ওয়েব ৩.০ ইন্টারনেটের নয়া জামানা সম্পর্কে আমাদের যা জানা প্রয়োজন!

শুরুর আলাপ

টেক দুনিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে নানারকম কানাঘুষা শোনা যায়, আমাদের সুপরিচিত ইন্টারনেট নাকি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। পুরানো চেহারা পাল্টে নতুনরূপে তার আবির্ভাব ঘটার আগমনী বার্তা শোনা যাচ্ছে চারপাশে। নতুন এই ইন্টারনেটকে বলা হচ্ছে ওয়েব ৩.০। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন আদতে কী কী পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে সামনের দিনগুলোয় আর তা কিভাবে বদলে দেবে আজকের ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রিকে। রোর বাংলার পাঠকদের সে বিষয়ে জানিয়ে রাখতেই এই আয়োজন।

ওয়েব ৩.০ সম্পর্কে জানার আগে আমাদের ভালোভাবে জানা প্রয়োজন এর পূর্বতন দুটি ভার্সন সম্পর্কে। তাই আগে আমরা ওয়েব ১.০ এবং ওয়েব ২.০ সম্পর্কে জেনে নেবো সংক্ষেপে।

ওয়েব ১.০

কতিপয় স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট নিয়ে গড়ে উঠেছিলো প্রথম যুগের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। একটি সাইট তখন হাজার রকমের তথ্য দিয়ে বোঝাই ছিলো, ছিলো না কোনো ব্যবহারকারীর সাথে ইন্টার‌্যাক্ট করতে পারে এমন কোনো কন্টেন্ট। সেসময় ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট করাও ছিলো বিশাল ঝক্কির ব্যাপার। বারে বারে মডেম দিয়ে ডায়াল করা বা টেলিফোন ক্যাবল ব্যবহার করে বাসার অন্য সবাইকে টেলিফোন ব্যবহার করতে না দেয়া ছিলো খুবই পরিচিত দৃশ্য। যারা অনেক পুরোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, তাদের হয়তো ঘটনাগুলোর ফ্ল্যাশব্যাক হয়ে গেলো একে একে।

ইন্টারনেট বোঝাতে অনেকেই তখন বুঝতেন এওএল চ্যাট রুম বা এমএসএন ম্যাসেঞ্জার, আস্ক জিভস বা আলতা ভিসতা। আর ইন্টানেটের গতি যেন ছিলো দুঃস্বপ্নের মতো। এখনকার সময়ে ভিডিও এবং মিউজিক স্ট্রিম করা যেমনটি পানি-ভাত হয়ে গিয়েছে, তখনকার দিনে তা কল্পনাই করা যেত না। ভাগ্য ভালো থাকলে, একটি গান ডাউনলোড হতে সময় নিতো পুরো একটি দিন!

তারপর এলো ওয়েব ২.০

বিপ বিপ করতে থাকা মডেম আর ঘুম ধরানো ওয়েবসাইট ইন্টারফেসের হাত থেকে মুক্তি মিললো তখন। এপার থেকে শুধুমাত্র চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়াও ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারছেন। ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পেলো, হরেক রকম ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্টে ভরে উঠলো ইন্টারনেট। সর্বোতভাবে তথ্য আদান প্রদানের যে সংস্কৃতি, তা গড়ে উঠলো ফেসবুক, ইউটিউব, উইকিপিডিয়া, ফ্লিকার, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের এই ইন্টারনেটই হলো ওয়েব ২.০।

ওয়েব ২.০-র এই যুগটি নিঃসন্দেহে অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে আমাদের। তথ্য আদান প্রদান করার ক্ষেত্রেপড়ো-লেখো-শেয়ার করো-র এই ওয়েবটি তো সবকিছু চলছে ঠিকঠাকই, অন্তত সাদাচোখে তো তাই দেখছি আমরা। তবে নতুন করে কি হলো? কেনই বা আসছে ওয়েব ৩.০?
তথ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

জাতিসংঘের এক হিসাব মতে, ২০০০ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো মাত্র সাতশো আটত্রিশ মিলিয়ন। ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক দুই বিলিয়ন। অর্থাৎ, মাত্র পনের বছরের ব্যবধানে এখন পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত, যেখানে ২০০০ সালে মোট জনসংখ্যার আটভাগের একভাগ মানুষও ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন না।

