারে বাড়ছে?
২০০২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০০ মিলিয়ন আর এখন সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ২.২ বিলিয়নে। এক দশকে প্রায় ৩৬৭% বেড়েছে।
ভবিষ্যতে কত হবে সেটা ভাবতে পারছেন? এমন একদিন হয়তো আসবে যখন ইন্টারনেট যে ব্যবহার না করবে তাকে পাগল বলবে মানুষ।

২) ফেসবুক সম্পর্কে একটি আশ্চর্য সত্যঃ আমরা সবাই ফেসবুকে ছবিতে, স্ট্যাটাসে লাইক দেই কিন্তু আমরা কি জানি প্রতিদিন কতটা লাইক হচ্ছে? বর্তমানে ফেসবুকের অ্যাক্টিভ ব্যবহারকারির সংখ্যা হচ্ছে ১.২১ বিলিয়ন। সবাই প্রতিনিয়ত ছবি ভিডিও আপলোড করছে। এখন চলুন সেই আশ্চর্য সত্যটা জানি,
ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টেরাবাইট ডাটা আদান প্রদান হয়, প্রতিদিন প্রায় ২.৭ বিলিয়ন লাইক হয় এবং ৩০০ মিলিয়ন ছবি আপলোড হয়।
১০২৪ গিগাবাইটে হয় ১ টেরাবাইট, প্রতিদিন ৫০০ টেরাবাইট ডাটা আদান প্রদান কি বাড়ির কাছে? আমি নিজেই প্রতিদিন অন্তত ১ এমবি আপলোড করি (Proud)

৩) স্প্যামিং সম্পর্কে একটি তথ্যঃ স্প্যামাররা অনেক সচেতন!! সোশাল মিডিয়াতে আমরা যেসব লিঙ্ক দেখি তার অনেক গুলোই স্প্যাম যেখানে ক্লিক করলে আপনার অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আমরা ফেসবুক টুইটার সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়াতে যেসব অ্যাকাউন্ট দেখি তার শতকরা ৪০ ভাগ অ্যাকাউন্ট স্প্যামারদের খোলা। সকল মেসেজের মধ্যে শতকরা ৮ ভাগ মেসেজ পাঠানো হয় স্প্যামারদের দ্বারা।
আমি কয়েকদিন পর পর মেসেজ পাই, আফ্রিকান কোন মেয়ের ছবি দেওয়া প্রোফাইল থেকে পাঠায়, এমন সুন্দর করে কথা বলে যেন আমি তার হাজার বছরের পরিচিত। এদের একটা লক্ষন হল আপনার সাথে ফেসবুকে কথা বলবে না বরং মেইল চাইবে। এরকম দেখলেই সাবধান হয়ে যাবেন, অনেকেই আছেন এমনকি একসময় আমি নিজেও এমনটা করতাম, যেকোনো মেয়ে দেখলেই চ্যাট করতে ইচ্ছা করতো তবে এখন থেকে সতর্ক থাকবেন, বাংলাদেশি মেয়েদের (হয়তো আপনার ভাই-ব্রাদার :D) সাথে চ্যাট করেন কিন্তু আফ্রিকান মেয়েদের সাথে কইরেন না।

৪) গুগল সার্চ সম্পর্কে একটি সত্যঃ হেহেহেহে!! মামার কথা আর কি বলবো, কদিন পর পর শুনি এই কম্পানিকে গুগল কিনে নিয়েছে ঐ কম্পানিকে গুগল কিনে নিয়েছে। সে শুধু বড় হচ্ছেই, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪৫ টার মতো কম্পানি গুগল কিনেছে/মার্জ করেছে। এই গুগল যে একদিন কত বড় হবে তা ভাবলেই আমার মাথা ঘুরে।
প্রতি মাসে গুগল ১০০ বিলিয়ন সার্চ করে তার মানে হল প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪০,০০০ সার্চ রেসাল্ট আমাদেরকে দেয়।
যেদিন শুনেছিলাম যে পৃথিবীর প্রথম মোবাইল ফোন তৈরিকারী কম্পানি মটোরোলাকে কিনে নিয়েছে গুগল সেদিন আসলেই অবাক হয়েছিলাম। এত বড় একটা কম্পানি যেটা কিনতে গুগলকে গুনতে হয়েছে ১২.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তাছাড়া ব্লগার, অ্যান্ড্রয়েড, ইউটিউব, প্লিঙ্ক, ওয়েয, পিকাসা এসব তো আছেই।

