চুল লম্বা, ঘনো, সিল্কি, শাইনি, স্ট্রেইট ও খুশকি মুক্ত করার সহজ নেচারাল ঘরোয়া টিপস।

চুল লম্বা, ঘনো, সিল্কি, শাইনি, স্ট্রেইট ও খুশকি মুক্ত করার সহজ নেচারাল ঘরোয়া টিপস।
চুল লম্বা, ঘনো, সিল্কি, শাইনি, স্ট্রেইট ও খুশকি মুক্ত করার সহজ নেচারাল ঘরোয়া টিপস।

চুল লম্বা,ঘনো,সিল্কি,শাইনি,স্ট্রেইট ও খুশকি মুক্ত করার সহজ নেচারাল ঘরোয়া টিপস: চুল স্ট্রেট করতে বেশ কিছু কেমিক্যাল ছাড়াও হিট দেওয়া হয়। আর এই স্ট্রেট চুল নিয়মিত পরিচর্যা না করলে রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে। চুল পড়া, চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া, মাথার স্কাল্পে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই পার্লারে না গিয়ে ঘরে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল স্ট্রেট করা যায়। এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না আর একটু সময় লাগে। তবে চুলের কোনো ক্ষতি হয় না। চুল পরা বন্ধ হয়। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুল হয় সোজা, রেশমী, কোমল।



নারিকেলের দুধ
নারিকেলের দুধে যে কন্ডিশনার থাকে তা চুলকে সোজা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুল চকচকে হয়। নারিকেলের দুধে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল প্রপার্টি আছে, যা স্কাল্পে কোনো রকম ইনফেকশন হতে দেয় না।

এক কাপ তাজা নারিকেলের দুধে একটি লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করে চুলে আর মাথার স্কাল্পে এই মিশ্রণ ভালো মাখুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ আটকে দিন। এর ওপর পাতলা তোয়ালে গরম পানিতে জড়িয়ে নিন। ৩০ মিনিট এভাবে রেখে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়িয়ে ফ্যানের হাওয়ায় শুকিয়ে নিন।

দুধ

দুধে থাকা প্রোটিন চুল নরম আর মসৃণ করে। এ ছাড়া চুলে জট পড়তে দেয় না। আধা কাপ দুধ, আধা কাপ পানিতে মেশান। এবার এটি চুলে স্প্রে করে নিন। এরপর চুল আঁচড়িয়ে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে আবার চুলে স্প্রে করুন। ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে নিন। দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ও মাথায় লাগাতে পারেন। মাথায় মধু ও দুধ লাগিয়ে দুই ঘণ্টা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। চুল স্ট্রেট হবে।

ডিম আর অলিভ অয়েল

ডিম চুল মজবুত ও উজ্জ্বল করে। অন্যদিকে অলিভ অয়েল চুলে আর্দ্রতা জোগায়। দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে চুল স্ট্রেট করা যায়। দুটি ডিম ফেটিয়ে নিন। এতে ৪ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে আবার ফেটিয়ে নিন। ভালো করে চুলে লাগান এই মিশ্রণ। এরপর একটি বড় দাঁড়ের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। এরপর মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। আধা ঘণ্টা এভাবে রেখে চুল শ্যাম্পু করুন।

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটি দিয়ে খুব সহজেই মাথার চুল প্রাকৃতিক উপায়ে সোজা করা যায়। মুলতানি মাটিতে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মাথায় লাগিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।

এ ছাড়া চুল রুক্ষ হলে মুলতানি মাটির সঙ্গে একটি ডিম ও দুই চা চামচ চালের গুঁড়ার মিশ্রণ বানিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। চুল ধুয়ে মাথায় দুধ স্প্রে করে ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এভাবেও চুল সোজা করা যাবে।

কলা আর মধু

একটি কলা, কয়েক চামচ মধু, আধা কাপ দই, তিন চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে ভলো করে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। একটি তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে নিন।


ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আরো অনেক উপকারি পোস্ট পেতে বেশি বেশি একটিভ থাকেন।👍👍

For more beauty tips click on it


ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল কারী ক্রীম |

ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল কারী ক্রীম |
ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল কারী ক্রীম |

ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল কারী ক্রীম আর হয়ে উঠুন দাগ হীন সতেজ ফর্সা ত্বকের অধিকারী।

বাজারের কেমীকাল যুক্ত ক্রীম পরীহার করে নিজেই ঘরে বসে বানিয়ে ফেলতে পারবেন অতি সহজেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল ও  ফর্সাকারী এই ক্রীম টি।

***ঘরে বানানো এই ক্রীম এর উপকারিতাঃ

১, আপনার ত্বক এর কালো দাগ দুর করবে
২, ব্রন ও ব্রন এর দাগ দুর করবে
৩, রোদে পুরে যাওয়া ত্বক পুনরায় সতেজ ও উজ্জ্বল করবে
৪, মেছ্তা এর দাগ কমাবে ও মেছতা প্রতিরোধ করবে
৫, ত্বক কোমল ও মসৃণ করবে
৬, ত্বক এর অকাল বার্ধক্য দুর করবে
৭, ত্বক ফর্সা, সতেজ ও প্রাণবন্ত করবে।

****নীচের লীঙ্কে প্রবেশ করে ফ্রী ভিডিও দেখে শিখে ফেলুন এই ত্বক ফর্সা ও প্রাণবন্ত কারী ক্রীম এর রেসিপী-


Subscribe here for more Beauty and Fitness Tips⇰ Sandhy's beauty hub



মাত্র ২টি উপাদানে গর্জিয়াস চুল: ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট

চুলে জট লেগে থাকা এখন কমবেশি সবারই সমস্যা। ধুলোবালি, কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্টস এর ব্যবহার আর অত্যধিক তাপ আমাদের চুলের অবস্থা তো তেজপাতা বানিয়েই ফেলে। ফলাফল = চুল আঁচড়াতে বসলেই দেখা যায় একগাদা চুল ছিঁড়ে যায়। চুলকে সফট অ্যান্ড শাইনি করার জন্য আমরা কত পার্লারে যাচ্ছি, ট্রিটমেন্ট করাচ্ছি। আবার হাজার হাজার টাকা খরচ করে কত রকমের প্রোডাক্টস কিনছি। কিন্তু আমরা কিন্তু অনেকেই জানি না চুলের যত্নের জন্য আমাদের সবার বাসাতেই খুব সহজলভ্য একটা উপাদান আছে, ইন ফ্যাক্ট সহজলভ্য বললেও কম হয়ে যাবে আসলে, সেটা হলো চাল! হ্যা, আমি ভাতের চালের কথাই বলছি। ভাবছেন চালের সাথে চুলের কি সম্পর্ক? আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম সহজ একটা হেয়ার কেয়ার টেকনিক শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটা আমি আমার নিজের চুলে করে থাকি। সেটা হল রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট! 

চলুন তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিই ফারমেন্টেটেড রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্টের জন্য আমাদের কী কী লাগছে।  
এই ফারমেন্টটেড রাইস ওয়াটার হেয়ার ফলিকলগুলোকে ডিমাত্র ২টি উপাদানে গর্জিয়াস চুল: ফার্মেন্টেটেড রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট
চুলে জট লেগে থাকা এখন কমবেশি সবারই সমস্যা। ধুলোবালি, কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্টস এর ব্যবহার আর অত্যধিক তাপ আমাদের চুলের অবস্থা তো তেজপাতা বানিয়েই ফেলে। ফলাফল = চুল আঁচড়াতে বসলেই দেখা যায় একগাদা চুল ছিঁড়ে যায়। চুলকে সফট অ্যান্ড শাইনি করার জন্য আমরা কত পার্লারে যাচ্ছি, ট্রিটমেন্ট করাচ্ছি। আবার হাজার হাজার টাকা খরচ করে কত রকমের প্রোডাক্টস কিনছি। কিন্তু আমরা কিন্তু অনেকেই জানি না চুলের যত্নের জন্য আমাদের সবার বাসাতেই খুব সহজলভ্য একটা উপাদান আছে, ইন ফ্যাক্ট সহজলভ্য বললেও কম হয়ে যাবে আসলে, সেটা হলো চাল! হ্যা, আমি ভাতের চালের কথাই বলছি। ভাবছেন চালের সাথে চুলের কি সম্পর্ক? আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম সহজ একটা হেয়ার কেয়ার টেকনিক শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটা আমি আমার নিজের চুলে করে থাকি। সেটা হল রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট!

চলুন তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিই Rice Water বানানোর ভিডিও টিউটোরিয়াল 
এই ফারমেন্টটেড রাইস ওয়াটার হেয়ার ফলিকলগুলোকে ডিপলি নারিশ করে, হেয়ারফল কমায়, চুলে জট বাঁধতে দেয় না এবং স্কাল্পকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে করে তোলে হেলদি, সফট, শাইনি আর গর্জিয়াস!
একটানা কমপক্ষে দুই মাস, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এই ফারমেন্টেড রাইস ওয়াটার চুলে ব্যবহার করেই দেখুন । তফাৎটা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন । Stay Beautiful, Stay Gorgeous.
ফার্মেন্টেটেড রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট হেয়ারফল কমায়, চুলে জট বাঁধতে দেয় না এবং স্কাল্পকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে করে তোলে হেলদি, সফট, শাইনি আর গর্জিয়াস!
একটানা কমপক্ষে দুই মাস, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এই ফারমেন্টেড রাইস ওয়াটার চুলে ব্যবহার করেই দেখুন । তফাৎটা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন । Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

আপনি অনেক দিন দরে বাতের ব্যথায় ভুগছেন?জেনে নিন উপশমের উপায়।

http://www.youtubehelpbd.com/
আপনি অনেক দিন দরে বাতের ব্যথায় ভুগছেন?জেনে নিন উপশমের উপায়।


বাত আমাদের দেশের অনেক মানুষের একটা সাধারণ সমস্যা। আমাদের শরীরে রক্তের সঙ্গে ইউরিক এসিড নামে এক প্রকার উপাদান থাকে, যার মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন অস্থি-সন্ধি বা জয়েন্টে প্রদাহ হয়, একে গাউট বা গেঁটেবাত বলা হয়।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস শরীরের যে কোনো অস্থিসন্ধিতে (বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুলির অস্থিসন্ধি যা হাঁটার সময় ভাঁজ হয়ে যায়) গেঁটেবাত বেশি হয়। এর ফলে অস্থিসন্ধিতে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে ও ব্যথার স্থান লাল হয়ে যায় ও স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।

চিকিৎসকের মতে, জেনেটিক কারণে ফুলে যাওয়া, কারো শরীরে ইউরিক এসিডের উৎপাদন বেশি হলে এবং কিডনি ফেইল্যুর বা ত্রুটিযুক্ত রেচনের জন্য রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন লিউকেমিয়ায় (Leukemia বা leukaemia) ভুগলে, হাইপারথায়রইডিজম বা থায়রইয়েড হরমোন বেশি থাকলেও এ রোগ হতে পারে।

এছাড়া ডাই-ইউরোটিক ও পাইরাজিনামাইড ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন, মদ্যপানের অভ্যাস, লেড পয়জনিং ও গ্লুকোজ-৬ ফসফেটের অভাব থাকলে এ রোগ দেখা দেয়।

বাত হলে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়া ফুলে গিয়ে লাল হয়ে যায়। পায়ের পাতায় ও হাঁটতে ব্যথা হয়, পা বা পায়ের পাতা ফুলে যায়, গোড়ালি ও কব্জি ব্যথা, পায়ে গিড়া ও মাংসপেশী ফুলে যায়।