এখন এতসব মানুষের হাজার রকম তথ্য, তাদের পরিচয়, শেয়ার করা বিভিন্ন লেখা, ছবি বা ভিডিও ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে আগামী বিশ্বে, টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলো তা বুঝে নিয়েছে আগেভাগেই। মানুষ জানুক কিংবা না জানুক, গুগল, আমাজন, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীদের সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, যেমন তাদের পরিচয়, অবস্থান, ইন্টারনেট ব্রাউজ করার ধরণ, সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের ধরণ, অনলাইন শপিং ইত্যাদি বিক্রি করে থাকে। বিভিন্ন সেবা পেতে ব্যবহারকারীরাও নিরাপত্তার প্রশ্নে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে মাথা ঘামাচ্ছেন না।

ওয়েব ৩.০: শুরুর যাত্রা

আমাদের দৃশ্যমান ইন্টারনেটের দুনিয়ার পেছনের মঞ্চে ইতোমধ্যেই আবির্ভাব হয়েছে ওয়েব ২.০ এর পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট। আগামীর ইন্টারনেট হতে যাচ্ছে আরো মানবিক এবং তথ্যের গোপনীয়তা খুবই দৃঢ়ভাবে রক্ষিত হবে সেখানে, ঠিক যেমন ভিশন ছিলো ওয়েব ১.০ যাত্রার প্রাক্কালে। অর্থাৎ তথ্যের স্বার্থে এবং তার গোপনীয়তার প্রশ্নে আমরা আবার ফিরে যাচ্ছি ওয়েব ১.০-এ, কিন্তু তাদের বৈশিষ্ট্যে থেকে যাচ্ছে বিস্তর ফারাক।

টেক জায়ান্টদের হাতে তথ্যের সর্বময় ক্ষমতার সমাপ্তি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, নতুন ওয়েবে তথ্যের একচ্ছত্র অধিকার থাকবে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর।

২০০৬ সাল নাগাদ তুলনামূলক স্বচ্ছ এবং তথ্যের নিরাপত্তাদানে যে ভিশন তৈরি হয়েছিলো, তা বাস্তবে রূপদানের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং টেকনোলজি আমাদের কাছে ছিলো না। তথ্যের বিকেন্দ্রিকরণ, পিয়ার-টু-পিয়ার ডিজিটাল স্টোরেজ বা ব্যবহারকারীকেন্দ্রিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা যা-ই বলি না কেন, ব্লকচেইন প্রযুক্তির আবির্ভাবের পর ইন্টারনেটকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ার শুরু হয় পুরোদমে। অর্থাৎ নতুন ইন্টারনেট তৈরিতে আমাদের প্রধান অস্ত্রই হচ্ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি।

তথ্যের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং মোড়লবিহীন ইন্টারনেট

ওয়েব ২.০ আমাদের সামনে সম্ভাবনার নানা রাস্তা খুলে দেয়, কিন্তু অর্থনৈতিক ব্যবস্থা খুব বেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে, অর্থনীতির ভাষায় যাকে বলে মনোপলি। অর্থাৎ এই ভার্চুয়াল দুনিয়ার নিয়ন্ত্রণে কতিপয় মোড়ল তৈরি হয়। ফেসবুক, উবার, এয়ার বিএনবিসহ সমজাতীয় সাইবার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে তাদের ডোমিনেশানের জায়গাগুলোয়। ওয়েব ৩.০ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। বলা হচ্ছে, সকল লাভের কেন্দ্রিকতার বিকেন্দ্রিকরণ হবে নতুন ওয়েবে এবং গড়ে উঠবে তথ্য আদান-প্রদানের মুক্ত এক নেটওয়ার্ক।
এ বিষয়গুলো কল্পনা করা খুব বেশি কঠিন নয়। এ খবরগুলো আমাদের সামনে উঁকি দিচ্ছে, কারণ ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সি, ক্রিপ্টোফোন, ভিপিএন এবং স্টোরেজের বিকেন্দ্রিকরণ ইত্যাদি আমাদের সামনে চলে এসেছে এবং তা ভবিষ্যতের সকল প্রযুক্তির আমূল বদলে দেবার ইঙ্গিত। ব্লকচেইনই আমাদের কাছে নতুন হাতিয়ার, নিরাপদ তথ্যের আদান-প্রদান এবং মোড়লবিহীন ওয়েব তৈরিতে। আসছে ওয়েব ৩.০ এর কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে নেওয়া যাক একে একে।

