5 টি রহস্যময় YouTube channel | এগুলো সম্পর্কে হয়তো আপনারা জানেন না।(ভিডিও সহ)

রহস্যময়, YouTube channel, earn youtube, youtube income, top channel in youtube
5 টি রহস্যময় YouTube channel | এগুলো সম্পর্কে হয়তো আপনারা জানেন না।
5 টি রহস্যময় YouTube channel সম্পর্কে জানতে নিছের ভিডিওতে ক্লিক করুন।এবং রহস্যময় YouTube channel এর নাম ও চ্যানেল লিংক নিছে দেওয়া হল।



5 টি রহস্যময় YouTube channel এর নাম ও চ্যানেল লিংক নিছে দেওয়া হল।

5) HI WALTER! ITS ME PATRICK : (HE DELETED HIS VIDEO) 

Channel Link: https://www.youtube.com/user/hiwalter/discussion

4) WEBDRIVER TORSO : 

Channel Link: https://www.youtube.com/channel/UCsLiV4WJfkTEHH0b9PmRklw

3) MS. PORCELAIN DOLL : 

Channel Link: https://www.youtube.com/channel/UCYRxkUnE8n2zsFVABCxn1DA

2) NASA JIM 108 :

Channel Link: https://www.youtube.com/user/nasajim108

1) ROBERT HEPLMANN : 

Channel Link: https://www.youtube.com/channel/UChCYI80lLbMXY3-yNlQq5dg

গুগোল , ইউটিউব ,ফেসবুক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে , হাসি,আনন্দ,বিনোদন, শিক্ষা সবই এখন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে , ইউটিউবের মধ্যে মানুশ নিজের মন মত ভিডিও আপলোড করতে পারে । তবে কিছু কিছু সময় তা হয় অন্যের ক্ষতির কারন , আজ আমরা দেখব আজব কিছু ইউটিউব চ্যানেল। তো আসুন ঘুরে আসি ইউটিউবের সেই  রহস্যময় কিছু ভিডিও চ্যানেল থেকে ।

১) WEBDRIVER TORSO
আজব এই ইউটিউব চ্যানেলটিতে এখন পর্যন্ত মোট কয়েক হাজার ভিডিও আপলোড হয়েছে প্রতিটি ভিডিও ই মোটামোটি ১০ সেকেন্ড এর ভিডিও তে শুধু লাল আর নীল রঙ এর কিছু বক্স বিন্ন অবস্থানে দেখায়  এবং বিপ জাতীয়  তীক্ষ্ণ আওয়াজ হয়, কিছু সময় অন্তর অন্তর এইরকম ভিডিও আপলোড হয় , এখানের সর্বশেষ ভিডিওটি ৪ মাস আগে আপলোড হয়েছিল , আর পরে চ্যানেলটিতে আর কোন ভিডিও দেখা যায় নি ।
কি উদ্দ্যেশে এই চ্যানেলটি তৈরী বা কি উদ্দ্যেশে এইসব ভিডিও আপলোড তা যানা যায়নি হতে পারে এটি মানুষের সাথে করা এক রকমের কৌতুক অথবা এতে থাকতে পারে বিশেষ কোন গোপন কারন।

২) NASA JIM 108
ভয়ংকর রোবোটিক কণ্ঠস্বরে তৈরী প্রতিটি ভিডিও তেই পাবেন এলিয়েন নিয়ে কিছু কথা , ২০০৮ সালে চালু করা এই চ্যানেলের  আপলোড করা হয় এই ভিডিও  সিরিজটি  যা কিনা নাসার সাবেক একজন কর্মকর্তার তৈরী বলে দাবী করা হচ্ছে , এলিয়েনের উপস্থিতি ও বিভিন্ন বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে ,  ভিডিও তৈরী কর্তার দাবী তিনি ১৯৮৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত নাসায় কাজ করেছিলেন এবং নাসার অনেক সিক্রেট তার জানা রয়েছে । সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হচ্ছে এর এবাউট সেকশন যেখানে লেখা রয়েছে  " These are a series of videos that my client requested to be released after his death.'

৩) MS. PORCELAIN DOLL
রিং , ইনসিডাস , এনাবেলা ইত্যাদি জনপ্রিয় হলিউড হরর মুভিতে কিছু ভিডিও ক্লিপ বা পুতুল ইত্যদি জিনিস দেখে বেশ ইন্টারেস্ট ফিল করেছেন যারা তাদের জন্যই এই চ্যানেল , ভৌতিক কিছু নিয়ে তৈরী এই চ্যানেলটির সর্বশেষ ভিডিওটি আপলোড হয়েছে ৯ ঘন্টা আগে   ( যখন আমি এই ব্যাপারে লেখছি সে সময় থেকে  ) , এবাউটে কিছুই লেখানেই।

৪) ROBERT HEPLMANN
এই চ্যানেলটি উপরের দেয়া সবগুলো চ্যানেল থেকে আলাদা , আদৌ যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে ভিডিও নির্মাতা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয় ,  কি কারনে কি উদ্দ্যেশে তা জানা নেই তবে শুনলে আপনারাও চমকে উঠবেন , এই চ্যানেলের ভিডিওতে ২ জন থাকে একজন হল ভিডিওর প্রধান চরিত্র রবার্ট , আরেকজন  হচ্ছে ডেইজি । আশ্চর্জজনক ব্যাপার হয় ডেইজি একটি লাশ , সকল ভিডিও ই সেই কালো পলিথিনে মোড়ানো  লাশ নিয়ে করা হয়েছে ।  ২০১৫ সালে তৈরী চ্যানেলটিতে তখনই কিছু  ভিডিও দেয়া হয়েছিল  তারপরে আর কোন ভিডিও দেয়া হয়নি।

৫) Benjamin Bennett
একজন লোক প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে আপনার দিকে হাসি দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে , মাঝে মাঝে মুখের ভাব পরিবর্তন করছে কিন্তু হেসে চলেছে আগের মতই ভাবুনতো একবার   কতটা বিরক্তিকর হবে ব্যাপারটি।
এমনই একটি চ্যানেল হল Benjamin Bennett, বিতর্ক উঠেছিল যে এই তার এই ভিডিও দ্বারা মানুষকে সম্মোহন করতে পারেন , তবে যাই হোক  এখন তার ভিডিও প্রায় ২৭৬ টি সবগুলোতে তার একই কাজ  বসে শুধু হাসি দিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকা , Sitting and Smiling এই টাইটেলে তার ভিডিও গুলো বের হয় এবং # দিয়ে ভিইও সিরিয়াল নাম্বার দেয়া  থাকে।

৬) The suicide mouse
মিকি মাউসকে কে না চিনে , হাস্যোজ্জল মিকি মাউসের একটি পুরাতন ভিডিও হঠাত করেই ইউটিউবে পাবলিশ হয়ে যায়  দ্যা সুইসাইড মাউস নামে ,  ধারনা করা হয় ডিজনির কোন অপ্রকাশিত আর্কাইভ থেকে  এটি প্রকাশিত হয়েছিল ,  রম্য রসাত্যক কোন সাউন্ড ছিল না এতে , স্বাভাবিক মিকি মাউস কেও দেখা যায়নি , কেন এইরকম কার্টুন পর্ব তৈরী করা হয়েছে তা যানা যায়নি তবে পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি স্কুল পরুয়া তরুনের আত্বহত্যার জন্য এই ভিডিওটি দায়ী করা হয়।


ইউটিউবে অসংখ্য আজব ভিডিও রয়েছে যার পাওয়া যায় নি কোন ব্যাখ্যা। কিছু ইউটিউব নিজে সড়িয়ে দিয়েছে , কিছু আবার আপলোডার নিজে  সড়িয়ে দিয়েছে। গড় হিসেবে দেখা গেছে প্রতিদিন প্রায় ৬০ ঘন্টার ও বেশী  ভিডিও ইউটিউবে আপলোড হচ্ছে। কোনটি যে কোন উদ্দ্যেশ্যে  দেয়া হচ্ছে তা আসলেই বলা মুশকিল , কিছু বিতর্কিত কন্টেন্ট ছিল যা নিয়ে হয়েছে প্রচুর সমালোচনা, জল্পনা কল্পনা , ইউটিউব সে ক্ষেত্রে চ্যানেল পর্যন্ত রিমুভ করে দিয়েছিল , সেগুলো নিয়ে তাই আর কিছু লেখা হয়নি এখানে , উপরের প্রতিটি চ্যানেলে হয়তো সবাই  কৌতুহল নিয়েই যাবেন , তবে সবগুলোকে সাধারন ভিডিও হিসেবেই দেখবেন।

Blue whale কি? কিভাবে এটা মানুষের জীবন কাড়ে?

/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
Blue whale কি? কিভাবে এটা মানুষের জীবন কাড়ে?

ব্লু হোয়েল (Blue whale) এর বাংলা অর্থ নীল তিমি। আক্ষিরিক অর্থে নীল তিমি হলেও বর্তমান বিশ্বে এটি প্রবল আতংকিত একটি নাম। সাম্প্রতি ডার্ক ওয়েবে ভাইরাল হওয়া একটি মর্মান্তিক চ্যালেঞ্জিং গেম হলো ব্লু হোয়েল । এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক সুইসাইড গেম । গেমটি খেললে যে কারও মৃত্যু অনিবার্য । কিন্তু কিভাবে একটি গেম একজন মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে?আসলে যতদিন যাচ্ছে এটি মানুষের কাছে ক্রমেই রহস্যময় হয়ে উঠছে । অনেকেই বুঝতে পারছে না যে এর পিছনের রহস্যটি আসলে কি? আবার অনেকেই মনে করছে যে এটি আসলে একটি মিথ্যা ঘটনা যার কোন বাস্তবতা নেই।

ব্লু হোয়েল এর বিস্তারিত বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় হলিউডের “স” মুভির কথা । মুভিটির সাথে এই গেমের অনেকাংশেই মিল রয়েছে। যারা “স” মুভিটি দেখেছেন তারা হয়ত জানেন যে একজন সিরিয়াল কিলারের ফাঁদে পরে কাহিনির মেইন চরিত্র”ড. ল্যারির” কি অবস্থা হয়েছিল। তার স্ত্রী, কন্যাকে কিডনাপ করে এবং তার পার্সনাল ইনফরমেশন হাতিয়ে নিয়ে; ব্লাক মেইল করে তাকে পরিত্যাক্ত বাথরুমে বন্দি অবস্থায় বাধ্য করা হয়েছিল একটি মর্মান্তিক গেম খেলার । তাকে বলা হয়েছিল, সে যদি তার স্ত্রী সন্তান ও বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তাকে অবস্যই গেমের সবগুলো স্টেপ সঠিক ভাবে সম্পুর্ন করতে হবে । যারা “স” মুভিটি দেখেন নি তারা এখানে ক্লিক করে মুভিটির রিভিও দেখতে পারেন।