৫) ওয়েবকেম সম্পর্কে একটি মজার তথ্যঃ প্রযুক্তির যত সব নতুন নতুন আবিষ্কার দেখি তার সবগুলোই কোন না কোন প্রয়োজনবোধ থেকে এসেছে। ওয়েবকেম নিঃসন্দেহে একটি আশ্চর্য আবিষ্কার যদিও এখন আমাদের কাছে তেমন আশ্চর্য মনে হয় না।
কেমব্রীজ ইউনিভার্সিটির কয়েকজন অলস ছাত্ররা ওয়েবকেম আবিষ্কার করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজের রোমে বসে কফি রোমের খবর রাখা।
Trojan Room coffee pot একটি কফি রাখার পাত্র ছিল কেমব্রীজ ইউনিভার্সিটিতে। ওয়েবকেমটা বানানো হয়েছিল যেন সেই পাত্রের কফি শেষ হয়ে যাচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য যেন বার বার ঐ রোমে না যেতে হয়। ওদের মতো অলস হতে পারলেও ভালো অলসতার বহিঃপ্রকাশ হল আজকের নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় ব্যাবহৃত শক্তিশালী ক্যামেরা।
Dr. Quentin Stafford-Fraser এবং Paul Jardetzky এই দুজন হলেন প্রথম ওয়েবকেমের নির্মাতা।

৬) প্রথম ওয়েবসাইটঃ স্যার টিম বার্নাস লী লন্ডনে জন্ম নেওয়া একজন পদার্থবিধ। তিনি চিন্তা করেছিলেন এমন একটি হাইপারলিঙ্কের কথা যার দ্বারা পৃথিবীর সবাই যুক্ত থাকবে। সেই মহৎ ব্যক্তির অসাধারন আবিষ্কারকে মানুষ উন্নতির চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
info.cern.ch হল বিশ্বের প্রথম ডোমেইন/ওয়েব সার্ভার। ১৯৯১ সালের আগস্ট মাসের ৬ তারিখে এটি পাবলিশ করা হয়।
আপনারা ইচ্ছা করলে এখনি সেই ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন (নাহ এখন না, টিউনটা শেষ করে নিন :P) সাইটটা এখনো আগের মতোই আছে, সাদামাটা করে রেখে দেওয়া হয়েছে যেন ইতিহাসটা অক্ষুন্ন থাকে।

৭) সবচেয়ে দামি ডোমেইনঃ সহজ এবং সুন্দর নামের ডোমেইন সবার কাছেই পরিচিত। আমি নিজে Yahoo তেমন ব্যবহার না করলেও Yahoo নামের ডোমেইনটা আমার প্রিয়। এই সুন্দর এবং সহজে মনে রাখার মতো ডোমেইন গুলো বিক্রি হয় অনেক দামে। আসুন দেখি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ডোমেইনের নাম গুলো।
সবচেয়ে দামি ডোমেইনের নাম হল insure.com দাম, ১৬ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় দামি ডোমেইনের নাম হল sex.com যার দাম ১৪ মিলিয়ন ডলার।
অনেকেই ভাবছেন তাহলে গুগল বা ফেসবুকের ডোমেইনের দাম কত? এখানে যে নাম দুইটা দিলাম সেগুল কোন কম্পানি না, শুধু একটা ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস। দ্বিতীয় ডোমেইনটার দাম কেন যে এত বেশি হল সেটা হয়তো সবাই বুঝতে পেরেছেন। প্রথমটার কারন আমি নিজেও বুঝি নাই (insurance একটি ভালো বিজনেস এটা বুঝি :D)