১. ইন্টারনেটের কোনো মোড়ল থাকছে না

তথ্যের আদান-প্রদানে তৃতীয়পক্ষ থাকছে না আর। ইথারিয়াম বা বিটকয়েনের মতো ব্লকচেইনগুলো এমন প্লাটফর্ম আমাদের সামনে তুলে ধরেছে, যার নিয়মগুলো অমান্য করার সুযোগ নেই এবং সকল তথ্যই যেখানে সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপ্টেড। প্রতিষ্ঠানগুলো তাই তার ব্যবহারকারীদের তথ্যের উপর একচ্ছত্র অধিকার হারাতে চলেছে। কোনো সরকার বা অথোরিটি চাইলেই কোনো সাইট বা সার্ভিস বন্ধ করে দিতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি পারবে না অন্য কারো তথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে।

২. তথ্যের মালিকানা

প্রান্তিক ব্যবহারকারীরাই হবেন তার আদান প্রদান করা সকল তথ্যের একমাত্র নিয়ন্ত্রক। অনুমতি ব্যতিরেকে তথ্যের আদান-প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। বর্তমানে যেমন আমাজন, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিশাল বিশাল সার্ভারে তার ব্যবহারকারীদের যাবতীয় তথ্যের সংগ্রহ করে রাখে এবং তা কেনা বেচা করতে বিলিয়ন ডলারের একটি মার্কেট গড়ে উঠেছে, সকল তথ্য এনক্রিপ্টেড হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো সেই ক্ষমতা হারাবে।

৩. হ্যাকিং এবং ডাটা ব্রিচিংয়ের হাত থেকে পরিত্রাণ

যেহেতু সকল তথ্যের বিকেন্দ্রিকরণ ঘটছে এবং তা সমগ্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকছে, হ্যাকারদের তা হাতিয়ে নিতে সমগ্র নেটওয়ার্কেই হানা দিতে হবে। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং সিকিউরিটি এজেন্সিগুলো যে ধরনের টুল ব্যবহার করে থাকে, তা-ও হয়ে যাচ্ছে অকেজো। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের লিকেজ থেকে আমরা মুক্তি পেতে যাচ্ছি, এই হলো মোদ্দাকথা।

৪. বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের মাঝে সম্পর্ক

বর্তমানে আমরা যেসব মোবাইল বা ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করি, তার সবই ওপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। যেমন বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সি আইওএসে অচল। সামনের দিনগুলো ওপারেটিং সিস্টেমের ওপর এমন নির্ভরশীলতা কমতে থাকবে।

৫. ব্লকচেইনভিত্তিক অবাধ সেবা

অর্থ বা অন্যান্য ডিজিটাল সম্পদগুলো মুহূর্তেই দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে পৌছাবে। ডেটা অসংখ্য আন্তঃসম্পর্কিত নোডের দ্বারা যুক্ত থাকবে তথ্যের প্রাচুর্যতা নিশ্চিত করতে এবং কয়েক ধাপে ব্যাকআপ রাখা হবে যা সার্ভার কোনো জটিলতা বা চুরি হওয়া ডেটার উদ্ধারে ভূমিকা রাখবে

যেভাবে কাজ করবে ওয়েব ৩.০

আগামির প্রযুক্তি হিসেবে সম্পূর্ণ তৈরি হতে ওয়েব ৩.০ কে পাড়ি দিতে হবে আরো কিছুটা পথ। থিওরি থেকে বাস্তবে রূপ নিতে আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। ওয়েব ৩.০ অর্থাৎ যে ডিসেন্ট্রালাইজ ওয়েব গড়ে উঠছে, তাতে প্রবেশের জন্য দরকার হবে একটি মাত্র সিড। এই একটি মাত্র পরিচয় নিয়েই আমরা বিভিন্ন ডিঅ্যাপ এবং ওয়েব সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবো। একটি ওয়েব ব্রাউজার তখনও লাগবে এবং সেগুলোকে গড়ে তোলা হবে ওয়েব ২.০ এর সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ।