ব্লু হোয়েল গেমটিও “স” মুভির মতই ভিক্টিমকে বাধ্য করে গেমটির সবগুলো স্টেপ খেলতে । এটি একটি চ্যালেঞ্জিং গেম, এবং গেমটির ৫০ টি লেভেল বা স্তর রয়েছে । গেমটি প্রথম তৈরি হয়েছিল ২০১৩ সালে । “F57” নামের একটি রাশিয়ান হ্যাকার টিম (অনেক জায়গায় এরা “ডেথ গ্রুপ” নামেও পরিচিত) এই গেমেটি তৈরি করে ।
২০১৫ সালে সর্বপ্রথম সোসিয়াল মিডিয়া “VKontakte(vk.com)” এ এর লিঙ্ক শেয়ারের মাধ্যমে এটি তুমুল ভাইরাল হয়ে পরে এবং অনেকেই গেমটি ডাউনলোড করতে শুরু করে।


#ফিলিপ বুদেকিন।
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
গেমটির মাস্টার মাইন্ডে ছিল “ফিলিপ বুদেকিন” নামের একজন রাশিয়ান যুবক ।সে রাশিয়ার একটি ভার্সিটিতে “সাইকোলজি” বিভাগে অধ্যায়নরত ছিল । ভার্সিটি থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর, সে এই গেমটি তৈরিতে মনোনিবেশ করে বলে জানা যায়। সম্প্রতি রাশিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি তাকে গ্রেফতার করে এবং তাদেরকে দেওয়া জবানবন্দিতে ফিলিপ জানায় যে, তরুন বয়সি ছেলেমেয়ে, সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মানুষ এবং মানুষিক ভাবে বিকারগ্রস্থ রোগীদের টার্গেট করেই এই গেমটি সে তৈরি করেছে । সে আরও বলে যে, যারা এই সমাজের হতাশাগ্রস্থ মানুষ এবং যারা মানুষিক ভাবে বিকারগ্রস্থ তারা এই সমাজের বোঝা, সমাজে তাদের কোন প্রয়োজন নেই, মৃত্যুই তাদের কাম্য তাই এই গেমটির মাধ্যমে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক চাপ প্রোয়োগ করে, তাদেরকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। আর টিনএজরা এমনিতেই চ্যালেঞ্জ প্রিয় হয়ে থাকে এবং তাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাদেরকে গেমটি খেলতে বাধ্য করা হয়।


#জুলিয়া এবং ভেরনিকা
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ব্লু হোয়েল গেমটির কারনে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন রাশিয়ান টিনএজ এর মৃত্যু হয়েছে । এবং রাশিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশে ৫০ জনেরও বেশি ছেলেমেয়ে মারা গেছে । ব্লু হোয়েলের শিকার গ্রীসের ১৪ বছরের একজন মেয়ে কমিউটর ট্রেনের লাইনে মাথা রেখে মারা যায় এবং সাইবেরিয়ায় ১৫ বছরের এক মেয়ে ৫ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। “জুলিয়া কন্সটাটিন ওভা” এবং “ভেরনিকা ভল্ক ওভা” নামের দুইবোন সর্বোপ্রথমএই গেমের শিকার হয় । গেমটির শেষ পর্যায়ে তারা ১৪ তলা বিশিষ্ট অ্যাপার্ট্মেন্ট থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল । প্রথম অবস্থায় তাদের মৃত্যুর কারণ কিছুই জানা যায় নি। মৃত্যুর আগে জুলিয়া তার ইন্সটাগ্রাম পেজে একটি “নীল তিমি” (Blue Whale)র ছবি দিয়েছিলো এবং তাতে লিখা ছিলো “the end”. এবং তার বোন ভেরনিকা লিখেছিল “sence is lost”. তাদের দুই বোনের সুইসাইড ভিডিওটি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। তবে যাদের হার্ট দুর্বল তাদেরকে এই ভিডিওটি না দেখার পরামর্শ রইল।
সম্প্রিতি ভারতের মুম্বায়ে এই গেমটি খেলতে গিয়ে একজন তরুন আত্মহত্যা করে এবং ভারতের মিডিয়ায় এটি খুব চাঞ্চল্যকর তথ্য হয়ে দাঁড়ায়। সে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সোসিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে এই গেম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সাধারণত মধ্যম আয়ের দেশের ছেলেমেয়েরাই এই গেমে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে তবে কিছু কিছু অধিক উন্নত রাষ্ট্রেও এটি ছড়িয়ে পরছে, এদের মধ্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও চীন উল্লেখযোগ্য।

#হিউম্যান এম্ব্রেডরি

/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com

শুরুতে ব্লু হোয়েল গেমটি মুলত একটি একক গেম হিসেবে রিলিজ হলেও পরে এটি আর একটি কিলার গেম “হিউম্যান এম্ব্রেডরি” এর সাথে যুক্ত হয়ে আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে এবং অ্যামেরিকার বেশ কিছু রাষ্ট্রে যেমন, কানাডা, মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনার মত দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
“হিউম্যান এম্ব্রেডরি” এটি একটি কিলার গেম হলেও এর ধরণ “ব্লু হোয়েল” থেকে সম্পুর্ন আলাদা । তবে এটির সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য এখনও পাওয়া যায় নি। এর তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে, সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে এটির সম্পর্কেও বিস্তারি আলোচনা করা হবে।

২০১৩ সালে “ব্লু হোয়েল” রিলিজ হলেও ২০১৫ সালের আগে এটি জনসম্মুখে একেবারেই অপরিচিত ছিলো এবং ২০১৬ এর আগে এর সঠিক কোন তথ্য পাওয়া জায়নি। এর আগে যারাই এ গেমটি খেলেছে তাদের মধ্যে ৯০% প্লেয়ারই সুইসাইড করেছে এবং যারা নিত্বান্তই ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছে তাদের বেশির ভাগই মানুষিক ভাবে
বিকারগ্রস্থ অথবা ভয়ে তাদের অবস্থা এতটাই শচনীয় হয়েছে যে, তারা কোন ভাবেই এর সম্পর্কে মুখ খুলার সাহস পাইনি। ২০১৫ এর মাঝামাঝি সময়ে আর্জেন্টিনার এক তরুন গেমটির প্রথম ২০ লেভেল কম্পিলিট করে এর সম্পর্কে পুলিশের কাছে ক্লেম দিলেও সেখানকার পুলিশ খুব একটা গুরুত্ব দেয় নি।
২০১৬ সালে “নোভায়া গেজেটা” নামক একটি রাশিয়ান ম্যাগাজিন সর্বপ্রথম এর সম্পর্কে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে । তাদের জরিপ অনুযায়ী এই গেমটি খেলে রাশিয়ায় ১৩০ জন তরুন-তরুনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় এবং গেমটির বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়। উক্ত খবর প্রকাশের পর রাশিয়ায় গেমটিকে তদন্তাধীন রাখা হয় এবং সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি গেমটির মাস্টার মাইন্ডদের কে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় ।

#Blue whale
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়ত অনেকেই এর ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়ার জন্য গুগল, ইয়াহু অথবা অন্যান্য ওয়েব পোর্টালে সার্চ করেছেন। কিন্তু কোনভাবেই এর লিংক খুজে পাচ্ছেন না , তাই না? আসলে সত্যি কথা বলতে ইন্টারনেটে এই গেমের কোন অস্তিত্বই নেই। হয়ত বলতে পারেন যে, ইন্টারনেটে না থাকলে, যারা এই গেমটি খেলেছে তারা এটিকে কোথা থেকে পেল !
আমি আপনাদের প্রথমেই বলেছি যে, এটি ডার্ক ওয়েবের একটি গেম। আমরা যে ইন্টারনেট পোর্টাল ইউজ করি সেটির নাম “world wide web” এবং গুগল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি এসবই কিন্তু “world wide web” এরই একটি অংশ। আর আমাদের এই ইন্টারনেট জগতের বাইরে আরও একটি বিশাল জগত রয়েছে যার নাম “dark web”.
এটি “world wide web” থেকে একেবারেই আলাদা এবং সম্পুর্ন বিপরীত একটি ইন্টারনেট জগত।

/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com

“dark web” সম্পুর্নরূপে একটি অন্ধকার জগত এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর, অবৈধ ও খারাপ কাজের জন্যই এটি বিখ্যাত। এর ওয়েব সাইট গুলো সাধারণত খারাপ কাজের উদ্দ্বেশ্যেই তৈরি হয়ে থাকে। ইন্টারনেট জগতের ৮০-৮৫% অবৈধ ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজ মুলত “dark web” এয় সংঘতিত হয়। সাধারণত goole chrome, firefox কিংবা opera দিয়ে এই ওয়েবে প্রবেশ করা যায় না । ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে একটি বিশেষ ব্রাউজারের প্রয়োজন হয়। তো যাই হোক, ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে আর বেশি কিছু আলোচনা করছি না। যারা ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানেন না তারা এই লিংকে ক্লিক করে এর বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন। ব্লু হোয়েল ডার্ক ওয়েবেই তৈরি হওয়া একটি গেম এবং ডার্ক ওয়েব থেকে ডাউনলোড করে facebook, twitter, instagram কিমবা vk.com এ এর লিংক গুলো শেয়ার করা হয়েছিল। যারাই এই লিংকগুলো থেকে এই গেমটি ডাউনলোড করেছিল তাদের সবাইকেই বিভিন্ন মজা ও সার্প্রাইজের কথা বলে গেমটি ইন্সটল করানো হয়েছিল।

তবে গেমটি এমন এক বিশেষ সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে যে, আপনি যে ডিভাইসেই এটি ইন্সটল দেন না কেন পরবর্তীতে আর কখনোই এটিকে আনইন্সটল করতে পারবেন না। আর এটি একবার ইন্সটল হয়ে গেলেই এর মাধ্যমে এই গেমের টিম আপনার ip location সহ সকল প্রকার পার্সনাল ইনফরমেশন ট্রাক করতে শুরু করবে এবং আপনাকে বাধ্য করবে গেমটি খেলতে। সুতরাং, বুঝতেইপারছেন যে এই গেমটি কতখানি ভয়ংকর।

আমি এতক্ষন আপনাদের ব্লু হোয়েলের বাইরের অংশ অর্থাৎ, বিভিন্ন দেশের জনসমাজে এর কতখানি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করেছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশাকরি কিছুটা হলেও গেমটির সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এবং এটি আসলেই যে একটি কিলার গেম সেটাও বিশ্বাস করতে পেরেছেন। তাহলে আসুন এখন জানি গেমটির ভিতরের অংশ অর্থাৎ কি এমন আছে এই গেমের ভিতরে যা কিনা সকলকেই এর প্রতি আকৃষ্ট করছে !