৮) দেশভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যাঃ অন্যান্য দেশের কথা জানার আগে আসুন দেখে নেই আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা কত।
২০০৫ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির হার ছিল ০.২%
২০০৬ সালে ১%
২০০৭ সালে ১.৮%
২০০৮ সালে ২.৫%
২০০৯ সালে ৩.১%
২০১০ সালে ৩.৭%
২০১১ সালে ৫%
২০১২ সালে ৬.৩%
ভারতে ২০১২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির হার ছিল ১২.৬% এবং একই সালে পাকিস্তানে ছিল ১০%।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা রয়েছে Iceland-এ ৯৭.৮% ইউএসএ তে ৭৮.৩% চিনে ৩৮.৪% এবং সবচেয়ে কম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশ হল উত্তর কোরিয়া যেখানে ০% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছিলাম এই তথ্যটা জেনে! Iceland ছোট একটা দেশ অনেকে হয়তো এই দেশের নাম শুনেননি অথচ তারাই ইন্টারনেট ব্যবহারে এগিয়ে আছে। সমস্যা নেই আমারাও এগিয়ে জাচ্ছি, আমি তো ফেসবুকের নাম শুনেছিলাম কলেজে এসে কিন্তু এখন ক্লাস সিক্সের পলাপাইনও জানে এবং ফেসবুক ব্যবহার করে।

৯) সবচেয়ে বেশি বই লেখকঃ Philip M. Parker হলেন INSEAD নামের একটি বিজনেস স্কুলের একজন প্রফেসর। আমরা জানি বই লিখতে একটি টাইটেল লাগে, কি কি টপিক থাকবে তা লাগে, একটা একক ISBN (International Standard Book Number) লাগে, কভার পেজ লাগে, বেক কভার লাগে আর কি! সবচেয়ে বড় কথা হল বই লিখতে জ্ঞান লাগে।
Philip M. Parker এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০০০ টি বই লিখেছেন। তিনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বইয়ের লেখক।
এই বেক্তির এত কঠিন কাজকে সহজ করেছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট। ভদ্রলোক গণিত, জীববিজ্ঞান এবং অর্থনীতিতে অনার্স করেছেন (আমারতো একটা নিয়েই টানাটানি :P) বই লিখা সহজ কোন কাজ না, বই হল মানুষের দিক নির্দেশনা আর সেটা যদি ভুল দিকে যায় তাহলে সব শেষ!!

১০) ইন্টারনেটের ওজনঃ ইন্টারনেটেরও আবার ওজন আছে??? শুনলে মাথা ঘুরবে না তো কি করবে? তবে কথাটা সত্যি, এই ইন্টারনেট জগতের একটা সত্যিকারের ওজন আছে। আর সেই ইন্টারনেটের ওজনের পরিমাণ শুনলে তো আপনার মাথা আরো ঘুরবে
ইন্টারনেটে যেসব তথ্য আছে তার ওজন 2.0 × 10 ounces
গনিতবিদ কোন ভাই থাকলে একটু সাড়া দেন, আমার মাথা লাঠিমের মতো ঘুরতাসে যাই হোক এই ওজনটা সম্পর্কে একটু ধারনা আমি দিয়ে দেই ১ আউন্স=২৮.৩৪৯৫ গ্রাম। আমার মতো এবারো অনেকেই ওজনের পরিমাণটা বুঝবেন না আমার মতো অংকে কাচা ব্যক্তিবর্গের জন্য বাংলা হিসাব দিলাম
একটা ক্ষুদ্রতম বালির কণার ওজন যতটুকু হবে ততটুকু ওজন হল ইন্টারনেট নামের এই দৈত্যটার।