সাদাচোখে দেখা যাবে, ওয়েব ২.০ থেকে ওয়েব ৩.০ তে পরিবর্তিত হবে তেমন কোনো বেগ পেতে হবে না সাধারণ ব্যবহারকারীদের। কিন্তু তারা এখন যা ব্যবহার করে এবং ওয়েব ৩.০ তে যা ব্যবহার করবে, তার গঠনে থাকবে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বর্তমানের কিছু প্রযুক্তিকে যারা প্রতিস্থাপন করে দিবে সামনের দিনগুলো, তাদের একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবার।
ওয়েব ২.০ যেমনটি ওয়েব ১.০ কে একেবারে বিলুপ্ত করে দেয়নি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও এমন ওয়েবসাইট আমাদের চোখে পড়ে এবং প্রয়োজন হয়, তেমনি ওয়েব ৩.০ সময়ের সাথে আমাদের বিদ্যমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নিজের জায়গা করে নেবে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়তো আগামি তিন বছরের মধ্যেই ওয়েব ৩.০ আমাদের যাপিত জীবনের অংশ হবে উঠবে। ওয়েব ৩.০ এর ট্রেনটি ইতিমধ্যে তার প্লাটফর্ম ছেড়ে এগিয়ে গেছে বেশ খানিকটা। তথ্যভিত্তিক দুনিয়ায় ঘটতে যাওয়া আগাম এই বিপ্লবের খবর শেষ করছি তথ্যের নিরাপদ আবাদের সাইবার দুনিয়ার অপেক্ষায়।

যে আবিষ্কার গুলি ভুল করে হয়েছিল সাথে আরো ৫টি মজার ঘটনা | জেনে নিতে পারেন সবাই।


ভুল থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তবে মন্দ কি? আর সেই “দারুণ কিছু” যদি হয় পৃথিবী কাঁপিয়ে দেওয়া সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, তবে তো কথাই নেই! মজার ব্যাপার হচ্ছে,  বিজ্ঞানের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলো আসলে আবিষ্কার করার কথা কল্পনাই করেননি আবিষ্কারক! যা হওয়ার তা হয়েছে নিতান্তই দুর্ঘটনা বা ভুলবশত। এমন আরো কিছু আবিষ্কার আর তার পেছনের মজার সব ঘটনা নিয়ে এই লেখা।

মাইক্রোওয়েভ ওভেনঃ
গবেষণাগারে খাওয়া–দাওয়া করা নিশ্চয়ই খুব কাজের কথা নয়! কিন্তু এই কাজটি করতে গিয়েই পার্সি স্পেনসার নামের এক আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার যুগান্তকারী এক আবিষ্কার করে ফেলেন!

দারুণ সব লেখা পড়তে ও নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ঘুরে এসো আমাদের ব্লগের নতুন পেইজ থেকে!
তিনি ম্যাগনেট্রন নামে একটি ভ্যাকুয়াম টিউব নিয়ে কাজ করছিলেন, যেটি থেকে মাইক্রোওয়েভ নির্গত হয়। টিউবের সামনে দাঁড়িয়ে কী যেন ভাবছিলেন তিনি, হঠাৎ অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন বিচিত্র একটি ব্যাপার ঘটেছে– তার প্যান্টের পকেটে রাখা চকলেটের বার গলতে শুরু করেছে!


বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী স্পেনসার তখনই বুঝতে পারেন একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার ততক্ষণে তিনি করে ফেলেছেন।

বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ১৯৪৫ সালে তিনি প্রথম মাইক্রোওয়েভ ওভেন তৈরি করেন, আকারে সেটি ঢাউস একটি জিনিস ছিল। ১৯৬৭ সাল থেকে মাইক্রোওয়েভ ওভেন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়। এখন তো পৃথিবীজুড়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের জনপ্রিয়তার জুড়ি মেলে।

পেনিসিলিন:
পেনিসিলিন চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি অসামান্য আবিষ্কার। এটি পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রথম এ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, যিনি ছিলেন একজন চিকিৎসক এবং জীবাণুতত্ত্ববিদ।

১৯২১ সালের ঘটনা, তখন ইংল্যান্ডের সেন্ট মেরিজ মেডিকেল স্কুলের ল্যাবরেটরিতে কাজ করতেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। কয়েকদিন ধরে তিনি ঠাণ্ডায় ভুগছিলেন। জীবাণু কালচার নিয়ে ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময় হঠাৎ তীব্র হাঁচি এলো। ফ্লেমিং নিজেকে সামলাতে পারলেন না, সেটটা সরানোর আগেই হাঁচির দমকে নাক থেকে কিছুটা সর্দি সেটের উপর পড়ে গেলো!