#কলসি গাছ
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
এর সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদেরকে একটি উদাহরণ দিতে চায়, আপনারা অনেকেই হয়তো “কলসি গাছের” নাম শুনেছেন। এই গাছটির বিশেষ্যত্ব হলো, এটি পোকা-মাকড় খায়। পোকা-মাকড় ধরার জন্য গাছটি কলসির মতো দেখতে একটি বিশেষ ফাঁদ তৈরি করে এবং এই কলসির ভিতর থেকে এক ধরনের চকচকে আঠালো জাতীয় রস নিঃসৃত্ব করে। যখন কোন কীট-পত্বঙ্গ এই গাছের আশেপাশে যায়, এর চকচকে অংশ দেখে
আকৃষ্ট হয়ে কলসির ভিতেরে প্রবেশ করে আর প্রবেশের সাথে সাথেই পোকাটি আঠায় আঁটকে যায়। এই সুযোগে গাছটি তার কলসির মুখ বন্ধ করে এবং পোকাটিকে খেয়ে ফেলে। খাওয়ার পর কলসির মুখ খুলে যায় এবং রস নিঃসরণ করে আবার চলতে থাকে নতুন শিকারের আয়োজন।
আবার অনেকেই দেখে থাকবেন যে, মাকড়াসার জালে আঁটকে পরা মাছি কিংবা কোন পোকার কি অবস্থা হয়। আঁটকানো অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এরা যতই ছুটাছুটি করে ততবেশি তারা জালে আঁটকে পড়ে।
ব্লু হোয়েল গেমটিও কলসি গাছ কিংবা মাকড়াসার জালের মতই পাতা একটি ফাঁদ। যে কেও এর ভিতরে প্রবেশ করলে এর থেকে বেরিয়ে আসার আর কোন সুযোগ থাকে না।

প্রথমেই আপনাদেরকে বলেছি যে, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং গেম এবং এর ৫০ টি চ্যালেঞ্জ লেভেল বা স্তর রয়েছে। এটি মুলত একটি অনলাইন গেম অর্থাৎ ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া এই গেমটি খেলা যাবে না। গেমটির প্রতিটি লেভেল পুরনের আগে ও পরে গেমের টিম মেম্বাররা প্লেয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং পূর্ববর্তী লেভেল সঠিকভাবে সম্পুর্ন করতে পারলেই তাকে পরবর্তী লেভেল খেলার সুযোগ দেওয়া হয়।
গেমটির প্রথম ১০ লেভেল একেবারেই সোজা এবং যে কেওই এটি পুরন করতে পারবে। যেমন, বলা হবে সকাল ০৪:২০ এ উঠতে হবে, একটি হরর মুভি দেখতে হবে, আপনার প্রিয় খাবার খেতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু এর লেভেল যতই বাড়তে থাকে ততো বেশি এটি ভংকর রূপ ধারণ করতে থাকে। এবং এর ৫০ নং লেভেলে প্লেয়ার কে সুইসাইড করার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। আর খুব কম মানুষই আছে যারা এর থেকে বেঁচে ফিরেছে।

যেহেতু ব্লু হোয়েল টিনএজ অর্থাৎ ১৪-১৮ বছরের ছেলেমেদের উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে সেহেতু তাদেরকে ইম্প্রেস করার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে এই গেমের ভিতর। আর এই বয়সি ছেলেমেয়েরা এমনিতেই প্রতিযোগিতা প্রবন বা চ্যলেঞ্জপ্রিয় হয়ে থাকে। এরা অপরিচিত মানুষদের বেশি বিশ্বাস করে এবং বাস্তব জগতের চাইতে অবাস্তবকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এরা যেকোন চ্যালেঞ্জ গ্রহনের জন্য প্রস্তুত থাকে। যেমন ধরুন তিন বন্ধু, তাদের নাম যথাক্রমে A,B,ও C. এবং তাদের উভয়ের বয়সই ১৪-১৫ এর মাঝামাঝি। তারা তাদের স্কুলের মাঠে খেলা করছিল। মাঠের পাশে একটি বিশাল গাছের কাছে এসে B ও C এর মাথায় একটি নতুন বুদ্ধি উদয় হয়। A ছিলো B ও C র চাইতে কিছুটা ছোট। B এবং C লম্বায় A থেকে খানিকটা বড় হওয়ায় তাকে অনেকটা ভেংচি কেটে বলে উঠলো যে, দেখ A. তোর মতো একটি পুচকে ছেলে এই গাছটিতে কখনোই উঠতে পারবে না।
তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই A এর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তার মতো একটি বড় ছেলেকে পুচকে বলছে, আবার বলছে যে এই গাছটিতে সে উঠতে পারবে না। এটা কিছুটা হলেও তার পার্সনালিটিতে আঘাত করেছে। সুতরাং, সে নিজের অজান্তেই বলে বসে, কে বলেছে তোদের যে, আমি ওটাতে উঠতে পারব না, দেখতে চাস? তখন B আর C একসাথে বলে বসে, আমরা ৫০ টাকা করে বাজি ধরে বলতে পারি যে, তুই এটাতে উঠতে পারবি না।

A তখন টাকার জন্যই হোক অথবা নিজের পার্সনালিটি রক্ষার জন্যই হোক সে গাছটিতে উঠতে আরম্ভ করে। সে ভাবে না যে, এত বড় একটি গাছ বেয়ে উঠা তার পক্ষে আসলেই সম্ভব কিনা! কিংবা এই বিশাল গাছেটি থেকে পড়ে গেলে হাত-পা ভেঙ্গে গেলে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাতেও তার কিছু যায় আসে না। তার কাছে এই গাছে উঠাটাই সবথেকে বড় কথা, কারন তারা তার পার্সনালিটিতে আঘাত হেনেছে।

বেশির ভাগ টিনএজারা মুলত A, B ও C এর মতই অত্যাধিক চ্যালেঞ্জ প্রবল হয়ে থাকে। আবার অনেকেই আছে যারা সবার সাথে মিশতে পছন্দ করে না অথবা স্কুলে কিছু নির্দিষ্ট ফ্রেন্ড ছাড়া ক্লাসে আর কারও সাথেই মিশে না। যদি কোন দিন তার নির্দিষ্ট ফ্রেন্ড স্কুলে অনুপস্তিত থাকে, তাহলে তাদের আর কিছুই ভাল লাগে না। তখন বাধ্য হয়ে ক্লাস না করেই বাসায় ফিরে আসে। আবার বাসায় ফিরে এসেও একি অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। নিজের ঘরে বসে থেকে
অথবা টিভি দেখে দেখে তারা টায়ার্ড ও বোরড হয়ে যায় । তখন তাদেরকে একাকিত্ব ঘিরে ফেলে। শহরের বেশির ভাগ ছেলেমেদেরই একই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, কিংবা ইন্সটাগ্রাম চালিয়েও তারা Bored হয়ে পরছে এবং একাকিত্ব তাদের গ্রাস করে ফেলছে। এই একাকিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাদের নতুন কিছু চাই আর এর জন্যই তারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন আজেবাজে বিষয় সার্চ করতে থাকে এবং বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করতে থাকে,
আর এই আজেবাজে লিংকের মাধ্যমেই ব্লু হোয়েল তাদের সামনে এসে ধরা দেয় এবং তারা পা দেয় এর মরণ ফাঁদে!

চ্যালেঞ্জিং এর আরও একটি মুল মাধ্যমে হচ্ছে টেলিভিশন। টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রায়সই বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং অনুষ্ঠান প্রচার হয়ে থাকে। যেমন, কোন অনুষ্ঠানে দেখানো হয় একটি কালো কাপড় দিয়ে প্রতিটি প্রতিযোগিদের চোখ বেঁধে বেধে দেওয়া হয় এবং হাতে কিছু সংখ্যক বল দিয়ে তাদের ৮-১০ ফুট সামনে থাকা ছোট ঝুড়িতে বলগুলো ফেলতে বলা হয় , আবার অনেকসময় ঝুড়িতে অনেকগুলো বিভিন্ন রঙের বল রেখে দেওয়া হয় আর প্রতিযোগিদের বলা হয় যে, ৩০ অথবা ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে
কিছু নির্দিষ্ট রঙের বল আলাদা করতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে সবথেকে বেশি বল আলাদা করতে পারে তাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। আর প্রতিটি অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের আকর্ষনীয় সব পুরুস্কার দেওয়া হয়। এসব ছোট ছোট চ্যালেঞ্জের বাইরেও অনেক বড় বড় হার্ড চ্যালেঞ্জিং অনুষ্ঠানও প্রচার হয়ে থাকে যেমন, বিভিন্ন সাইন্স চ্যানেলে প্রচারিত “wild life chalenging program” যেখানে এক বা একাধিক মানুষকে পৃথিবীর এমন সব বিপদজনক স্থানে রেখে আসা হয় যেখানে
পদে পদে রয়েছে মৃত্যুর আশংকা। আধুনিক কোন সরঞ্জাম ছাড়া সম্পুর্ন বন্য উপায়ে জীবন-যাপন করতে হয় এবং মৃত্যুর মুখে নিজের জীবনটাকে টিকিয়ে রাখাটাই সবচাইতে বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই আছেন যারা এই ধরনের চ্যলেঞ্জ গ্রহণ করে থাকেন। এদের মধ্য “বিয়ার গ্রিলস” কে তো আমরা সবাই চিনি।

ব্লু হোয়েল গেমটি যখন কেও ওপেন করে তখন তাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ আনলক করার জন্য রিকোয়েষ্ট করতে হয়। এরপর গেম এর টিম মেম্বাররা তার সাথে যোগাযোগ করে আর সে যদি টিনএজ হয় তাহলে তো কোন কথায় নেই। তখন তাকে বলা হবে যে, সে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে আগ্রহী কি না? যদি আগ্রহী হয় তাহলে তাকে একটি ওয়ার্নিং দেওয়া হয় যে, এ গেমটির সবগুলো চ্যালেঞ্জ কমপ্লিট করতে গিয়ে তোমার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, যদি রাজি থাকো তাহলে Accept কর অন্যথায় এটিকে
Reject করে দাও। তখন একজন টিনএজার ভাবে যে আমি তো গেমটি আমার ঘরে বসে খেলব তাই তারা আমার কি এমন ক্ষতি করতে পারবে, so, আমি এটা accept করেই দেই। এর একটি নমুনা হলো –
victim – I want to play the game.
blue W. team – R u sure? There’s no way to go back.
– Yes. What does that mean? No way back?
– You can’t leave the game once u begin.
– am ready.
– carry out each task diligently and no one must know about it.
when u finish a task u send us a photo. at the end of the game,
u die. R u ready?
– And if I wanna get out?
– We have all your information. They will come after u.
bt don’t worry. The first chalenge has unlock for u.