উপসংহারঃ অনেকগুলো আশ্চর্য তথ্য দিলাম, এবার বোনাস হিসেবে আরেকটি আশ্চর্য এবং খুবী দুঃখের খবর জানাতে চাই।
ইন্টারনেটে যেসব সার্চ হয় তার তিন ভাগের একভাগ হল খারাপ ভিডিও/ছবি নিয়ে :(ধারনা করা হয়েছে, ইন্টারনেটে যত ছবি আছে তার ৮০ ভাগ হল উলঙ্গ মেয়েদের ছবি। :'(
তথ্যটা দিতে গিয়ে অনেক সংশয়ে পরেছি দেবো কি দেবো না। এই কর্কশ এবং তিতা সত্যটা শুনে খুবী কষ্ট পেলাম
উপরের সবগুলো তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা,আমি শুধু একটু অলঙ্কার লাগানোর চেষ্টা করেছি। যদি মনে করেন কোন কিছু বাড়িয়ে লিখেছি তাহলে দয়া করে বকা না দিয়ে সুন্দরভাবে বলুন আমি ঠিক করে দেবো।
Thanks for reading this articels.

এই পোস্টটি এই লিংক এ আগে প্রকাশ করা হইছে: https://goo.gl/PVDi5Q

কিভাবে আপনি একজন YouTuber হবেন (নতুনদেন জন্য)

আসসালামু আলাইকমুু। আশা করি সবাই ভাল আছেন। ইউটিউবে নতুন Algorithm আপডেটের কারণে যারা ইউটিউবে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। নতুন আপডেটের কারনে এখন ভাল কাজ করার এবং প্রফেশনাল কাজ করার একটা ভাল প্লাটফরম আরো জুড়ালো ভাবে চালু হল। এখন ভাল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করলে এখন আগের থেকে আরো ভাল আর্ন হবে। আর নতুন ইউটিউবারদের জন্য নিচের লেখাটা খুবই উপকারে আসবে। 


  তাই প্রথমে আমাদের চ্যানেলে Subscribe করে রাখুন। 

1. একটি Google Account তৈরি করুনঃ
Youtube video আপ্লোড করার জন্য আপনাকে একটি  Google Account তৈরি করতে হবে। আপনি বিনামূল্যে Google একটি Account তৈরি করতে পারবেন। আপনার যদি ইতিমধ্যে একটি gmail বা Google ড্রাইভ ব্যবহার করেন তবে আপনার যথারীতি Google একটি Account আছে।
                                                           পার্ট - ০১

 2. একটি Channel তৈরি করুনঃ
আপনার Youtube এর তৈরি Account টি "Channel ' নামে সংজ্ঞায়িত।  এই Channel টি আপনার আপ্লোড করা সব content এর জন্য 'Hub" এবং আপনি যখন Youtube login করবেন তখন আপনার মন্তব্যগুলো ডিফল্ট হিসাবে আপনার Channel এর নাম ঠিক Google  Account এর মত হবে।  আপনি যদি Youtube অন্য একটি নতুন নাম ব্যবহার করতে চান তবে আপনাকে নতুন একটি Channel তৈরি করতে হবে।
# আপনার Account একাধিক channel থাকতে পারে।
# প্রতিটি  Channel একটি সংশ্লিষ্ট  Google + পৃষ্ঠা পাবে।
নতুন একটি Channel তৈরি করতে উপরের ডানদিকের কোনায় আপনার Account এর নামটিতে Click করুন এবং এর পর "All My Channel ' লিংকটিতে ক্লিক করুন। এইবার আপনার সংযুক্ত Channel গুলো দেখায় এমন একটি page ওপেন হবে। একটি নতুন Channel তৈরি করতে 'Create a New Channel " ক্লিক করুন। আপনার নতুন  Channel এর জন্য একটি নাম লিখতে এবং একটি Category select করতে বলা হবে আপনাকে।
 