পুরো জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেল দেখে সেটটা সরিয়ে রেখে নতুন আরেকটা সেট নিয়ে কাজ শুরু করলেন। পরদিন ল্যাবরেটরিতে ঢুকে সরিয়ে রাখা সেই সেটটার দিকে নজর পড়ল তার, ভাবলেন সেটটা ধুয়ে কাজ করবেন। কিন্তু সেটটি হাতে তুলেই চমকে উঠলেন ফ্লেমিং। অবাক ব্যাপার, গতকালের জীবাণুগুলো আর নেই! তিনি দেহ থেকে বের হওয়া এই প্রতিষেধকটির নাম দিলেন লাইসোজাইম।

অনেক বছর পরের কথা, ১৯২৮ সালে ফ্লেমিং স্টেফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে। মাঝে গবেষণা স্থগিত রেখে তিনি বেড়াতে যান স্কটল্যান্ডে। যাবার সময় তিনি স্টেফাইলোকক্কাসটি একটি কাঁচের পাত্রে রেখে যান এবং একটি ভুল করেন- গবেষণাগারের জানালা খুলে রেখে যান! এই ভুলের বদৌলতেই ফ্লেমিং চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিসটি আবিষ্কার করেন।

দু’সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে গবেষণাগারে ফিরে তিনি আবিষ্কার করেন, কোন ফাঁকে ঝড়ো বাতাসের দমকে খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস পাতা উড়ে এসে পড়েছে জীবাণু ভর্তি প্লেটের উপর। তিনি প্লেটগুলোতে দেখলেন জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন।

ফ্লেমিং বুঝলেন এই আগাছাগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে যার জন্য পরিবর্তন ঘটেছে, পরীক্ষা করে দেখা গেলো আগাছাগুলোর উপর একরকম ছত্রাক জন্ম নিয়েছে। সেই ছত্রাকগুলো বেছে বেছে জীবাণুর উপর দিতেই জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে গেল! তিনি বুঝতে পারলেন, তার এতোদিনের গবেষণা অবশেষে সার্থক হয়েছে! ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম, তাই তিনি এর নাম দিলেন পেনিসিলিন।

১৯৪৫ সালে পেনিসিলিন আবিষ্কার এবং মানবকল্যাণে এর অসামান্য অবদানের জন্য আলেকজান্ডার ফ্লেমিং নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন। পুরষ্কার পেয়ে ফ্লেমিং কৌতুক করে বলেন, ‘এ পুরষ্কারটি ঈশ্বরের পাওয়া উচিত, কারণ তিনিই সবকিছুর আকস্মিক যোগাযোগ ঘটিয়েছেন।’

চিকিৎসা বিজ্ঞানের অসামান্য গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এই পেনিসিলিন। জীবনের ছোট্ট একটি ভুলের পুরষ্কার স্বরুপ আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ইতিহাসের পাতায় চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন।

এক্স–রে
এক্সরে বা রঞ্জন রশ্মি হচ্ছে একটি তড়িৎ চৌম্বক বিকিরণ। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য টেন ইনভার্স টেন মিটার যা সাধারণ আলোর চেয়েও অনেক কম। তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম থাকার কারণে এটি যে কোনো পদার্থকে খুব সহজেই ভেদ করতে পারে।

“ক্যাথোড রে” আবিষ্কার হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু গবেষকরা তখনও জানতেন না এটি ব্যবহার করে মানবদেহের কঙ্কালের ছবি তোলা সম্ভব। ১৮৯৫ সালে জার্মান পদার্থবিদ উইলহেম রঞ্জন একটি কালো কাগজে ঢাকা গ্লাস টিউবে ক্যাথোড রশ্মি চালিয়ে পরীক্ষা করছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল কাঁচ থেকে ক্যাথোড রে বের হয় কিনা সেটি পরীক্ষা করা।

কিন্তু এমন সময় একটি মজার ঘটনা ঘটলো, রঞ্জন লক্ষ্য করলেন,  তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন তার কয়েক ফুট দূরে একরকম আলোক রশ্মি দেখা যাচ্ছে! তিনি ভাবলেন কার্ডবোর্ড কোথাও ফেটে গিয়ে হয়ত আলো বের হচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেলো- কার্ডবোর্ড ফেটে নয় বরং কার্ডবোর্ড ভেদ করে রশ্মি বের হচ্ছে!