আর এভাবেই unlock করে দেওয়া হয় গেমটির প্রথম চ্যালেঞ্জ। আমি প্রথমেই বলেছি এই গেমটির প্রথম ১০ টি লেভেল খুবই সহজ, আকর্ষনীয় ও চমকপ্রদ। সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে, যার আকর্ষন করার ক্ষমতা যত বেশি মানুষ তাকে ততোবেশি ভালোবাসে ও বিশ্বাস করে। গেমটিও একই কৌশল অবলম্বন করেছে। এটি শুরুতে খুবই মনভোলানো কথাবার্তা, মজার টিপস এবং ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ দিয়ে যে কাওকেই আপন করে নেয়। তবে এর আকর্ষন করার ক্ষমতা এতটাই প্রবল যে,
যারায় এই গেমটি খেলেছে, তাদের সবাই এর প্রথম ১০ লেভেল খেলার পর এটিকে তাদের নিজের জীবনের একটি অংশ বানিয়ে ফেলেছিল। গেমটিতে তাদেরকে যে তথ্য দেওয়া হতো তারা যাচাই বাছাই না করেই তা বিশ্বাস করে ফেলত এবং সে অনুযায়ী কাজ করত। কারণ তারা জানত, যাকে জীবনের একটা অংশ বানিয়েছি সে নিশ্চই আমাদের সাথে কোন বেইমানি করবে না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাদের ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এর পাসওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পারসনাল ইনফরমেশন
হাতিয়ে নিতে শুরু করা হয়।

#ট্যাটু চ্যালেঞ্জ

/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
প্রথম ১০টি চ্যালেঞ্জ কম্পিলিট হওয়ার পর গেমারকে পরবর্তী ১০ লেভেল খেলার জন্য প্রিপেয়ার করানো হয়। যেহুতু টিনএজরা কল্পনা প্রবল হয়ে থাকে সেহেতু এই লেভেল গুলোতে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রচুর কল্পনা করানো হয়। আর এই পর্বেও চলতে থাকে ছলেবলে কৌশলে তাদের পার্সনাল ইনফরমেশন হাতিয়ে নেওয়ার কাজ। আর একজন প্লেয়ার নিজের অজান্তেই তাদেরকে সব তথ্য দিতে থাকে।
এই পর্বে ১৫ লেভেলের পর গেমারকে একটি নীল তিমির একটি ছবি আঁকতে শেখানো হয় এবং পরবর্তী কোন এক লেভেলে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে উক্ত ছবিটি আঁকতে বলা হয়। বলা হয় যে, ব্লেড অথবা সুচ দিয়ে তোমার হাতে একটি ব্লু হোয়েলের (নীল তিমির) ছবি আঁক, কিন্তু সাবধান এর ক্ষত যেন বেশি গভীর না হয়। আর এভাবেই শেষ হয় আরও দশটি লেভেল ।

#ড্রাগ চ্যালেঞ্জ
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
প্রথম ২০টি চ্যালেঞ্জ কম্পিলিট হওয়ার পর পরবর্তী ২১-৩০ নং লেভেলে গেমার টিম তাদের কৌশল পাল্টে ফেলে। কারণ ইতিমধ্যেই তারা একজন গেমারের ছোট-খাটো সকল তথ্য ও পার্সনাল ইনফরমেশন নিয়ে নেয়। এবং এর পরই তারা গেমারকে বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এই পর্বের চ্যালেঞ্জগুলোর অনেকটা “হিপন্সিস” এর মাধ্যমে ঘটানো হয়। হিপ্নসিস হলো মানুষের মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রন করার একটি প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়াকে নিখুত ভাবে কাজে লাগিয়ে গেমারকে পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যেমন, ঠান্ডার রাতে একটা হালকা ড্রেস পরে সারারাত জেগে হাকা এবং সারাদিন না খয়ে থাকা, পরিবারের সাথে ঝগড়া করা এবং বাড়ি থেকে টাকা চুড়ি করা, ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধবের একান্তই কিছু ব্যক্তিগত জিনিশ চুরি করা এবং প্রমান হিসেবে সেগুলোর একটি করে ফটো আপলোড দেওয়া ইত্যাদি। ২৫ লেভেলের পর গেমারকে বিভিন্ন ড্রাগ নিতে অভ্যাস্ত করা হয় এবং খুব সুক্ষভাবে হিপ্নসিসের মাত্রা বৃদ্ধি করে লেভেল ৩০ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

৩০ টি চ্যালেঞ্জ সম্পুর্ন হলে ব্লু হোয়েল টিম আরও বেশি কৌশলী হয়ে উঠে এবং তারা পরবর্তি লেভেল গুলো একেবারেই আনলক করতে চাই না। আর এদিকে ৩০ টি লেভেল কম্পিলিট করে একজন গেমারের অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, সে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে এর জন্য সে যেকোন কিছু করতে করতে প্রস্তুত থাকে। আর তারা এটাকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে তারা গেমের ৩১ নং চ্যালেঞ্জ আনলক করে দেয় আর তাতে বলা হয় যে, তুমি নগ্ন পোজে বেশকিছু ফটো তুলে আমাদের কাছে আপলোড করো।
গেমার তখন ড্রাগের কারণে হোক অথবা হিপন্সিস জনিত কারনেই হোক সে গেমটার প্রতি এতটাই অ্যাফেক্টেড হয়ে পরে যে সে নিজের নগ্ন ফটো আপলোড দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। আর এ ভাবেই গেমটি তাকে পরবর্তী লেভেল গুলোতে বাধ্য করে অতি ভারিমাত্রার ড্রাগ নিতে, কারও সাথে সেক্স করে তার ফটো আপলোড দিতে আর গেমটির ৪০ নং চ্যালেঞ্জে বলা হয় যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত পক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টা সুচ প্রবেশ করিয়ে তার একটি ফটো আমাদের কাছে সেন্ড করো।


#dethly blue whale
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
৪০ টি চ্যালেঞ্জ কম্পিলিট হওয়ার পর গেমার এতটাই মানুষিক ভাবে বিকার গ্রস্থ ও ভীত হয়ে পরে যে, সে বার বার ব্লু হোয়েল টিমকে রিকোয়েষ্ট করতে থাকে, সে আর এই গেমটি খেলতে চায় না, সে আর চাপ নিতে পারছে না, তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু ব্লু হোয়েল টিম তাকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতে তাকে ব্লাক মেইল করতে শুরু করে। বলে যে, তুমি যদি পরবর্তি চ্যালেঞ্জ গ্রহন না কর। তাহলে তোমার নগ্ন ফটো গুলো তোমার ফেসবুকে পোষ্ট করে দেওয়া হবে, তোমার ড্রাগ নেওয়ার সকল প্রমান পুলিশকে দিয়ে দেওয়া হবে, তোমার সেক্স করার ফটোগুলো তোমার বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ করে দেওয়া হবে, ফ্রেন্ডদের ব্যক্তিগত জিনিশ ও বাড়িতে টাকা চুড়ির ঘটনাগুলোও প্রকাশ করে দেওয়া হবে। তাদের এই ধরণের কথা শুনে গেমার আরও বেশি আতংকিত হয়ে পরে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয় পরবর্তি চ্যালেঞ্জ accept করতে। সুতরাং আবার তাক বাধ্য করা হয় শরীরে ব্লেড কিংবা ছুরি চালাতে এবং ভারি মাত্রার ড্রাগ নিতে। গেমার যখন আর এ সব চাপ নিতে পারে না তখন সে আপন মনেই আত্নহনের পথ বেছে নেয়। গেমটির ৫০ নম্বর চ্যালেঞ্জে বলা হয় ,
এটি সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ, এর পর আমরা তোমাকে আর কোন ভাবে বিরক্ত করব না। এই চ্যালেঞ্জে তোমাকে আমাদের দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী শেষবারের মত একটি ড্রাগ সংগ্রহ করতে হবে। এটি নিয়ে কোন একটি উচু বিল্ডিং এর ছাদে উঠতে হবে এবং একেবারে কিণারায় দাড়িয়ে এটি তোমার শরীরে পুশ করতে হবে এবং প্রমান সরুপ এর একটি সেলফি তুলে আমাদেরকে দিতে হবে, যাতে করে আমরা বুঝতে পারি যে, তুমি সকল নির্দশনা গুলো সঠিক ভাবে পুরণ করেছ আর এরপরই তোমাকে সকল পার্সনাল ইনফরমেশন ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তুমি গেমটিকে আনইন্সটল করতে পারবে এবং তুমি সেফ থাকবে।

#সুইসাইড
/What.is.blue.whale.How.did.it.take.peoples.lives.in.bangla, free download blue whale, youtube.com.facebook.com, youtubehelpbd.com
নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই গেমার ড্রাগটি সংগ্রহ করে ফেলে এবং সেটি নিয়ে একটি ১৫ তলা আপার্ট্মেন্টের একবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে সেটিকে নিজের শরীরে পুশ করে দেয়। পুশ করার একটি সেলফি তুলে সেটি ব্লু হোয়েলে আপলোড করে এবং এর টিম মেম্বাররা এটি নিশ্চিত হয়ে তাকে কংগ্রাচুলেশন্স জানায় । বলে তুমি এই গেমের সকল লেভেল সম্পুর্ন করেছ এবং তোমাকে আমাদের আর দরকার নেই, তাই আজ থেকে তুমি মুক্ত। নিচে তাকিয়ে দেখ তোমার গন্ত্যব্য তোমাকে ডাকছে, সূতরাং,
বেশি দেরি করো না, এক্ষনি ঝাঁপ দাও। আর গেমার তখন ড্রাগ অ্যাফেক্টেড থাকার কারনে সম্পুর্ন হীতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং বুঝতে পারে না যে, তাকে কি করতে হবে। প্রচন্ড ঘু্মের চাপে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে, সে চারদিকে ঝাপসা দেখতে শুরু করে। নিজের অজান্তেই সে সত্যি সত্যিই ঝাঁপ দিয়ে বসে এবং নিজের মুক্তির পথ খুজে নেয়। আর ব্লু হোয়েলও খুজতে থাকে তার পরবর্তী শিকারকে।

ব্লু হোয়েলের আরও আকর্ষনীয় বিষয় হলো এর simple graphical interface. এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকা এর বেশ কিছু ব্রেইন ওয়াশ background music. গেমটির গ্রাফিক্স খুব সিম্পল হলেও এর পুরো ইন্টারফেস সকলেরই পছন্দ হবে। আর একজন মানুষকে মেডিটেট করার জন্য মিউজিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মানুষকে হিপ্নসিস করার ক্ষেত্রে কিছু মিউজিক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্লু হোয়েলে এই বিষইটিকে খুব সুন্দর ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে, একটি মিউজিক কিভাবে মানুষের ধ্যান-জ্ঞানকে এক করে ফেলতে পারে।কিন্তু আসলে এটিও সম্ভব।

মধ্যযুগে ইরানের কিছু দস্যুরা দস্যুবৃত্তির জন্য এক বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছিল। নির্জন মরুভূমিতে যখন কোন কাফেলা যেত, তারা তার আশেপাশে সন্তুর (ইরানি বাদ্যযন্ত্র) এর এমন এক রাগ সৃষ্টি করত যে, কাফেলার সকল লোকজন সে সুরে বিমহিত হয়ে পরত আর মাতাল হয়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকত। এই সুযোগে দস্যুরা তাদের সমস্ত অস্ত্রসস্ত্র, ধনসম্পদ ও মালামাল লুট করত। ব্লু হোয়েলের টিমও একই কৌশল কাজে লাগিয়েছে। গেমারকে ভারি কোন চ্যলেঞ্জ দেওয়ার আগে তাকে ড্রাগ এবং গেমটিতে কিছু ব্রেইন ওয়াস মিউজিক চালিয়ে দেওয়া হতো। হিপ্নসিস করার পূর্বে তারা এই মিউজিক গুলোকে প্রধান হাতিয়ার
হিসেবে ব্যবহার করত। এর ফলসরুপ গেমারের ধ্যান, মন ও জ্ঞান একটি বিন্দুতে পরিনত হত আর তাকে বাধ্য করা হত সামনের চ্যলেঞ্জগুলোকে accept করতে।
-----------------------------------------