# আপনার content সম্পর্কিত একটি Channel এর নাম নির্বাচন করুন। এটি আপনার  Channel কে আরো গ্রহণ্যোগ্য এবং আরো বেশি অনুমোদিত করতে সাহায্য করবে।
3. আপনার Video Recording এর equipment সংগ্রহ করুনঃ
আপনি যা তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে। আপনি যদি চান, যে  Video তৈরি করতে চাচ্ছেন তা TV এর মত অনুভূতি পাক তবে তার জন্য আপনাকে  Decent Camcorders এবং কিছু Editing সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে হবে। আপনি কি নিজেকে Filming এর জন্য  প্রস্তুত করছেন? এইটা আপনি শুধু ওয়েব ক্যাম এর সাহায্যে পেতে পারেন। আপনি যদি "Animation ' আপ্লোড করতে চান তবে আপনার শুধু Animation tools প্রয়োজন হবে। আপনার এর জন্য কোনো  ক্যামেরা প্রয়োজন হবে না।
                                                                পার্ট -

1. বুঝতে হবে কেন আপনার customize প্রয়োজনঃ
আপনার Channel page  দর্শকরা তাদের সময় ব্যয় করবে এবং আপনার Channel এর video দেখে মন্তব্য পোষ্ট করবে কাজে আপনার content গুলোকে সেভাবে তৈরি করা উচিৎ যেন সেখানে professionalism থাকে এবং দর্শকরা আপনার Channel এর প্রতি আগ্রহী হয়।
* Youtube page এর উপরের left corner এর Menu button ক্লিক করে আপনার Channel কে Open করুন এবং 'My Channel" কে নির্বাচন করুন।
2. একটি profile image সংযুক্ত করুনঃ আপনার পোষ্ট করা প্রতিটি Video এর সাথে profile image দৃশ্যমান হবে। Profile image যুক্ত করার জন্য আপনাকে Google নিয়ে যাওয়া হবে তারপর আপনার Youtube Channel page এর পরিবর্তন দেখা যাবে।
 3. কিছু Channel art যোগ করুনঃ আপনার Channel এর একটি ব্যানার থাকে যা পৃষ্ঠার উপরে প্রদর্শিত হয় এবং দেখা যায় যে viewers PC থেকে না Mobile device থেকে Channel visit করছে। ব্যনারটি খুবই প্রয়োজন কেননা এটি আপনার Channel এর Branding এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সত্য যে এই Channel art আপনাকে ভালো অবস্থানে যেতে সাহায্য করবে। *আপনি Channel art, Google + page আপ্লোড করা image থেকে বা সরাসরি আপনার PC থেকে image আপ্লোড এর মাধ্যমে add করতে পারবেন।
 4. Description যুক্ত করুনঃ আপনার Channel এর বিবরণ Youtube এর অনুসন্ধান ফলাফলে প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের আপনার Channel এর প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে এবং তা আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়। একটি ভালো এবং সত্য বিবরণ দর্শকদের যেমন Channel এর প্রতি আকর্ষণের সৃষ্টি করে ঠিক তেমন একটি ভুল, অসত্য বিবরণ subscribers দের channel থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
 5. Link যুক্ত করুনঃ আপনি আপনার Channel এর Section সম্পর্কে Link যোগ করতে পারেন। এই Link গুলো দর্শকদের সহজেই ইন্টারনেটে আপনার অন্যান্য Page গুলোতে Access করতে দেয়। আপনার দর্শকদের এই Link গুলি অন্য সাইটে বা অনলাইন স্টোর থেকে সরাসরি ব্যবহারের নির্দেশ দিন।