একটু বয়স হলেই আমাদের চারপাশের অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রোগ হলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। অথচ কয়েকটি সহজ উপায় অনুসরণ করলেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা যায়। নিম্নে সেই উপায়গুলো আলোচনা করা হলো:


  • * ব্যথার জায়গায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট গরম বা ঠাণ্ডা ভাপ দিন। এতে আরাম পাওয়া যায়।

  • * অনেক্ষণ এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। প্রয়োজনে একঘণ্টা পর পর অবস্থান পরিবর্তন করুন।

  • * মেরুদণ্ড ও ঘাড় নিচু করে কোনো কাজ করবেন না।

  • * বিছানায় শোয়া ও উঠার সময় যেকোন একদিকে কাত হয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে শোবেন ও উঠবেন।

  • * পিড়া, মোড়া বা ফ্লোরে বসবেন না। সবসময় চেয়ারে মেরুদণ্ড সোজা করে বসবেন।

  • * নরম ফোম ও জাজিমে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আপনার জন্য উঁচু, শক্ত ও সমান বিছানাই ভালো।

  • * ভারী ওজন বা বোঝা বহন এড়িয়ে চলতে হবে।

  • * নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।

  • * হাই হিল জুতা না পরে বরং নরম জুতা পরার অভ্যেস করুন।

  • * উঁচু কমোড ব্যবহার করুন। নিচু টয়লেট ব্যবহারে ব্যথা বাড়তে পারে।

  • * শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পেট ভরে না খেয়ে বরং অল্প অল্প করে বার বার খাবেন।

১৫ কেজি ওজন কমায় এক চামুচ জিরা ! জেনে নিন খাওয়ার নিয়মাবলী | YouTube help bd

http://www.youtubehelpbd.com/


জিরা একটি পরিচিত মসলার নাম, যা আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার হয়। খাবার সুস্বাদু করা ছাড়াও জিরার আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিরার এন্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের মেটাবলিজমের হার বাড়ায়। এটি আমাদের দেহের ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে।

পেটের মেদ কমাতে এটি খুবই কার্যকর। জিরা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাকস্থলীতে গ্যাস জমতে বাধা দেয়।

এটি শরীরে খারাপ চর্বি ও কলেস্টোরল তৈরিতে বাধা দেয়। জিরা শরীরের মেদ কমায় ও হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

এছাড়া জিরাকে জাদুকরি মসলাও বলা হয়। কারণ মাত্র এক চামুচ জিরা প্রতিদিন খেলে আপনার ওজন ১৫ কেজি কমে যেতে পারে! কী বিশ্বাস হচ্ছে না!

তাহলে আসুন জেনে নিই, জাদুকরি জিরার মিশ্রণ কীভাবে আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

জিরার মিশ্রণ তৈরির প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার

মিশ্রণ (১) : এক টেবিল চামুচ আস্ত জিরা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ছেঁকে এতে অর্ধেক লেবুর রস মেশান। এই পানি প্রতিদিন সকালে পান করুন একটানা ১৫ দিন। দ্রুত মেদ কমাতে এ মিশ্রণ অসাধারণ কাজ করে।

(২) : এক চা চামুচ জিরার গুঁড়া ৫ গ্রাম টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটানা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন এটি টকদইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান।

(৩) : এক গ্লাস পানিতে তিন গ্রাম জিরা পাউডার এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে পান করুন।

(৪) : সমপরিমাণ আদা ও সিদ্ধ গাজর কুচিয়ে নিন। আপনি চাইলে আরও দু এক পদের সিদ্ধ সবজি দিতে পারেন। এবার এসব

উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে এর মধ্যে অল্প জিরার গুঁড়া, সামান্য লেবুর রস কুচানো আদা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। রাতে অন্যকিছু ভারী খাবার বাদ দিয়ে এই সালাদ খান।

প্রতিদিন উল্লেখিত নিয়ম মেনে চললে দেখবেন দ্রুত আপনার ওজন স্বাভাবিকে এসেছে।

post by google
আমরা চুলে তেল দেই কেন?

আমরা চুলে তেল দেই কেন?

আমরা প্রত্যেকেই চুলের যত্নে তথা সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন প্রকার তেল ব্যবহার করি। বাজারে যেসব চুলের তেল পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবগুলোই “খনিজ তেল” বা “মিনারেল ওয়েল”। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খনিজ তেল হাইড্রোকার্বন বা ক্যান্সারের অনুঘটক।  মূলত খনিজ তেল খনিজ তেল একটি বিতর্কের বিষয়।
oils আমরা চুলে তেল দেই কেন?

খনিজ তেল কী?

খনিজ তেল একপ্রকার বর্ণহীন, গন্ধহীন উচ্চতর আলকেন যা খনিজ উৎস হতে উৎপন্ন। সহজ ভাষায় খনিজ তেল হল এক প্রকার অপরিশোধিত তেল। এই তেল আপনার গাড়িতে ব্যবহৃত তেল অর্থাৎ পেট্রোলিয়ামের মতোই। মূলত পেট্রোলিয়ামকে  পরিশোধিত করে গ্যাসোলিন এবং পেট্রোলিয়াম প্রস্তুত করা হয়। অতঃপর, একে পরিশ্রুত করার মাধ্যমে বিভিন্ন পিচ্ছিল প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়। এই খনিজ তেল আলকেন এবং সাইক্লোআলকেন। এর ঘনত্ব ০.৮ গ্রাম/সেমি^৩। বাণিজ্যিকভাবে এই তেলকে  বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাধ্যমে নামকরণ করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একে সাদা তেল, তরল প্যারাফিন কিংবা তরল পেট্রোলিয়াম বলা হয়। মূল বিষয় হলো, অপরিশোধিত তেলে বিষক্রিয়া এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিভিন্ন পদার্থ রয়েছে। কিন্তু এই তেলকে সঠিকভাবে পরিশোধন করা হলে, তা ক্ষতিকারক পদার্থগুলো ধ্বংস করে ফেলে। তবে প্রকৃতপক্ষে, এই তেলকে সঠিকভাবে পরিশোধন করা হয় না। তাই বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী পদার্থগুলো ধ্বংস হয় না।
খনিজ তেল কম মূল্যের একটি পণ্য এবং খুব কম পরিমাণে উৎপাদিত হয়। হালকা এবং ভারী উভয় প্রকার খনিজ তেল বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
খনিজ তেলে তিন প্রকার পদার্থ বিদ্যমান। যথা –
১. আলকেন
২. ন্যাফথেনিক তেল (Nephthenic Oil) যা সাইক্লো আলকেন দ্বারা গঠিত;
৩. আরোম্যাটিক তেল যা আরোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন দ্বারা গঠিত।

খনিজ তেল কী ক্ষতিকর?