গেমটিতে বেশকিছু ব্রেইন ওয়াশ মিউজিক রয়েছে। তবে “all I want” নামের মিউজিকটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।এটি ইন্টারনেটে avalable আছে। গেমের মতই এটিও সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরকম আরও একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এই গেমে রয়েছে । মিউজিকটির টাইটেল হলো “Runway”.তবে ইন্টারনেটে এর কোন avility নেই। আমি অনেক খুজেও এর কোন হদিস বার করতে পারি নি। তবে “All I want” মিউজিকটি আপনি ইচ্ছা করলেই শুনতে পারবেন।
ব্লু হোয়েলের তৈরি করা একটি ভিডিওসহ মিউজিকটি এই লিংকে দেওয়া আছে। আপনারা যারা শুনতে চান তারা [link|এই লিংকে ক্লিক করে শুনতে পারেন। ভিডিও সহ পুরো মিউজিকটিই এখানে দেওয়া আছে। কেউ যদি ভাবেন যে এটি আমার কতখানি ব্রেইন ওয়াস করতে পারবে? তাহলে আমি বলব রাত 02:00 am এর পর অন্ধকার একটি ঘরে রিলাক্স হয়ে বসে অথবা শুয়ে মিউজিকটি শুনুন, আশা করছি নিজেই এর উত্তরটি পেয়ে যাবেন। এটি প্রথাগত ধারার বাইরের একটি মিউজিক । এটি শুনার পর কিছুটা হলেও আপনি নতুনত্বের স্বাদ পাবেন।

ব্লু হোয়েল গেমটি বিদেশে বেশ আতংক ছড়িয়ে রাখলেও আমাদের দেশে এর কনো প্রভাব নেই। রাশিয়াসহ বাইরের বেশকিছু রাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই গেমটি নির্মূল করার ব্যপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেই সব দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইট access করছে এবং বিভিন্ন জাইগায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই গেমের লিংক গুলোকে জব্দ করছে। বাংলাদেশে এর কোন প্রভাব না থাকলেও এর জন্য গনসচেনতা জাগিয়ে তুলা খুবই জরুরি। কেননা কেও জানে না কে কখন এই গেমের শিকার হয়ে পরবে। তাই এখনই সচেতন হোন এবং অপরকে সচেতন করুন। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখুন, তারা ফোনে অথবা পিসিতে কি করছে, কোন সাইটে
ঢুকছে, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে মিশছে, এসব বিষের প্রতি যত্নবান হোন। আর বাবা-মায়দের আমি অনুরোধ করে বলছি, প্লিজ আপনারা কেউ আপনাদের ১৪-১৫ বছরের সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিবেন না। তারা যতই বায়না করুক না কেন। ছেলেমেয়ে বায়না করবেই, কিন্তু তাদের সব বায়না পুরণ করে দেওয়া মানে তাদেরকে ধংশের মুখে ঠেলে দেওয়া। সুতরাং, সাবধান হন। তাদেরকে কোন মতেই স্মার্টফোন কিনে দিবেন না। যদি বাসা থেকে স্কুল খুব দূরে হয় এবং স্কুলে থাকা অবস্থায় ছেলেমেয়ের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয় কিংবা একান্তই কোন প্রয়োজনে তাদেরকে যদি ফোন দিতেই হয়, তাহলে একটি নরমাল কথা বলা ফোন দিন। এতে করে আপনার যেমন উদ্দেশ্য পুরন হবে অন্যদিকে আপনার সন্তানও সেফ থাকবে।
-------------------------------------------------------
#kids with smartphone

আমার লাইফে এ পর্যন্ত কোন দামি ফোন ইউজ করার সুযোগ হয়নি। অথচ আজকাল কার বাচ্চাদের দেখা যায়, তারা লেটেস্ট আইফোন নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে। এটা ঠিক না। স্মার্টফোনে ব্লু হোয়েলই যে একমাত্র আতংক তা কিন্তু নয় একজন বাচ্চার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকলে তার কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে তা নিশ্চয় আপনাদেরকে বুঝাতে হবে না। তাই আবারও বলছি তাদেরকে স্মার্টফোন দেওয়া থেকে বিরত রাখুন। তাদের প্রতি যত্নবান হন, কাজের চাপে তাদের কখনই দূরে সরিয়ে দিবেন না। প্রতিদিন রাতে অন্তত পক্ষে এক ঘন্টা করে হলেও তাদেরকে সময় দিন এবং তাদের ভালোমন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। শাষন করতে হলে মেরে শাসন করবেন না,
তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন অথবা হালকা ভাবে শাসন করুন। কোন ভুল করলে নিজ দায়িত্বে তাদের ভুলগুলোকে শুধরিয়ে দিন এবং তাদের ভিতর সামাজিক ও ধর্মীয় মুল্যবোধ জাগিয়ে তুলুন। তাহলে দেখবেন তারা কখনো আর ভুল পথে যাবে না এবং আপনারাও তাদের কাছে আজিবন শ্রেষ্ঠ বাবা-মা হয়েই থাকবেন। আর এভাবেই সন্তানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশা করছি।

শেষ করার আগে আর একটি কথা, অনেকেই মনে করছেন যে, যেহুতু ব্লু হোয়েলের নির্মতাকে অ্যারেষ্ট করা হয়েছে সেহুতু এটি আর কোন আতঙ্কের বিষয় না। এটা একেবারেই ভুল। এর নির্মাতাকে গ্রেফতার করা হলেও এর টিম মেম্বাররা বিভিন্ন দেশে থেকে গেমটিকে সক্রিয় রেখেছে। আর যেহেতু এর ভয়াবহতা সবাই জেনে ফেলেছে সেহুতু এটি নতুন কোন কৌশলে আবার হাজির হতে পারে। তাই সাবধান হোন । কোন আজেবাজে লিংকে ঢুকবেন না কিংবা কোন আকর্ষনীয় অ্যাপ বা গেম দেখা মাত্রই ইন্সটল করে ফেলবেন না। কোন অ্যাপ বা গেম ইন্সটল করার আগে অন্তত্বঃপক্ষে একবাবের জন্য হোলেও ভেবে নিন যে, আসলেই এটি আপনার প্রয়োজন আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে তাকে এড়িয়ে চলায় ভালো। আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আশেপাশের কোন পরিচিত মানুষকে, ফেসবুক, টুইটার অথবা ইন্সটাগ্রামে #IaminWhale লিখে কোন পোষ্ট করতে দেখেন তাহলে বুঝে নিবেন, সে ব্লু হোয়েলের শিকার হয়েছে। কেননা এই গেমের কোন এক চ্যালেঞ্জে প্লেয়ারকে
বলা হয়, সোসিয়াল মিডিয়ায় #IaminWhale লিখে হ্যাস ট্যাগ দিতে। এরকম কোন পোষ্ট দেখলে তাকে অবস্যই গেমটির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্ক বলুন এবং গেমটি খেলতে নিষধ করুন, তার ফ্যামিলিতে ব্যাপারটি জানান আর তাকে মৃত্যর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।

সবশেষে আমি আপনাদের দুইটি ভিডিও দিচ্ছি। যাদের ব্লু হোয়েল সম্পর্কে এখনো কৌতুহল মিটে নি, তার প্রথম ভিডিওতে দেখতে পাবেন, গেমটি ইন্সটল করার পর এতে ০১ থেক ৫০ লেভেল পর্যন্ত কি কি চ্যালেঞ্জ থাকে এবং দ্বিতীয় লিংকে দেখতে পাবেন এই গেমটির শিকার হয়ে একজন চাইনিজ তরুনি কিভাবে মৃত্যর পথ বেছে নিচ্ছে। দুটো লিংকই নিচে দেওয়া রইলো। যাদের ইচ্ছা হবে, দেখে নিবেন । ধন্যবাদ সবাইকে।



এই পোস্টটি somewhereinblog থেকে কপি কৃত।

থার্টিফার্স্টে ঢাকায় হামলার শঙ্কা,- সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র!

 

আসছে ৩১ ডিসেম্বর রাতে (থার্টিফার্স্ট নাইট) ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার আশংকা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।

ব্যাপক জনসমাগমস্থল বা ভীড় এবং যেসব এলাকায় বিদেশি নাগরিকরা বেশি চলাফেরা করেন, এমন জায়গা এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, ‘নববর্ষ উদযাপন সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ছুটির মৌসুমে স্থানীয় নিরাপত্তা উন্নয়নের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।’

ঢাকায় দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জঙ্গিবাদী সহিংসতার আশঙ্কা বিদ্যমান। ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি ভ্রমণ সতর্কতা এখনো কার্যকর এবং সন্ত্রাসী হামলা এখনো হতে পারে।’

গত বুধবার রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা থার্টিফার্স্ট নাইট রাজধানীতে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্ফোরক সংগ্রহ করছিল বলে জানায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, পাঁচজনের হেফাজত থেকে ৩০ কেজি তরল ও পাউডারজাতীয় বিস্ফোরক পদার্থ, বোমা তৈরির বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও বই উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ওই পাঁচজন স্বীকার করেছে, তারা জেএমবির পুরোনো ধারার সক্রিয় সদস্য। জেএমবির রাজশাহী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জিয়া, হায়দার ও শহীদুল্লাহর নির্দেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী, ঢাকা শহরে থার্টিফার্স্ট নাইটে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্ফোরক সংগ্রহ করছিল।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন—মো. রিয়াজ ওরফে ইঞ্জিনিয়ার ওরফে রাকিব, মো. আবু বিন সা‌ঈম ওরফে বাপ্পি ওরফে অপু, কাজী আবদুল্লাহ আল ওসমান ওরফে আহসান, মো. সোহাগ ওরফে চেয়ারম্যান ও মো. মামুন ওরফে হিমেল।

Post by: ntv

খোঁজ মিলেছে অ্যাভাটার শিশুর ! Search matched avatar baby!


নিউজএক্সপ্রেসবিডি.কম, ডেস্ক॥ জেমস ক্যামেরনের অ্যানিমেটেড সুপারহিট ফিল্ম ‘অ্যাভাটার’ এর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে সবার। প্যান্ডোরা নামে একটি গ্রহের স্থানীয় বাসিন্দারা প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ লড়াই চালিয়েছিলেন। পৃথিবীবাসীকে বুঝিয়ে ছিলেন, অরণ্য বাঁচিয়ে রাখার গুরুত্ব কতখানি।

তবে এটা কোন অ্যাভাটার ছবির নয়া সিকুয়াল নয়। কোনও ফিল্মের গল্প ‌নয়, বাস্তবেই খোঁজ মিলেছে প্যান্ডোরা গ্রহের এমন সব শিশু অ্যাভাটারের।

এদের ছবিই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোনও পাকা হাতের ফটো এডিটিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ নয়, সত্যিই নিজের হাতে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন এদের। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? আসলে এগুলো পুতুল। ‘বেবিক্লোন’ নামক কোম্পানি এক বিশেষ ধরনের পুতুল বানিয়েছে। যা দেখতে ‘অ্যাভাটার শিশু’র মতোই।

গায়ের রং নীলছে, মুখের উপর সাদা পুঁতির আলপনার মতো। অ্যাভাটার ছবিতে ছিল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ও নারী, এখানে এই নীল অবতাররা নেহাতই দুধের শিশু। সিলিকন এবং ভিনাইল যা বিশেষ একধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়েছে বেবি পুতুল। হঠাৎ করে দেখেলে বোঝার উপায় নেই যে, আসলে এটা কী?