6. অন্য Channel গুলো পরিদর্শন করুনঃ আপনি যদি আপনার channel কে customize করতে যেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন তবে অন্য জনপ্রিয় Channel গুলো দেখুন। সেখান থেকে আপনি আপনার Channel এর সুন্দর Identity তৈরির বেশ ভাল ধারনা পাবেন।
                                                           পার্ট -
 1. আপনার video টি ধারণ করুন এবং সম্পাদন করুনঃ আপনি আপনার video এর জন্য কাজ করতে অনেক বেশি আকর্ষণ পাবেন যদি আপনি একটু ভিন্ন চিন্তার মাধ্যমে শৈল্পিক ভাবে ভিন্ন ধর্মি কিছু নিয়ে আসতে পারেন। যখন Video ধারণ এবং সম্পাদন করবেন তখন নিচের Tips গুলোতে গুরুত্ব দেবেন
 
*Youtube video গুলির একটি ভূমিকা(intro) থাকা উচিৎ, বিশেষ করে যদি তারা একটি সিরিজের অংশ হয়। Intro 10 সেকেন্ডের চেয়ে বেশি হওয়া উচিৎ হবে না। আপনার এমন content add করা উচিৎ যেন তা দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। Intro আপনাকে, আপনার channel কে এবং আপনার content সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয় কাজে Intro খুব সাবলিল এবং আকর্ষণীয় করে তোলা উচিৎ।
 
* ভাল ফলাফলের জন্য নতুনত্ব আনুন। নতুনত্ব দর্শকদের ভিন্নধর্মী দৃশ্যের সাদ এনে দেয়। এই নতুনত্ব কে দর্শকরা সাদরে গ্রহণকরে এবং আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। কাজে Video তে নতুনত্ব আনা খুব জরুরী।
 
* অপ্রোয়োজনীয় দৃশ্য এবং ত্রুটি দূর করুন। Youtube যেহেতু live না, কাজে আপনি সময় শ্রোম এর মাধ্যমে দোষ ত্রুটি ইচ্ছা করলেই দূর করতে পারেন। 'Uhs" এবং 'Ummms" কে এড়িয়ে চলুন। স্ক্রিপ্ট এর অনুশীলন ভালো মানের Video প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। কাজে video ধারন আগে Video এর Topic এর স্ক্রিপ্ট করে নেওয়া উচিৎ।
2. You Tube এর জন্য আপনার video টি Encode করুনঃ Video আপ্লোডিং এর পরে যেন Video এর গুনাগুন নষ্ট না হয় সে জন্য Video টি ধারণ করুন এবং সম্পাদন এর পর Video টি Encode করুন। Video Encoding এর জন্য অনেক প্রোগ্রাম আছে যেমন Sony Vegas, Avidemux এবং Windows movie maker. 
* Video গুলির সর্বচ্য সামঞ্জস্য এবং সর্বচ্য গুনাগুন সম্পূর্ণ compression এর জন্য H.264 কোডের ব্যবহার করে MP4 বিন্যাস রাখা প্রয়োজন।
 3. আপনার Channel Video আপ্লোড করুনঃ
 Youtube page এর উপরের ডান কর্নারের 'Upload' বাটন ক্লিক করুন। Video আপ্লোড করার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি আপনার সঠিক Channel টিতে sign in আছেন।
 
* Video আপ্লোডের সময় ভালো ভাবে দেখে নিন যে Video টি public sharing প্রাইভেসি আছে। কেননা public sharing থাকলেই visitors রা search দিলে আপনার আপ্লোড কৃত Video টি খুঁজে পাবে।
 