ঘটনা দেখে রঞ্জনের মাথায় বিচিত্র একটি আইডিয়া খেলে গেলো-  যে রশ্মি কার্ডবোর্ড ভেদ করতে পারছে তা মানবদেহ কেন ভেদ করতে পারবে না? যেই ভাবা সেই কাজ, তিনি তার স্ত্রীর হাত সামনে রেখে পরীক্ষা চালালেন এবং ইতিহাস বদলে দেওয়া একটি ঘটনা ঘটলো- প্রথমবারের মতো কাটাছেঁড়া না করেই মানবদেহের কঙ্কালের ফটোগ্রাফিক ইমেজ তৈরি সম্ভব হলো! রঞ্জনের স্ত্রী নিজের কঙ্কালের ছবি দেখে আঁতকে উঠে বলেন, “আমি যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে!”

অদৃশ্য এই রশ্মির বৈশিষ্ট্য অজানা থাকায় রঞ্জন এর নাম দেন এক্স-রে। অবশ্য একে তার নাম অনুসারে অনেকে রঞ্জন রশ্মি নামেও ডাকে।

ক্লোরোফর্ম:
সেকালে অস্ত্রোপচার করা হতো কোনরকম চেতনানাশক ছাড়া, ফলে রোগীকে অমানুষিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হতো অস্ত্রোপচার টেবিলে। এ অবস্থার নিরসন ঘটে ক্লোরোফর্ম আবিষ্কারের পরে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ক্লোরোফর্ম আবিষ্কারের ঘটনাটি দুর্ঘটনার চেয়ে কম কিছু নয়!

স্যার জেমস ইয়ং সিম্পসন বহুদিন ধরেই চেতনানাশক নিয়ে গবেষণা করছিলেন। একদিন এডিনবার্গে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে আলাপচারিতার ফাঁকে তার মনে হলো নিজের আবিষ্কার পরীক্ষা করে দেখলে কেমন হয়?


যেই ভাবা সেই কাজ, একটি শিশিতে করে ক্লোরোফর্ম অতিথিবৃন্দের সামনে আনলেন। তারপর আর কারো কিছু মনে নেই! হুঁশ ফিরলো পরদিন সকালে, এদিকে অতিথিরা একেকজন বেহুঁশ হয়ে এদিক ওদিক পড়ে আছেন। শুরুতে তিনি ভয়ই পেয়ে গেলেন। পরে সবার জ্ঞান ফিরলে আশ্বস্ত হন।

যদিও পরবর্তীতে এমন বিপজ্জনক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে খুব সতর্ক ছিলেন তিনি, কারণ বর্ণহীন এই জৈন যৌগটি খোলা জায়গায় রেখে দিলে উড়ে যেতে থাকে। বাতাসে ক্লোরোফর্মের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে গেলে তা মারাত্মক ক্ষতিকর। যেহেতু এটি সরাসরি স্নায়ুর ওপর ক্রিয়া করে, তাই  বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে কিডনি ও লিভারের স্থায়ী সমস্যা তৈরি হতে পারে।

বড় ধরনের অপারেশনে ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়ে থাকে

যাই হোক, সিম্পসন অবশেষে ১৯৪৭ সালে এই আবিষ্কারের কথা জানান সবাইকে, এবং মাত্র তিন বছরের মাথায় শুরু হয়ে যায় রোগীদের অপারেশনের বেলায় অজ্ঞান করার কাজে আন্তর্জাতিকভাবে ক্লোরোফর্মের ব্যবহার।

ক্লোরোফর্ম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় রাসায়নিক ল্যাবরেটরি ও বাণিজ্যিকভাবে প্লাস্টিক তৈরিতে। এর পরই ব্যবহৃত হয় মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর শরীরের কিছু অংশ অবশ করতে বা সাময়িকভাবে অজ্ঞান করতে। রোগীদের দেহের সূক্ষ্ম কাটাকাটি থেকে শুরু করে বড় ধরনের অপারেশনে ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ডায়নামাইট
নোবেল পুরষ্কারের প্রবক্তা হিসেবে আলফ্রেড নোবেল চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ইতিহাসে, তিনি ছিলেন একজন সুইডিশ রসায়নবিদ এবং ইঞ্জিনিয়ার। রাসায়নিক বিভিন্ন বিপদজনক তরল পদার্থ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নোবেল এবং তার ল্যাবরেটরির মানুষজন বেশ কয়েকবার ভয়াবহ সব দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনা খুব মারাত্মক ছিল, ১৮৬৪ সালে সুইডেনের স্টকহোমে সেই বিস্ফোরণে আলফ্রেড নোবেলের ছোটভাই সহ আরো কয়েকজন মারা যায়।