‘বেবিক্লোন’ নামক কোম্পানি এই বিশেষ পুতুলের নামকরণ করেছেন ‘রিবর্নিং’। এই পুতুলগুলি বর্তমান বাজার দর ১০০০ ডলার থেকে শুরু।
চাঁদের বুকে শালগম ও তুলসী!

চাঁদের বুকে শালগম ও তুলসী!

এবার নাসা ২০১৫ সালের মাঝে চাঁদে শালগম ও তুলসিগাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছে। এর উদ্দেশ্য হল এটি জানা যে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহে মানুষ বসবাস ও কাজ করতে পারবে কিনা সেটি জানা। একটি বাণিজ্যিক মহাশূণ্যযানের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের মাঝে চাঁদে এই গাছগুলো পাঠানো হবে। আর এই কাজটি সম্পন্ন করবে.
PLANT-MOON চাঁদের বুকে শালগম ও তুলসী!
চাঁদের বিরূপ আবহাওয়ায় গাছগুলোকে রক্ষা করার জন্য কফি রাখার ক্যানের আকৃতির কন্টেইনার ব্যবহার করা হবে। এছাড়া থাকবে ক্যামেরা, সেন্সর ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেগুলো গাছগুলোর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করবে। নাসা’র পরিকল্পনা হচ্ছে, এরকম একটি আবদ্ধ কন্টেইনার তৈরি করা যেটিতে ৫-১০ দিনের মাথায় বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারাগাছে পরিণত হবে।
চাঁদে অবতরণ করার পর বীজগুলোতে পানি দেয়া হবে। একটি পানি সংরক্ষণাগার থেকে পানি সরবরাহ করা হবে। এর ফলে বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটবে। আর কন্টেইনারের ভেতরে থাকা বাতাস ৫ দিনের মাঝে বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটানোর জন্য যথেষ্ঠ। গাছগুলোর বৃদ্ধি ৫-১০ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে।
নাসা মনে করে এই মিশনের মাধ্যমে দুটি উদ্দেশ্য সাধিত হবে। এক, গাছ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। দুই, চাঁদ জীবন ধারণের জন্য কতটুকু উপযুক্ত তা জানা যাবে। আর এর মাধ্যমেই হয়তো নিশ্চিত হওয়া যাবে, চাঁদ মানুষের বসবাস ও কাজ করার মত উপযুক্ত কিনা।
এর আগে গত বছর চীন চাঁদ কিংবা মঙ্গলে শাকসবজি উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছিল, যেগুলো নভোচারীদের খাবারের যোগান দিতে সক্ষম হবে।
কী হবে পৃথিবী ১ সেকেন্ড থেমে গেলে ?

কী হবে পৃথিবী ১ সেকেন্ড থেমে গেলে ?

চিন্তা কী আর আমাদের একটা। ফেসবুকের নতুন সেলফিটাই ক’টা লাইক পড়ল। স্ট্যাটাস আপডেটটায় কে কী কমেন্ট করল। বাজারে কী নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ হলো। হাজারটা চিন্তা। কিন্তু এত কিছু ভাবনা চিন্তার মধ্যে ভেবে দেখেছেন কি কখনো যদি এই সব কর্মকাণ্ড থেমে যায়! মানে পৃথিবীটা যদি ১ সেকেন্ডের জন্য ঘোরা বন্ধ করে দেয় তবে কী হবে?
index কী হবে পৃথিবী ১ সেকেন্ড থেমে গেলে ?
ভেবে কোনও কূল কিনার পাবেন না কারণ ভাবার সময়টাই পাবেন না। পৃথিবী থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাওয়ায় ভাসতে থাকবে মানুষ, জীবজন্তু থেকে শুরু করে সব প্রাণী। হাড় গোড়, মাংস সব দলা পাকিয়ে মানুষ অনেকটা ভাঙা পুতুলের মতো হয়ে যাবে। দুই মেরু এই অনুভূতি কয়েক সেকেন্ড পরে টের পেলেও শেষ পর্যন্ত একই অবস্থা হবে। প্লেনের ভিতরে থাকা মানুষেরা প্রথমটাই ব্যপারটা বুঝতে না পারলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর আকাশে সৃষ্টি হবে ভয়ঙ্কর এক ঝড়। আর তারপরই সবশেষ। এতো গেল আকাশের কথা। কিন্তু ভূ-পৃষ্ঠে তখন কী হবে?
বাতাসের গতিবেগ প্রচণ্ড বেড়ে যাওয়ার ফলে গোটা পৃথিবী জুড়ে আগুন জ্বলবে। ঠিক যেন আগুনের গোলা। থেমে থাকবে না জলও। পৃথিবীর সমস্ত জলভাগ জুড়ে চলবে বিশাল এক সুনামি। আর সব জল গিয়ে জমা হবে দুই মেরুতে। বাকি পৃথিবী জলশূণ্য হয়ে পড়বে।
এসব ছাড়াও ঘটবে এক অদ্ভূত ঘটনা। পৃথিবী থেমে যাওয়ার ফলে যেদিক সূর্যের সামনে পড়বে সেদিকের সব জ্বলে ছারখার হয়ে যাবে কিন্তু অপর পিঠে সূর্য না থাকায় শূরু হবে ‘আইস এজ’। সব মিলিয়ে, ওই এক সেকেন্ডই পৃথিবীকে তছনছ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। এরপর পৃথিবী আবার আগের মতো ঘুরতে শুরু করলেও পৃথিবীতে কিছুই আর আগের মতো থাকবে না। আর হয়ত কখনও প্রাণের সঞ্চারও সম্ভব হবে না।
এক বিজ্ঞানী এই বিষয়ে বলছেন, If Earth stopped for 1 second and you weren’t belt-buckled to the Earth, you would fall over and roll 800 mph due east… killing everyone.
বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প।

বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প।

ভুতুড়ে শহর !!! এক ভুতের ভয়েই অনেকেই কাহিল হয়ে যায় । আর পৃথিবীতে এমন কিছু শহর আছে যাদেরকে ভুতুড়ে শহর বলা হয়। এর কয়েকটা ট্যুরিষ্টদের জন্য উন্মুক্ত, কয়েকটি খুবই বিপদজনক , আর কয়েকটি জায়গায় যাওয়া অবৈধ। চলুনন দেখে আসি এমন কিছু ভুতুড়ে শহরের বিস্তারিত-
১) KOLMANSKOP (Namibia) (কোলমানসকোপ)
 কোলমানসকোপ, দক্ষিন নামিবিয়ায় অবস্থিত একটি ভুতুড়ে শহর। লুদেরিটজ সমুদ্রবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার ভিতরে। ১৯০৮ সালে নামিব মরুভুমিতে মাগনা মাগনা ডায়মন্ড পরে থাকতে দেখে কালা মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায়, সাথে সাদা মানুষগুলা ছোকছোক স্বভাব মোতাবেক রক্ত চুষতে চলে আসে। মাএ দুই বছরের ভিতর আকখা মরুভুমির ভিতর একটা জাকজমকপূর্ন শহরের জন্ম হয়। এমন একটা শহর যেখানে ক্যাসিনো, স্কুল, হসপিটাল ও বিলাসবহুল আবাসিক ভবন ছিল।
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
কিন্তু কিছুদিন পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ফলে ডায়মন্ডের দাম কমে যায়। যা হবার তাই হলো, দাম কমলে কারও দাম থাকে না। তাই এখান থেকে দলে দলে লোক চলে যেতে থাকে। ১৯৫০ সালের ভিতর এই জমজমাট শহরটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
ফাইনালি মরুভুমির বালু তার হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পায়। এখন মানুষ এই ভাঙ্গা ঘর বাড়ি ও বালু দেখতে ২৪০০ ডলার খরচ করে।
২) PRYPIAT (প্রিপ্লাট)
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
Prypiat হলো উত্তর ইউক্রেনের একটি পরিত্যক্ত শহর যাকে বলা হয় “যোন অফ এলিয়েনেশন”। এটা ছিল চারনোবিল পারমানবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্মীদের আবাসিক এলাকা, ১৯৮৬ সালে চারনোবিল দুর্যোগের পর পরিত্যক্ত হয়। দুর্ঘটনার পূর্বে এর জনসংখ্যা ৫০,০০০ এর কাছাকাছি ছিল।
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
এই কিছুদইন আগে পর্যন্তও, জায়গাটি কার্যকরীভাবে ছিল একটি যাদুঘর, সোভিয়েতপরবর্তী যুগের দলিল হিসাবে। অ্যাপার্টমেন্ট ভবন, সমস্ত সুইমিং পুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য ভবন বাতিল করে দেওয়া হয়, এবং বিল্ডিং ভেতরের সবকিছু রেকর্ড, কাগজপত্র, TVS, বাচ্চাদের খেলনা, আসবাবপত্র, পত্র, এবং পোশাক সহ বাকি যা ছিল তা ওভাবেই পরিত্যাগ করা হয়। অধিবাসীদের শুধুমাত্র একটি স্যুটকেসে নথি, বই ও কাপড় নিবার অনুমতি পেয়েছিল যা কন্টামিনেটেড হয়নি। তবে ২১ শতকের শুরুতে প্রায় সব অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে যা কিছু ছিল তা সম্পূর্ণভাবে ডাকাতি হয়ে যায়। ডাকাতদল এখন থেকে এমন কি বাথরুমের কমডের ঢাকনিটাও তুলে নিয়ে যায়। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ডাকাতির ঘটনা ছিল এটা, ব্যপ্তি কাল ছিল কয়েকদিন।
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
এখন পর্যন্ত জায়গাটি মানুষ বসবাসের অনুপযুক্ত। পারমানবিক শক্তির ক্ষমতায় আমি স্তমভিত।
৩) SAN ZHI (শেন ঝি)
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
উত্তর তাইওয়ান মধ্যে, এই আধুনিক গ্রামটি ধনীদের বিলাসি অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসাবে নির্মান করা হচ্ছিল। নির্মানের সময় এখানে একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার অনেকেই মারা পরে ফলে নির্মান স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থের অভাব এবং সমন্বয়ের অভাবে নির্মান কাজ স্থায়ীভাবে থামিয়ে দেয়া হয়। এবং এই অদ্ভুতদর্শন বাড়ি গুলো এভাবেই পরে থাকে। পার্শ্ববর্তী সময়ে গুজব ছরিয়ে পরে যে, যারা মারা গেছিল তাদের ভুত এই শহরে ঘুড়ে বেরায়।
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
পরে এই ভুতের কাহিনীই সরকার তাদের এই প্রজেক্ট বাতিলের কাভার আপ হিসাবে ব্যবহার করে। মানে হইলো তারা উপর মহলের লোক দের ভয় দেখায় যে যদি এই ভবন গুলা ভাঙ্গা হয় তাহলে এই ভুত গুলো তাদের ক্ষতি করবে। হোয়াট এন আইডিয়া স্যার জি !!!
৪) CRACO (ক্রাকো)
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
Craco, ইতালির ব্রাসিলিকাটার বিভিন্ন অঞ্চল এবং মাটিরা প্রদেশসমূহ মধ্যে অবস্থিত,টরান্টো উপসাগর থেকে ২৫ কিমি ভিতরে। মধ্যযুগীয় এই পাহাড়ি শহরে এলাকায়, পাহাড়ি গম এবং অন্যান্য ফসল চাষের জন্য আদর্শ ছিল না। ১০৬০সাল থেকে এই শহরটির মালিকানা আর্চবিশপদের ছিল।
cms.somewhereinblog.net বিশ্বের ১০টি ভুতুড়ে শহরের অজানা গল্প
১৮৯১ সালে, Craco জনসংখ্যা ২০০০ ছিল, কৃষি উৎপাদে সমস্যা ও দারিদ্রতার কারনে ১৮৯২ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে ১৩০০ জনের মত অধিবাসীকে উত্তর আমেরিকা সরানো হয়েছে। দরিদ্রতা, চাষাবাসে সমস্যা, ভূমিকম্প, ভূমিধস, এবং যুদ্ধের কারনে ১৯৫৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে Craco ধ্বসস্তুপে পরিনত হয়। ১৯৬৩ সালে অবশিষ্ট বাসিন্দাদের একটি কাছাকাছি উপত্যকায় স্থানান্তর করা হয়।

৯ বছর পর পরিত্যক্ত হাসপাতালে জ্বলে উঠলো ‘ভৌতিক’ আলো !