খনিজ তেল মূলত জৈব উপাদান। যদিও এটি অপরিশোধিত তেল হতে উৎপন্ন বলে এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। তবে এটি মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্থ করলেও মারাত্নক কোনো ক্ষতি হয় না। এই তেল ব্যবহার করলে মাথাব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আবার, এই তেল ব্যবহার করলে ভাল ঘুমও হয়। যদিও এই তেলের ক্ষতিকারক দিক বেশি, তবুও এটি সস্তা শ্যাম্পুর তুলনায় অনেকটা ভাল।

টুথব্রাশ পাল্টাবেন কতদিন পরপর?


টুথব্রাশে জমে থাকে জীবাণু। ছবি : সংগৃহীত
টুথব্রাশ, বিছানার চাদর, তোয়ালে- নিত্যপ্রয়োজনীয়, নিত্যব্যবহার্য জিনিস থেকে হতে পারে বিভিন্ন অসুখ। কেননা বারবার ব্যবহারের পর এগুলো হয়ে পড়ে জীবাণুযুক্ত এবং ব্যবহারের অনুপযোগী।   
টুথব্রাশে সাধারণত ১০ মিলিয়ন জীবাণু থাকে। এর মধ্যে থাকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফ্লু তৈরিকারী ভাইরাসও। এমনকি হেপাটাইটিস সি-র ভাইরাসও পাওয়া যায় টুথব্রাশের ভেতর। তাই একজনের ব্রাশ কখনোই আরেকজন ব্যবহার করবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘প্রতি তিন মাস পরপর টুথব্রাশ বদলানো উচিত। প্রতিবার ব্যবহারের পর ব্রাশকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর শুকাতে হবে। আর ব্রাশ সংরক্ষণ করার জন্য ঢাকনাওয়ালা ক্যাবিনেট ব্যবহার করতে হবে।’  
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ‘এক মাস পরপর ডিশওয়াশার দিয়ে ব্রাশ পরিষ্কার করুন। পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ফুটান। এরপর ব্যবহার করুন।’ এমনটাই জানা যায় যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মিররে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে।
এ ছাড়া তোয়ালে ও চাদর বদলানোরও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আসুন জানি সেগুলোও।
তোয়ালে
গোসলের তোয়ালে মৃতকোষ শোষণ করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াগুলো শোষণ করে। স্যাঁতসেঁতে তোয়ালেতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। একজনের তোয়ালে অন্যজন ব্যবহার করা মানে এসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অন্যের শরীরেও ছড়িয়ে পড়া। তিনবার ব্যবহারের পর তোয়ালে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
চাদর
মানুষের শরীরের মৃতকোষ, ব্যাকটেরিয়া, দেহের ময়লা এসব জমে থাকে চাদরে। এটি শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রতি সপ্তাহে চাদর পরিষ্কার করা দরকার। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আলো-বাতাসপূর্ণ ঘর জীবাণু ধ্বংস করে।’ তাই চাদর ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে ঘরের জানালাগুলো খুলে দিন।

পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে পানি আসে কেন? জানলে তাজ্জব বনে যাবেন আপনিও।


পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে পানি আসে কেন? জানলে তাজ্জব বনে যাবেন আপনিও
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালে এবং পানি আসে, একথা সবারই জানান। কিন্তু প্রশ্ন হল- কেন এমনটা হয়? আসুন, দেখা যাক এবিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে।
পেঁয়াজে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড সালফক্সাইড নামের এনজাইম। তা থেকেই পেঁয়াজের কোষে তৈরি হয় সালফেনিক অ্যাসিড। সাধারণভাবে এই
এনজাইম ও অ্যাসিড পেঁয়াজের ভিতর আলাদা আলাদা কোষে থাকে। কিন্তু পেঁয়াজ কাটবার সময় তাদের সংমিশ্রণ ঘটে। যার ফলে তৈরি হয় প্রোপানেথিওল এস-অক্সাইড নামের এক উদ্বায়ী সালফার যৌগ।
এই যৌগ বাতাসে মিশে গিয়ে আমাদের চোখ পর্যন্ত পৌঁছয়, এবং চোখে স্বাভাবিকভাবেই যে জল থাকে সেই জলের সংস্পর্শে এসে তৈরি করে সালফিউরিক অ্যাসিড। এই সালফিউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ার ফলেই আমাদের চোখ জ্বালা করে ওঠে, আর তার পরিণামে আমাদের চোখের অশ্রুগ্রন্থিগুলি অশ্রু ক্ষরণ করা শুরু করে দেয়। এই কারণেই পেঁয়াজ কাটার সময় আমাদের চোখে জল এসে যায়।

জানেন কি, ঘুমের মধ্যে কেন কথা বলে ওঠে মানুষ?