ভাইয়ের মৃত্যুতে নোবেল ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পর আলফ্রেড নোবেল নিরাপদভাবে বিস্ফোরণ ঘটানোর উপকরণ আবিষ্কারের জন্য উঠে-পড়ে লাগেন।

মজার ব্যাপার হলো মারাত্মক বিস্ফোরক নাইট্রোগ্লিসারিনকে সামলানোর উপায় নোবেল খুঁজে পান আরেকটি দুর্ঘটনার মাধ্যমে! একবার নাইট্রোগ্লিসারিন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার সময় নোবেল দেখেন একটি পাত্র ছিদ্র হয়ে খুলে গেছে। দেখা গেল পাত্র মোড়ানো ছিল যে জিনিসটি দিয়ে সেটি ভয়াবহ বিস্ফোরক নাইটড়োগ্লিসারিনকে খুব ভালোভাবে শোষণ করেছে। কিয়েসেলগার নামে এক ধরনের পাললিক শিলার মিশ্রণ দিয়ে পাত্রগুলো মোড়ানো ছিল।

নাইট্রোগ্লিসারিন যেহেতু তরল অবস্থায় খুব বিপদজনক, তাই নোবেল সিদ্ধান্ত নেন এই কিয়েসেলগারকে তিনি বিস্ফোরকের স্ট্যাবিলাইজার হিসাবে ব্যবহার করবেন। ১৮৬৭ সালে নোবেল তার আবিষ্কৃত নিরাপদ কিন্তু মারাত্মক শক্তিশালী এই বিস্ফোরকটি ‘ডিনামাইট’ নামে পেটেন্ট করান।

অ্যাপ কি? অ্যাপ Vs. সফটওয়্যার |

যদিও এই শব্দটি নতুন নয়, কিন্তু কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে স্মার্টফোনের আনাগোনা শুরু হওয়ার সময় থেকে অ্যাপ (Apps) — শব্দটি শোনেন নি বা এটি বোঝেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। আজকের এই মডার্ন টেকের যুগে, প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য রয়েছে অ্যাপ, কিন্তু সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা হচ্ছে যখন কথা বলা হয় অ্যাপ Vs. সফটওয়্যার নিয়ে, তখন অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে পরে যায়। অনেকে মনে করে এই দুইটি একই জিনিষ, আবার অনেকে মনে করে এই দুইটি আলাদা জিনিষ। বেশিরভাগ ধারণা কারীগন মনে করেন, অ্যাপ হচ্ছে মোবাইলের জন্য আর সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের জন্য। তো এরকম অগুনতি বিষয় রয়েছে, হয়তো আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার আগে যেগুলো জানতেন না। আমি এই আর্টিকেলে অ্যাপ কি, এর প্রকারভেদ, সফটওয়্যার আর এটি আলাদা জিনিষ কিনা — ইত্যাদি নানান বিষয়ে আলোচনা করবো।

অ্যাপ কি?

চলুন এই টপিকের সবচাইতে বড় প্রশ্ন এখানেই শেষ করে দেই, অ্যাপ শব্দটি আসলে “অ্যাপ্লিকেশন” শব্দটির সংক্ষিপ্ত রুপ এবং অবশ্যই এটি এক ধরণের সফটওয়্যার যেটা আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্মে রান করতে পারে। তো বুঝলেন, অ্যাপ আর সফটওয়্যার একই জিনিষ, তবে আজকের মডার্ন টাইপের সফটওয়্যার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম গুলোকে অ্যাপ বলা হয়। এটি অনেক টাইপের হতে পারে, হতে পারে মোবাইলে রান করছে, কম্পিউটারে রান করছে, আবার যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইজেও রান করতে পারে। কিছু অ্যাপ্লিকেশন ওয়েব ব্রাউজারেও রান করতে পারে, কিছু অ্যাপ্লিকেশন অফলাইন চলে পারে আবার কিছু অ্যাপ্লিকেশন অনলাইন চলতে পারে। তবে অ্যাপকে সাধারণত এক টাইপের লাইটওয়েট সফটওয়্যার বলে ধরা হয়, মানে এটিকে ফুল শক্তিশালী সফটওয়্যার বলে বিবেচনা করা হয় না। আর এই জন্যই অ্যাপ টার্মটি বিশেষ করে স্মার্টফোনের সাথে বা ওয়েবের সাথে শুনতে পাওয়া যায়, এবং কম্পিউটার টার্মের ক্ষেত্রে মানুষ সফটওয়্যার টার্মটি ব্যবহৃত করে।
অ্যাপ্লিকেশন যেকোনো প্ল্যাটফর্ম বা যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি করা এবং ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচের প্যারাগ্রাফে অ্যাপের বিভিন্ন প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করলাম।