*Uploading এবং conversion এর প্রকৃয়া পর্যাপ্ত পরিমানে সময় নিতে পারে বিশেষত যদি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন টি দুর্বল হয়। *আপনি Video আপ্লোডের পরিবর্তে সরাসরি ওয়েব ক্যামেরার সাহায্যে video রেকর্ড করতে পারেন। ক্ষেত্রে আপনাকে অন্যান্য অপশনের সাহায্যে Video টি সম্পাদন করতে হবে।
 4. Description যুক্ত করুন
প্রতিটি Video এর অন্ততপক্ষে একটি basic Description থাকা উচিৎ যা দর্শকদের Video টির মূল বিষয় সম্পর্কে idea প্রদান করে এবং এই Description টি Thumbnail আকারে দৃশ্যমান হয় যখন video টি সার্চ রেজাল্ট দৃশ্যমান হয়। *Description এর জন্য কয়েক মিনিটস ভাবুন যেন ইউনিক কিছু যুক্ত করতে পারেন এবং Title কপি করা থেকে বিরত থাকুন।
5. ট্যাগস যুক্ত করুন
 Tags হচ্ছে এমন কিছু শব্দ বা phrase যা video এর। catagory করতে সাহায্য করে। যখন কেউ ভিন্য কোনো Video দেখবে তখন Tags আপনার Video টিকে Related video হিসাবে তাদের সামনে তুলে ধরবে। আপনার Tags সঠিক সে বিষয়ে নিশ্চিত হউন যেন ভালো অডিয়েন্স পান। আপনার সব Video এর তিনটি Tags থাকা উচিৎ। টাগস যেন তিনটির বেশি না হয়।
 
*আপনার নিজের ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের সাথে video ট্যাগ করুন। আপনার নাম বা ব্র্যান্ড Google + ba Youtube এর মাধ্যমে search করলে আপনার Video গুলো প্রদর্শিত হবে।
* আপনার video এর মত একই category এর Video গুলো দেখুন। তারা কিভাবে ট্যাগগুলো ব্যবহার করছে তা দেখুন। আপনার Video এর সাথে সম্পর্ক আছে এমন ট্যাগগুলো নির্বাচন করুন।
 * Synonym ভুলে যাবেন না।
 6. End Screen:  আপনার ভিডিওতে সর্বোচ্চ ৩টি End Screen যোগ করতে পারবেন। 

  
*Video তে অতিরিক্ত টিকার ব্যবহার পরিহার করুন কেননা এতে দর্শকরা আপনার Video থেকে দূরে সরে যেতে পারে এবং অনেক টিকা মূল বিষয় কে খুব জটিল করে তোলে দর্শকের কাছে।
 7. আপনার Video টি শেয়ার করুন যখন আপনার Video, Upload, tagged, description এবং annotation এর কাজ সম্পূর্ণ তখন আপনার Video টি সমস্ত পৃথিবীর সাথে share করার জন্য প্রস্তুত। আপনি অনুসন্ধান ফলাফলের মাধ্যমে কেবল কিছু দর্শক সংগ্রহ করবেন, কিন্তু এটি আপনার Video তে অন্য বিজ্ঞাপন দিতে সহায়তা করতে পারে। আপনার ব্লগে Video এর লিংক দিন, Facebook, Google + পোষ্ট দিন, আপনার Twitter followers দের জানান যে একটা নতুন Video পাব্লিস করেছেন। যত বেশি viewers আপনার video দেখবে তত বেশি popularity পাবে আপনার video.
 8. আপনার Video এর নজরদারি করেন আপনি যদি নির্দিষ্ট মান্দন্ডের ভিত্তিতে Video টি প্রস্তুত করতে পারেন তবে viewers এর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি আপনার Video এর শুরুতে একটি বিজ্ঞাপন স্থাপন করতে পারে এবং এটির জন্য Ad Sense Account প্রয়োজন হবে।
9. নিয়মিত আপ্লোড করুন একটি ভালমানের channel নিয়মিত video আপ্লোড করে। সবচেয়ে ভালো Youtube পার্স্নালিটি যিনি তিনি অন্তত পক্ষে সপ্তাহে ১বার হলেও video আপ্লোড কপ্রে।

 *কিছু popular channel এর রিলিজ শিডিউল লখ্য করুন তাহলে খুব সহজে বুঝে যাবেন আপনাকে কি পরিমান Video আপ্লোড করতে হবে।
আইটি ও টেকনোলজি বিষয়ক আমার চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না
                                     আমাদের চ্যানেল আমাদের ফেসবুক