মানুষ যখন ঘুমের মধ্যে থাকে, তখনও কথা বলে ওঠে। কিন্তু এভাবে ঘুমের ঘোরে পরিচিতজনকে কথা বলতে দেখে অনেকের মনেই এ প্রশ্ন উঠেছে৷ তবে পাওয়া যায়নি এর কোনো সদুত্তর৷ অনেকেই বলে থাকেন, এ আসলে একটা রোগ৷ কিন্তু সত্যিই কি তাই! কেন ঘুমের মধ্যেও কথা বলেন মানুষ?
চলতি ধারনা স্বপ্ন দেখার কারণেই ঘুমের মধ্যে কথা বলেন মানুষ৷ অনেক সময় তা বিড়বিড় করে৷ আবার কখনো কখনো পরিষ্কার কথোপকথনও শোনা যায়৷ হালকা ঘুম বা গভীর ঘুম- যে কোনো অবস্থাতেই কথা বলে উঠতে পারেন মানুষ৷ তবে জেগে থাকা অবস্থা থেকে ‘নন ব়্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা জেগে থাকা অবস্থা থেকে ‘ব়্যাপিড আই মুভমেন্ট’-এর দিকে যখন মানুষ এগোয়, তখনই ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়ে৷

কিন্তু কেন এই ঘুমের বিভিন্ন অবস্থায় কথা বলে ওঠেন মানুষ? স্রেফ স্বপ্ন দেখার কারণেই এ জিনিস হয় না৷ এর পিছনে থাকে বিভিন্ন কারণ৷ 

ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে উদ্বেগ, ডিপ্রেশন, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদির কারণে এই প্রবণতা দেখা যায়৷ কখনো অ্যালকোহলের প্রভাবও কাজ করতে পারে৷ এছাড়া প্রচণ্ড জ্বরের মতো অসুখ হলেও ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়৷ বংশগত কারণেও অনেকে এ কাজ করে থাকেন৷ তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, ‘নাইট টেরর’ ৷ কোনো কারণে রাত বা ঘুম নিয়ে যদি কারো ফোবিয়া থাকে, তা থেকেও এই প্রবণতা তৈরি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সঠিক কারণটা খুঁজে পাওয়া জরুরি৷
সাধারণভাবে এ কোনো অসুখ নয়৷ কিন্তু ঘুমের ব্যাঘাত যদি ঘটে তাহলে নানারকম শারীরিক অসুবিধা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে চিকিসকের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়৷ এছাড়া ফোবিয়া থাকলে মনোবিদের পরামর্শ নিলে মূল সমস্যাটিই সমূলে নির্মূল হবে৷

চুল পড়া কমাবে পেয়ারা পাতার রস।


চুল পড়া কমাতে পেয়ারা পাতার রস ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই রস ব্যবহারে চুল মসৃণ ঝকঝকেও হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারা পাতায় ভিটামিন বি এবং মিনারেলে ভরপুর। ভিটামিন বি চুলকে স্বাস্থ্যকর করে। আর এতে থাকা ভিটামিন বি-২ নষ্ট হয়ে যাওয়া হেয়ার রুটের কোষ মেরামত করে চুলকে মসৃণ করে তোলে।
তবে পেয়ারা পাতার রস সরাসরি চুলের গোঁড়ায় না দেয়াই ভাল। অনেকগুলো পরিষ্কার পাতা নিয়ে তা এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেই পানি ফুটতে দিতে হবে। এতে পেয়ারা পাতার সমস্ত গুণাগুণ পানিতে চলে আসবে।
পরে এই পানি ঠাণ্ডা করে ছেঁকে একটি শিশিতে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সংরক্ষিত পানি প্রতিদিন গোসলের কিছু আগে চুলের গোঁড়া এবং চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যে তফাৎটা বুঝতে পারা যাবে।

যে কারনে কমছে পুরুষদের কর্মক্ষমতা !!


বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষদের মধ্যে বাড়তি কর্মক্ষমতা থাকে। তবে ৩০ বছরের পর সেটা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই সময়টায় কাজের উদ্যম এবং শক্তি কমতে শুরু করে। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে পুরুষদের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কিছু কারণ।
অতিরিক্ত অবসন্নতা
মানসিক চাপ এবং অত্যন্ত ক্লান্তির কারণে অবসন্নতা তৈরি হয়। এটা কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই অবস্থার ভারসাম্য করা শিখুন এবং যে বিষয়গুলো আপনাকে অবসন্ন করে তোলে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
টেসটোসটেরোন
৩০ বছরের পর পুরুষদের হরমোনে টেসটোসটেরনের মাত্রা কমতে থাকে। এর ফলে ইনসমনিয়া, অবসন্নতা, চর্বি ইত্যাদির সমস্যা তৈরি হয়। শারীরিক শক্তি কমে যাওয়ার এটি আরেকটি কারণ।
থাইরয়েড সমস্যা
থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অপর্যাপ্ত থাকার কারণে অনেক সময় কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। পেশি ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, শুষ্ক ত্বক, পাতলা চুল ইত্যাদি এই সমস্যার লক্ষণ। এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঘুম কম হওয়া
ঘুমের পরিমাণ কমে গেলে সেটা অবসন্নতা তৈরি করতে পারে। খাওয়ার পর মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঘুম। ঘুম না হলেও ক্লান্তি এবং অবসন্নতার কারণে কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, দুঃখ বাড়িয়ে দেয়, দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলাসহ অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।   
আয়রনের অভাব
আয়রনের অভাব, রক্তস্বল্পতার কারণে পুরুষদের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং অল্পতেই ক্লান্তিভাব চলে আসে।
কম খাওয়া
অপুষ্টি অথবা কম খাওয়ার কারণে পুরুষদের শরীরের শক্তি কমে যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
অন্যান্য সমস্যা
কিডনি ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর, ক্যানসার, হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস – এ রকম বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাও পুরুষদের কর্মক্ষতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই ৩০ বছরের পর শরীরে যে কোনো রোগের ক্ষেত্রেই নিয়ম মেনে চলা উচিত এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