৯ বছর পর পরিত্যক্ত হাসপাতালে জ্বলে উঠলো ‘ভৌতিক’ আলো !

২০০৫ সালের সেই ভয়ানক হ্যারিকেন ক্যাটরিনা। ভয়াবহ সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল পুরো এলাকা। মেক্সিকোর সেই জায়গারই একটা বিশাল বড় হাসপাতালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড় থামতেই গোটা হাসপাতাল খালি করে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২১তলা বিল্ডিংয়ের সেই সুবিশাল হাসপাতালটা এরপর হয়ে যায় পরিত্যক্ত। কেউ আর ওখানে যাননি। যাওয়ার দরকারও পড়েনি।
15084947343-hos ৯ বছর পর পরিত্যক্ত হাসপাতালে জ্বলে উঠলো ‘ভৌতিক’ আলো !
ধীরে ধীরে বিল্ডিংয়ে শ্যাওলা পড়তে শুরু করে। রাতে আলোর অভাবে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। সাক্ষাত্‍ একটা হানাবাড়ি হয়ে দাঁড়িয়ে সেই বিল্ডিংটি। কিন্তু ৯ বছর পর সেই সুবিশাল বিল্ডিংয়ে হঠাৎ জ্বলে উঠল আলো। ক্রিস্টমাসের আলোয় যখন গোটা বিশ্ব ঝলমল করছে, তখন সেই হানাবাড়ির এক ঘরে জ্বলে ওঠে আলো। এমন ছবিই পোস্ট করে চমকে দিলেন লিসা ওয়লি স্ট্যাগস নামের এক মহিলা।
এই ছবি দেখিয়ে অনেকেই বলছেন, এই হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গিয়েছেন, তাদের আত্মা নাকি এখনও এই হাসপাতালে ঘুরছে। তারাই নাকি আলো জ্বালিয়েছে। খবরটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ছবিটিকে ফোটোশপের মাধ্যমে এডিট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় না আলোটা সত্যিই জ্বলেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জানা যায় কেউ বা কারা ওই হাসাপাতালে ঢুকে সেই আলো জ্বালায়। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে তা জানা যায়নি।

ফোনের দাম ১১ লাখ টাকা !



একটি ফোনের দামই টয়োটা গাড়ির সমমূল্যের। ভাবছেন, বিষয়টি একেবারেই গালগল্প? একেবারেই নয়, সম্প্রতি ইসরাইলের প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিরিন ল্যাবস বাজারে এনেছে তাদের তৈরি প্রথম স্মার্টফোন। যার দাম রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ডলার! 
এই দামে একটি ১৩০০ সিসির টয়োটা রিকন্ডিশন গাড়ি অনায়াসেই ক্রয় করা যাবে। ফোনটির নাম রাখা হয়েছে ’দ্য সলেরিন’। শুধু দাম নয়, ফোনটিতে ব্যতিক্রমী কিছু ফিচারও যোগ করা হয়েছে। যা গ্রাহককে অত্যাধিক নিরাপত্তা প্রদান করবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। 

ফোনটিতে যে বৈশিষ্টগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ফোন কল এবং বার্তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। টাইটানিয়াম- ক্ল্যাড নামে বিশেষ এক অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে ফোনটিতে। তবে এটি পরিবর্তন করে কেউ চাইলে সাধারণ অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমেও চালাতে পারবে। 
এই ফোনের কোন তথ্যের এক শতাংশ ফাঁস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ফোনে ব্যবহৃত ২৫৬ বিট এইএস এনক্রিপশন ডাটা ফোনটিকে নিরাপদে রাখবে। 
এতে আরও রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চির কিউএইচডি আইপিএস এলসিডি ৪কে ডিসপ্লে। স্ন্যাপড্রাগনের ৮১০ চিপস এবং ৪ জিবি র‌্যাম। পাশাপাশি বিল্ট ইন মেমোরি রয়েছে ১২০ জিবি। হ্যান্ডসেটটিতে কোন অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফোনটি বানানো হয়েছে এক ধরণের চামড়া দিয়ে যা দেখতে কার্বন ফাইবারের মতো। 
ফোনটিতে ব্যাটারি রয়েছে ৪,০৪০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের। অনেকেই বলছে, ফিচারের দিক থেকে ১১ লাখ টাকার এই ফোনটি স্যামসাংয়ের এস সেভেন এজ অথবা আইফোনের সিক্স এস প্লাসের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরে বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্যের খোঁজ মিলেনি দ্য সলেরিনে। 

নিছে ভিডিওঃ

বাংলাদেশির তৈরি বিনাখরচের বিদ্যুৎবিহীন এসি !

ঢাকা : এয়ার কন্ডিশনার নাম শুনলে মনের দৃশ্যপটে ভেসে ওঠে চারকোণা কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কথা। এই যন্ত্রটি যেমন দামী, তেমন আবার এর খরচও ব্যয়বহুল। কষ্ট করে কিনে ফেললেই কাজ শেষ না মাসে মাসে বৈদ্যুতিক বিল দেখলে এই যন্ত্রটিকে বিদ্যুৎ খাদক মনে হতেই পারে। এমন যদি হই এমন একটি এসি, যেটা কিনতে কোন টাকা লাগবে না আবার প্রতিমাসে বৈদ্যুতিক বিল দেয়ার চিন্তাও থাকবে না তাহলে কেমন হয়? 
কোন রুপকথা নয়। বাংলাদেশের একজন উদ্ভাবক আশিষ পাল বানিয়েছেন এমন এক এসি যা বানাতে খরচের খাত নেই বললেই চলে। আর বিদ্যুৎ বিল তো দুরের কথা ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না এই এসি ব্যবহার করতে। পুরাতন পানির বোতল আর একটি কাগজের বোর্ড দিয়ে সহজেই বানানো যাবে এই এসি। এটি তৈরি করতে কোন প্রকৌশলীর দরকার হবে না। দরকার হবে না কোন ওয়্যারিং যন্ত্রাদি। 
আশিষ পাল এই যন্ত্রটির নাম দিয়েছেন ‘ইকো কুলার।’ পুরাতন প্লাস্টিকের বোতলকে কাজে লাগিয়ে এর আগে ফুলের টব অথবা ফুলদানি, কলম দানি বানানো হয়েছে। তবে এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এই পুরাতন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে আশিষ পাল তৈরি করেছেন বিশেষ এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি। 
কিভাবে এই এসি বানানোর পরিকল্পনা মাথায় আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে আশিষ পালের উদ্ভাবন ঘটনাটাও বেশ আকর্ষণীয়। মেয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা করতে শোনেন, দ্রুত গতিতে গ্যাস চলাচলের ফলে তা শীতল হয়। আবিষ্কারের আগ্রহ যাদের থাকে, তারা এ কথাতে নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা করতেই পারেন। আশিষ পাল ঠিক সেই কাজটি করেছেন। 
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে গ্রুপে ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত হলেও উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহ তার আগে থেকেই।  প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে স্বল্প খরচে এ বিদ্যুৎবিহীন ও পরিবেশবান্ধব এসি উদ্ভাবন করেছেন। তার এই উদ্ভাবনের পর গ্রে গ্রুপ কল্যাণমূলক কাজ হিসেবে গ্রামীণ বাংলার হাজার হাজার মানুষকে এই যন্ত্র তৈরি শেখানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এই এসির কার্যপ্রণালীর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি সহজভাবে। মুখের সামনে হাত রেখে ভেতর থেকে ফু দিন। কি হবে? গরম বাতাস বের হবে। আবার মুখটিকে একটু সরু করে বাতাস ছাড়ুন। দেখবেন হাতে ঠান্ডা বাতাস লাগছে। বাতাসটি একই ভাবে আসলেও ফলাফল ভিন্ন। তিনি ঠিক এই সুত্রকেই কাজে লাগিয়েছেন। 
সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানী বার্নলির তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। বোতলটিকে মাঝ বরাবর কেটে সরু অংশটি থাকবে ঘরের ভেতরে। খোলা অংশটি থাকবে বাইরে। ফলে কি হবে? বেশি বাতাস প্রবেশ করবে কিন্তু বের হবে সরু মুখ দিয়ে। যার কারণে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাবে এবং রুমের ভেতরটাও শীতল হবে। 
 বিনা খরচে বিদ্যুৎবিহীন এসির উদ্ভাবক  আশীষ পাল 
এভাবে বোতলগুলো কাগজের বোর্ডে সংযুক্ত করে কক্ষের জানালায় যুক্ত করে দিলেই রুমে প্রবেশ করবে ঠান্ডা বাতাস।  এই যন্ত্র দিয়ে ঘরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমিয়ে আনা যায়। যখন ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা কমে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসে তা মানুষকে স্বস্তি দেয়।
এই পদ্ধতি শহরের জন্য তেমন কার্যকর নয়। তবে গ্রামে, যেখানে বাইরে বেশি বাতাস থাকে কিন্তু বাসার ভেতর কম বাতাস থাকে, সেখানে ব্যবহার করার জন্য উপযোগী এই বিনামূল্যে নিজে তৈরি করার উপযোগী যন্ত্রটি। 
বাংলাদেশে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার প্রায় প্রতিটি ঘরেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইকো কুলার। অন্যান্য অনেক গ্রামে ইন্টেল এবং গ্রামীণের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা যন্ত্রগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। গ্রামীণ-ইন্টেল যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দেখুনঃ ভিডিওতে:

আমি মেয়ে হয়ে কেন পারবো না। আমাদের দেশের সব মেয়েদের এই রকম তেজ থাকা দরকার।


একজন ছেলে যদি বাবা-মায়ের সংসারের হাল ধরতে পারে তাহলে আমি মেয়ে হয়ে কেন পারবো না। এই দায়িত্ব কি শুধুই ছেলেদের। মেয়েরাও তো একই বাবা-মায়ের সন্তান। সুযোগ থাক আর না থাক বাবা-মায়ের পাশে ছেলে-মেয়ে যাই হোক সব সন্তানকে দায়িত্ব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া উচিত বলে মনে করেন শারমিন। গতকাল রোববার শারমিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এভাবেই মনের কথা ব্যক্ত করছিলন তিনি।
আমি মেয়ে হয়ে কেন পারবো না।

ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম নতুন গাজীপুরের। জেলা শহর থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রামের অটোরিকশা চালক এজাবুল হকের তিন মেয়ের মধ্যে বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। এরপর তাদের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ বাবার চিকিৎসাসহ সংসারের হাল ধরতে বাবার সেই অটোরিকশার সিটে বসেছেন ছোট মেয়ে শারমিন।

লেখাপড়ার পাশাপাশি সারাদিন অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় করেন শারমিন তা দিয়ে সংসারের খরচ চালান তিনি।

স্থানীয় ২২নং বাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে শারমিন পঞ্চম শ্রেণি পাশ করার পর একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অভাবের সংসারে তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে না পেরে তাকে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার মা। সেখান থেকেই ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শারমিন।

শারমিনের বাবা এজাবুল হক জাগো নিউজকে জানান, এক সময় তিনি দিনমজুর ছিলেন। পরে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে রিকশাভ্যান কেনেন। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমত রিকশাভ্যান চালাতে পারতেন না। তাই সেটি বিক্রি করে এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আরো কিছু টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা দিয়ে একটি অটোরিকশা কেনেন তিনি। প্রতি মাসে ওই অটোরিকশা বাবদ তাকে ৫ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। কিন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিয়মিত অটোরিকশাও চালাতে পারেন না। এক সময় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে বাবার পাশে এসে দাঁড়ায় ছোট মেয়ে শারমিন। লেখাপড়ার পাশাপাশি দেড় বছর থেকে বাবার অটোরিকশা চালাচ্ছে সে। বর্তমানে তার সংসারে কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

শারমিনের ইচ্ছা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার। যদি সে এমন সুযোগ পায় তবে সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে সে।

৩ মেয়েকে ধর্ষণ করিয়ে পর্ণ ভিডিও বানালেন বাবা !


তারা ছোট ছোট তিনটি মেয়ে। তিন বোন। একজনের বয়স ১২, একজনের ১৪, আর একজনের ১৬। এই বয়সেই জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়টা কাটিয়ে ফেলেছে তিনজনই। হয়েছে জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা।
এই মেয়েগুলিকেই এক মানুষবেশী পশুর হাতে বিক্রি করে দিয়েছিল তাদের বাবা। তারপরের সময়টা বড় যন্ত্রণার
নিত্যদিন তাদের উপর যৌন নিপীড়ন, তাদের দিয়ে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি তৈরি – সবই হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৩ বছরের বাবাকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত। বিচারকও এই ঘটনাকে তাঁর দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০১২ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত এক নিদারুণ পৈশাচিক অত্যাচার চলেছে তিন বোনের উপর। বিষয়টা পুলিশের নজরে আসে স্কুলের একটি অভিযোগ থেকে।

স্কুলের থেকে জানানো হয়েছিল, এই তিন বোন বঞ্চনার শিকার। তাদের কিছু শারীরিক সমস্যাও রয়েছে। দীর্ঘদিন তারা স্কুলে যাচ্ছে না।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই তিন মেয়ের বাবা তাদের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। তারপর ওদের উপর চলে ধর্ষণ, যৌন অত্যাচার। ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার হওয়া বাবার বিরুদ্ধে মেয়েদের উপর যৌন অত্যাচার, তাদের দিয়ে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি তৈরি করার অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে আদালত। এর চেয়ে ভয়াবহ ও গুরুতর অপরাধ তাঁর ৩০ বছরের কর্মজীবনে আগে দেখেননি বলে জানিয়েছেন বিচারক।

সূত্রঃইন্ডিয়ান টাইমস

অন্যকে খাইয়েও রোজা রাখছে শিশু সুমন !


১১ বছরের শিশু সুমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চা দোকানে কাজ করে। সারা দিন শত শত মানুষকে খাওয়ালেও পবিত্র মাহে রমজানের রোজা রাখছে নিজে।

ভাগ্যের নির্মমতায় শিক্ষা অর্জনের পরিবর্তনে চায়ের কাপ ধোয়ার কাজে ব্যস্ত শিশু সুমন। কাজের ফাঁকে কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।

রোজার বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন বলে, ‌’আরে ভাই আমি তো সব সময়ই রোজা রাখি। কোনো দিন খাইয়া, কোনোদিন না খাইয়া। পেটের জ্বালা কী বুঝি না।’

প্রতিদিনের মত সুমন আজও রোজা রেখেছে। তবে, আজকের রোজাটি সেহরি না খেয়েই রেখেছে। কারণ তার খাবার জুটেনি। কিন্তু ইফতারটা ভালো করে করা প্রবল ইচ্ছে তার, সেজন্য বেশ কয়েকটি দোকানের ধোয়ামোছার কাজ করছে, যাতে ভালো টাকা পায়।

সুমন জানায়, সে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিত্যক্ত ভ্যানগাড়ির নিচে পলিথিনে তৈরি তার মায়ের ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে থাকে। বাবা ভৈরবে থাকেন। তাদের খোঁজ নিতে আসে না। মা-ই তাদের সংসার দেখে। কিন্তু মা এখন ভীষণ অসুস্থ। তাই কখনও ফুল বিক্রি করে বা চায়ের দোকানে কাজ করে সে। এ কাজে যে অর্থ মিলে তার সবটুকু মাকে দেয়।

সুমন বলে, বুঝ হওয়ার পর থেকেই মার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেড়ে উঠেছে সে। এতদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাঁঠাল চাপা ফুল বিক্রি করে আসছে। এখন ফুল নেই। এজন্য দোকোন দোকানে কাজ করে।

গত কয়েকদিনে টিএসসির সামনে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানে ধোয়ামোছার কাজে দিন কাটে সুমনের। এতে দিন শেষে বিনিময়ে পায় ১০টাকা করে। আজ দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ৫টি দোকানে ধোয়ামোছার কাজ করেছে। এতে ৫০ টাকা পাবে, সেটা মাকে দেবে এবং নিজেরা মজা করে ইফতার করবে।

সুমন জানায়, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে আসা অনেক শিক্ষর্থী তাকে বিভিন্ন সময় কাপড়-চোপড় দেয়। অবশ্য সেটা তার পরা হয় না। গ্রামে থাকা আরও একছোট বোন এবং দুই ভাইয়ের জন্য এ কাপড় পাঠিয়ে দেয় সে।

সুমনের মায়ের কী অসুখ হয়েছে- জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমন বলে, ’শুধু কাশে। একদম চিকন হয়ে গেছে মা। অনেক বছর ধরে বাবা আয়ে না। আমি যদি বেশি টাকা পাইতাম, মাকে হাসপাতালে নিতাম, চিকিৎসা করতাম। মার জন্য মায়া হয়।’ এরপর কান্না শুরু করে।

পাশে থাকা এক ছাত্র, তার হাতে ১০০ টাকা দিতেই সুমন ফিরিয়ে দেয়। বলে, ’আমি ভিক্ষা করি না। কারো থেকে টাকাও নেই না। কাজ কইরা নিজে খাই মাকে দেই। আম্মা বলেছে, ভৈরবে আমাদের সম্পত্তি আছে। কিন্তু আমরা রোদ- বৃষ্টি-ঝড়ে সোহওয়ার্দীতে থাকি।’

ফেসবুকে তনুকে ‘বিরক্ত’ করা ফোন নম্বরটি কার? বিস্তারিত দেখুন।

কুমিল্লা শহরের বাইরে সেনানিবাস এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ১৯ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। কলেজ থিয়েটারের সদস্য ছিলেন। সন্ধ্যায় টিউশনি করিয়ে ঘরে ফিরতেন তিনি। টিউশনি করিয়ে ঘরে ফেরার পথে গত রোববার রাতে ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছে তনুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহান তনু গত বছরের শেষ দিকে ফেইসবুকে একটি মোবাইল নম্বরের আটটি ডিজিট শেয়ার করে ওই নম্বর থেকে তাকে বিরক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন।কুমিল্লা  ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাসের ছাত্রী তনুর মৃত্যুর পর চার দিনেও পুলিশ হত্যাকারীর হদিস না পাওয়ায় সেই নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তের দাবি উঠেছে।

‘Jahan Zara’ নামে ফেইসবুকে সক্রিয় থাকা তনু গত ৩ নভেম্বর এক পোস্টে লেখেন, “কিছু মানুষ এত বাজে.. ০১৯৭১৮৩১৮৫.. এত কল কেন যে দিতেছে উফ…।”ওই পোস্টে সে সময় একজন প্রশ্ন করেছিলেন, “কে সে, তুমি কি তাকে চেন? রিসিভ করে কথা বল। জবাবে তনু লিখেছিলেন, তিনি তাকে চেনেন না। বৃহস্পতিবার  তনুর ওই পোস্ট শেয়ার করে ফোন নম্বরটির হদিস বের করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
সাইফুল ইসলাম রিফাত নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, “আমি জানি, আমার এই কথায় তেমন কোনো যুক্তি নেই। তবুও, এই নম্বরটা কার সেই ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। তনুকে এই নম্বর থেকে বিরক্ত করা হয়েছে!কামাল  হোসাইন সোরব নামে অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই নম্বর থেকে সোহাগী জাহান তনুকে খুব বিরক্ত করতো, কার এই নাম্বার????????
সিলেটে বেড়াতে গিয়ে তোলা কিছু ছবি সর্বশেষ গত ২০ মার্চ ফেইসবুকে আপলোড করেছিলেন তনু।ওইদিন  রাতেই ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকার একটি কালভার্টের রাস্তার পাশে ঝোঁপের মধ্যে ১৯ বছর বয়সী এই তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই পাওয়া যায় তনুর জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না।

পুলিশের ধারণা, খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল তনুকে। তনুর অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করেছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের আবেদনের ভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ‘রিমেম্বারিং’ করা হয়। ২০১১ সালে ফেইসবুক এই সুবিধা চালু করে।মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টকে এভাবে স্মরণ করলে ওই অ্যাকাউন্টের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ বদলে যায়। কেবল বন্ধুরাই ওই প্রোফাইল দেখতে পারেন। স্মরণ করা অ্যাকাউন্টে আর কেউ ‘লগ ইন’ করতে পারেন না, হোম পেইজেও ওই অ্যাকাউন্টের সাজেশন যায় না, জন্মদিনের নোটিফিকেশনও দেওয়া হয় না।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তনুর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর তাকে গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে দাফন করা হয়।তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অলিপুর এলাকায় তাদের বাসা।তনুর সহপাঠী মাইনুল হক স্বপন জানান, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার বন্ধু টিউশনি করতেন। ছাত্রের বাসা থেকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বেরিয়েছিলেন তনু।তার দুই ঘণ্টা পর সেনানিবাস এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়।