ফল খাওয়ার আগে জেনে নিন কিছু নিয়ম।


ফল খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু ফল খাওয়া নিয়ে বহু মানুষের মাঝেই বিভ্রান্তি কাজ করে। দৈনিক কতখানি ফল খাবেন, কয়বার খাবেন এসব বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো ফল খাওয়ার বিষয়ে কয়েকটি তথ্য।
দিনে দুই থেকে চার বার ফল খান
সাধারণ নিয়মে আপনাকে দৈনিক দুই থেকে চারটি সার্ভিংয়ে ফল খেতে হবে। একটি সার্ভিং কতখানি হবে? এক্ষেত্রে এক কাপ বা সমপরিমাণ এক টুকরো ফল হতে পারে আদর্শ। এক্ষেত্রে আপনি যদি একবারে বেশি ফল খেয়ে ফেলেন তাহলে সার্ভিংয়ের পরিমাণ কমাতে পারেন। আবার একবারে কম ফল কেলে সার্ভিংয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে তা সমান করতে পারেন।

চাহিদা অনুযায়ী খান
ইচ্ছে করলেই আপনার প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ফলে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খাদ্যপ্রাণ আছে তেমন তা কার্বহাইড্রেটেরও উৎস। আর কার্বহাইড্রেট অধিক মাত্রায় গ্রহণ করা ক্ষতিকর হতে পারে। খাওয়ার পর আপনার দেহ থেকে সে বাড়তি ফল হজম করার বিষয়টিও চিন্তা করতে হবে। বাড়তি ফল আপনার দেহের ওজন বাড়াতে পারে। তাই আপনার দৈনন্দিন চাহিদা অনুযায়ী ফল খাওয়া উচিত। আপনি যদি শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়ে দেন তাহলে আগের তুলনায় ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এছাড়া রয়েছে আপনার উচ্চতা, ওজন, লিঙ্গ ও বয়সের বিষয়টি।

সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
আপনার দেহের কোষগুলোর কার্যক্ষমতা চালু রাখার জন্যই ফলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে সেজন্য মনে রাখতে হবে সময়ের বিষয়টিও। রাতে টিভি দেখার সময় আপনি যদি প্লেট ভর্তি ফল খেয়ে ফেলেন তাহলে তা দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক পরিশ্রমের আগেই ফল খাওয়া উচিত। আপনার খাওয়া কার্বহাইড্রেট যেন হজম হয়ে যায় সেজন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সন্ধ্যায় যদি আপনি ফল খেতে চান তাহলে তার পরিমাণ যেন বেশি না হয় সেজন্য খেয়াল রাখুন।

বিভিন্ন ধরনের ফল খান
ফলে রয়েছে বহু ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও প্রিবায়োটিকস। এ কারণে আপনি কোন ধরনের ফল খাচ্ছেন তা লক্ষ্য করুন। যে ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে শুধু সেটি খেলেই হবে না। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখতে হবে অন্যান্য ফলও যেন খাওয়া হয়। আপনার প্লেটে সর্বদা বিভিন্ন ধরনের ফল রাখলে তা পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
--ফক্স নিউজ

ফ্রিজে রাখা মাছের স্বাদ অটুট রাখতে যা করবেন।



অনেকেই একদিনে পুরো মাসের বাজার করে ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখে দেন। শুধু তাই নয় কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ অন্যরকম হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে। বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এই সমস্যার খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান রয়েছে। আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। তাহলে জেনে নিনঃ

মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট।


তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারে।

প্রতি এক কাপে কমবে এক ইঞ্চি পেট!


ওজন কমানোর মিশনে বরাবরই বিভিন্ন মানুষের বিশাল তালিকা দেখা যায়। ওজন কমানো যেন নয়, ছোটখাটো এক যুদ্ধ। বেশিরভাগ মানুষের নিকট শোনা যায়, অনেক কম খেয়েও তাদের ওজন বৃদ্ধি পায়। অনেকে দিনাদিন না খেয়ে থাকে তারপরও কোন পার্থক্য দেখা যায় না।
তবে এবার পার্থক্য আপনি নিজে নিজে বুঝতে পারবেন। মাত্র এক কাপ পানি প্রতিদিন পান করার ফলে আপনার পেট ১ ইঞ্চি করে কমে যাবে। এই যাদুকরী পানি তৈরি করতে মাত্র দুইটি উপকরণের প্রয়োজন হবে।
আদা ও লেবুর মিশ্রণ আপনার ওজন কমিয়ে আনবে যাদুকরী উপায়ে। প্রথমে আদার ছোট ছোট টুকরা করে আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানির সাথে আরও পানি মিশিয়ে একটি সম্পূর্ণ লেবু কয়েক টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর সারাদিন এই পানি প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় পান করুন। এতে আপনার ওজন কমার পাশাপাশি শরীরও ডিটক্স থাকবে।

যে ৭ খাবার ঘুমের ওষুধের কাজ করে!!


যারা অনিদ্রায় ভোগেন কেবল তারাই বুঝতে পারেন এর যন্ত্রণা কতোটা। সারা রাত এপাশ-ওপাশ করে কাটিয়ে দেন ঘুমের আশায়। কিন্তু ঘুমের দেখা মেলে না।
অনেকে ডাক্তারের পরামর্শে স্লিপিং পিলের সহায়তা নিয়ে থাকেন ঘুমের জন্য। আবার অনেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে স্লিপিং পিল খেয়ে থাকেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই হোক আর বিনা প্রেসক্রিপশনেই হোক না কেন স্লিপিং পিলের রয়েছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
তাই ঘুম না আসার কারণে স্লিপিং পিল খেয়ে অন্য দিকে স্বাস্থ্যহানি করার কোনই প্রয়োজন নেই। এর চাইতে নজর দিন প্রাকৃতিক জিনিসের ওপর। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা কাজ করবে অনেকটা ঘুমের ঔষধের মতোই। জানতে চান সেই খাবারগুলো কি কি? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১. কাঠবাদামঃ
কাঠবাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। কারণ কাঠবাদামের ভিটামিন ও মিনারেলস আমাদের নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কাঠবাদামের মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের উদ্রেক করে। জার্নাল অফ অর্থমলিকিউলার মেডিসিনের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়, ‘যখন আমাদের দেহে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন আমাদের অনিদ্রার সমস্যা শুরু হয়, কাঠবাদাম এই ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দেয়’।
২. মধুঃ
ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাত্র ১/২ চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস ঘুমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় মধুর প্রাকৃতিক চিনি আমাদের দেহের ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ট্রাইপ্টোফেন নামক হরমোন খুব সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে ঘুমের উদ্রেক হয়।
৩. কলাঃ
নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, ‘ঘুম না আসলে একটি কলা খেয়ে নিন, কলার পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে’। কলার ম্যাগনেসিয়ামও আমাদের মাংসপেশি শিথিল করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মাইকেল ব্রেউস বলেন, ‘ঘুমুতে যাওয়ার আগে কলা খান বা কলার স্মুদি তৈরি করে পান করুন, ঘুম আপনাআপনিই চলে আসবে’।
৪. মিষ্টি আলুঃ
মিষ্টি আলু পটাশিয়ামের অনেক ভালো একটি উৎস যা আমাদের মাংসপেশি, নার্ভ শিথিল করতে কাজ করে। এতে করে আমাদের মস্তিষ্কও অনেকাংশে রিলাক্স হয়। নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, ‘মাত্র অর্ধেকটা পরিমাণে মিষ্টি আলু ঘুমের জন্য অনেক ভালো কারণ এতে গয়েছে পটাশিয়াম এবং কার্বস’।
৫. দুধঃ
ঘুমের ঔষধের মতো কাজ করতে বিশেষভাবে কার্যকরী যে খাবারটি তা হচ্ছে দুধ। গবেষকগণ বলেন দুধের ক্যালসিয়াম মেলাটোনিন উৎপন্ন করে যা আমাদের দেহের ২৪ ঘণ্টার ঘুম ও জেগে থাকার সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই ঘুম না আসলে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ পান করে নিন। দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।
৬. ডিমঃ
ঘুমের জন্য কার্যকরী আরেকটি সুপাদ ফুড হচ্ছে ডিম। গবেষণায় দেখা যায় ডিম উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যা পুরোরাত নিশ্চিন্তে ঘুমুতে সাহায্য করে থাকে। তাই রাতের খাবারে রাখুন সেদ্ধ ডিম অথবা প্রোটিন সমৃদ্ধ কোনো খাবার।
৭. হারবাল চা বা গ্রিন টিঃ
গ্রিন টি বা হারবাল চায়ে রয়েছে থায়ানিন যা ঘুমের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ১ কাপ গ্রিন টি বা অন্য যে কোনো হারবাল চা অনিদ্রা দূর করতে, গভীর ঘুমুতে এবং ঘুমের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

রোজায় পানিশূন্যতা রোধ করবেন যেভাবে।


এবারের রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। গরমের এই তীব্র যন্ত্রণায়, সারাদিন পানাহার না করে থাকার কারণে, অনেকের মাঝে দেখা দেয় পানিশূন্যতার সমস্যা। গরমের সময় সাধারণ ভাবেই সকলকে বেশি পানি পান করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের অনেকেই এই ব্যপারে তেমন সচেতন নয়। তার সাথে রমজান মাসের ১৫ ঘন্টা রোজা রাখার কারণে শরীরে দেখা দেয় তীব্র পানিশূন্যতার প্রভাব। এই প্রভাবের কারণে তাৎক্ষনিক ভাবে কেউ কোন সমস্যায় না পড়লেও, এর দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পানিশূন্যতা রোধে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে-
১. ইফতারি আর সেহেরি পর্যন্ত বয়স, ওজন আর উচ্চতা ভেদে দৈনিক ৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যাদের শরীরে প্রচুল ঘাম হয় এবং যাদের প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাই তাদের জন্য অবশ্যই পানি পান করার পরিমান বাড়াতে হবে। একজন ব্যক্তির ওজন আর উচ্চতা পরিমাপ করে তাদের ৯-১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
২. পানি সল্পতা রোধ করতে, অবশ্যই সেহেরিতে চা-কফি পান করা বর্জন করতে হবে। এই জাতীয় পানীয় আমাদের শরীরে di-uretics হিসেবে কাজ করে। ফলে আমাদের দেহের পানির চাহিদা বেড়ে যায়।
৩. রোজায় অতিরিক্ত লবনাক্ত খাবার বর্জন করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত লবন দেহ থেকে পানি শুষে নিয়ে দেহের পানি চাহিদা বাড়িয়ে দেয়।
৪. re-hydrating মিনারেল তথা K+ যুক্ত খাবার সেহেরি আর ইফতারে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এসকল খাবার আমাদের দেহ থেকে পানিসল্পতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজাতীয় খাবারগুলো হল, খেজুর, আম, কলা ইত্যাদি।
৫. প্রতিদিন অবশ্যই সুষমজাতীয় খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর সুষম খাবার আমাদের শরীর ভালো রাখতে এবং শরীরের পানির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
৬. রমজান মাসে অবশ্যই অইরিক্ত তেলে ভাজা ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কারন এ জাতীয় খাবার আমাদের পরিপাক ক্রিয়ায় বাধা প্রদান করে।
৭. রোজায় অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে insulin-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এজাতীয় খাবার বর্জন করাই শ্রেয়।

নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন?


আমরা সবাই জানি, পেঁয়াজের রস Onion Juice নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলপড়া কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
১. পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর রস বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২. পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা head থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের জন্য এই পানি বেশ উপকারী।

৩. পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৪. দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।

৫. পেঁয়াজ বেটে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

যে ৬টি গাছ ঘরে রাখলে সারা জীবন সুস্থ থাকবেন!

যে ৬টি গাছ ঘরে রাখলে সারা জীবন সুস্থ থাকবেন!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রতি নিয়ত একটু একটু করে অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে আমাদের পৃথিবী। আর তা যোগ্য করে তুলছে অবশ্যই মানুষ। যে হারে গাছ কেটে সাফ করে ’সভ্যতার’ বিকাশ হচ্ছে, তাতে আর কতদিন এই সভ্যতা টিকে থাকবে সেটা নিয়েই বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কিছু দেশে তো কৌটোয় ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বাতাসও বিক্রি হচ্ছে। সেখানে দূষণের মাত্রা একটাই। আমাদের দেশও খুব একটা পিছিয়ে নেই। বেশ কয়েকটি বড় শহর অত্যাধিক দূষণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় একটু টাটকা বাতাস পাবেন কোথায়? উত্তর আপনার বাড়িতেই। কী ভাবে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া নাসা এক গবেষণার বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যা ঘরে রাখলে শুধুমাত্র অক্সিজেনই পাবেন না, সঙ্গে ঘরের মধ্যে থাকা দূষিত বাতাসও পরিষ্কার করার কাজ করবে এগুলি। 
দেখে নিনঃ

কোন কোন গাছ এখন থেকে সাজিয়ে রাখবেন ঘরের মধ্যে :
১) অ্যালোভেরা : বাংলা যাকে বলে ঘৃতকুমারি। ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ফর্মালডিহাইডের (টক্সিন) মতো ক্ষতিকারক জিনিস শোষণ করে নেয়। মাত্র এখটি গাছই ৯টি বায়োলজিকাল এয়ার পিউরিফায়ার ক্যানের মতো বাতাস পরিষ্কার করার কাজ করতে পারে।
২) ফিকাস : খুব ভালো বাতাস পরিষ্কার করতে পারে। বিশেষত, বাতাসের টক্সিন শুষে নেয় এবং টাটকা বাতাস দিতে থাকে। খুব একটা আলো বা পানির প্রয়োজন হয় না এই গাছের। তবে এখটি ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরে যদি ছোট বাচ্চা বা পোষ্য থাকে, তাদের থেকে গাছটিকে দূরে রাখবেন। কারণ এ গাছের পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।
৩) আইভি : নাসার বৈজ্ঞানিকদের মতে, প্রত্যেকটি ঘরে এ গাছ রাখা উচিত। কারণ ঘরের বাতাসের ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে ঘরে নিয়ে আসার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে।
৪) স্পাইডার প্ল্যান্ট : খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। ফলে এই গাছটি খুব বেশি পরিমানে অক্সিজেন দিতে থাকে। তা ছাড়া স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার জায়গার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে।
৫) স্নেক প্ল্যান্ট : এ গাছ সহজে মরে না। বিশেষ আলো বা পানিরও প্রয়োজন হয়। টক্সিন পরিষ্কার বা অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই। তার সঙ্গে সব থেকে ভালো ব্যাপার, রাতেও এরা অক্সিজেন ঘরের মধ্যে ছাড়তে থাকে। বেডরুমে রাখার জন্য সব থেকে আদর্শ গাছ এটা।
৬) পিস লিলি : বাতাসে উপস্থিত রাসায়নিক এবং টক্সিন নিমেষের মধ্যে শুষে নেয়। বিশেষত ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফর্মালডিহাইড জাতীয় টক্সিন শুষে বাতাস পরিষ্কার করে দেয়।

অতিরিক্ত রাগের কারণ যে খাবার!

অনেকেই আছেন যারা কথায় কথায় রেগে যান। মানুষের রাগ হওয়া অনেকাংশেই আবেগ জনিত ব্যাপার এবং বৈশিষ্ট্য হিসেবেই আমরা জেনে থাকি। কিন্তু এই রাগটাও কিন্তু নিয়ন্ত্রিত হয় খাবারের মাধ্যমে। 



বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা নিয়মিত বেশি খেলে দেহের রাগের সঙ্গে জড়িত হরমোনের নিঃসরণ ঘটে যা হুট করেই অতিরিক্ত রাগ হওয়ার পেছনের মূল কারণ। তাই যারা অল্পতেই রেগে যান তারা নিচের খাবারগুলো কম খাবেন।  

অ্যালকোহলের থেকে দূরে থাকাই ভাল। অ্যালকোহল খেলে দেহে কর্টিসোল হরমনের মাত্রা বেড়ে যায়। স্নায়ুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব পড়ে। যার ফলে রাগ বাড়ে।

শুকনো মরিচ বেশি খেলে দেহের তাপমাত্রা বাড়ে। আর এর প্রভাব পড়ে মনের উপর যার ফলে রাগ বেড়ে যায়।বেকারির তৈরি খাবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় শরীরে। এর ফলে মন বিগড়ে যায়। রাগ বাড়ে।প্রচুর মশলা দেয়া খাবার খেলে দেহের মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। সেই সঙ্গে রাগও বাড়ে।কফিতে ক্যাফিন থাকার জন্য মনের উপর প্রভাব ফেলে। যদি বেশি কফি খাওয়া হয় তাহলে মন বিগড়ে গিয়ে রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।মন ভাল রাখতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ভাজা জাতীয় খাবার শরীরে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের ব্যালান্স নষ্ট করে দেয়। এর প্রভাব মনের উপর পড়ে। ফলে রাগ বেড়ে যায়।

মুখের গর্ত দূর করবে মাত্র একটি উপাদান!


যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের মুখে প্রায়ই অনেক বড় বড় গর্ত দেখা যায়। এতে মুখের সৌন্দর্য কমে যায়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য বাজারে বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যা ব্যবহার করলে এই সমস্যা কিছুটা কমে যায়। কিন্তু ঐসকল পণ্যের দাম অনেক বেশি থাকে।
আপনি খুব সহজে একটি ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। খাবার সোডা এক্ষেত্রে আপনার সহায়তা করবে।
২ টেবিল চামচ খাবার সোডার সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর আয়নায় দেখলেই নিজ থেকে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।