অ্যাপের প্রকারভেদ
অ্যাপস মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে—ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। যদি কথা বলি ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে, তো বুঝতেই পাড়ছেন এই টাইপের অ্যাপ্লিকেশন ফুল ফর্ম সফটওয়্যার হয়ে থাকে, মানে এই প্রোগ্রাম গুলো অনেক শক্তিশালী হয়, অনেক রিসোর্স ডিম্যান্ড করে সিস্টেম থেকে এবং কাজ করার জন্য সরাসরি হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেস ডিম্যান্ড করে। ডেক্সটপ প্রোগ্রাম গুলো বিশেষ করে বড় স্ক্রীনের জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে এবং প্রোগ্রাম গুলো মাউস এবং কী-বোর্ড ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করার উপযোগী হয়।

অপরদিকে যদি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলি, সাধারণত এগুলো লাইটওয়েট হয়ে থাকে এবং ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ হয়, একেবারেই কোন কমপ্লেক্স বিষয় থাকে না। আর এজন্য মোবাইল অ্যাপ গুলো ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশনের মতো পাওয়ারফুল হয় না। মোবাইল অ্যাপের আইকোন গুলোকে সাধারণত বড় বড় করে ডিজাইন করা হয়, কেনোনা বিশেষ করে যাতে এগুলো টাচ স্ক্রীনের উপর কাজ করতে পারে।

পরিশেষে যদি কথা বলি, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে তো সেগুলো অনেক সময় ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশনের মতো পাওয়ারফুল হয় কিন্তু এর একটি ডাউন সাইড হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন ছারা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় না, কেনোনা সেগুলো কোন কম্পিউটার বা মোবাইল ইন্সটল না থাকে ক্লাউড কম্পিউটারে বা ওয়েব সার্ভারে ইন্সটল থাকে, তাই অ্যাক্সেস করার জন্য ইন্টারনেট অবশ্যই প্রয়োজনীয় হয়। যদি কোন অ্যাপ্লিকেশন ওয়েব এবং ডেক্সটপ উভয়ের সাথে মিক্স অবস্থায় থাকে, তাহলে সেটাকে হাইব্রিড অ্যাপ্লিকেশন বলা হবে। হাইব্রিড অ্যাপ গুলোকে অফলাইনে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় এবং অফলাইনে এটি আপনার মেশিন থেকে রিসোর্স নিয়ে কাজ করে, কিন্তু যখনই আপনি অনলাইন আসবেন, এই অ্যাপ গুলো ক্লাউড থেকে কাজ করতে আরম্ভ করে দেয়।


একই অ্যাপ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের জন্য প্রাপ্য হতে পারে, আবার অনেক তৃতীয় পক্ষ ডেভেলপার রয়েছে যারা অন্যের অ্যাপ গুলো ডেভেলপ করে পাবলিশ করে। এ ব্যাপারে আরো পরিষ্কার বুঝতে ন্যাটিভ অ্যাপ ও থার্ড পার্টি অ্যাপের পার্থক্য — এই আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন।

ক্রস প্ল্যাটফর্ম

যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার সর্বদায় চায় তাদের প্রোগ্রামকে যেন যেকোনো প্ল্যাটফর্মে চালানো যায়। এজন্য একই প্রোগ্রাম ডেক্সটপ, মোবাইল এবং ওয়েব ভার্সনের থাকতে পারে। যদি কথা বলি অ্যাডোবি ফটোশপের কথা, সেটা ডেক্সটপের জন্য পাওয়ারফুল ফটো এডিটর সফটওয়্যার আর এটি রান করতে কম্পিউটার থেকে অনেকখানি রিসোর্স প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। মোবাইলের জন্য এই একই কোম্পানির অ্যাপ রয়েছে, যেমন ফটোশপ স্কেচ, এটি লাইটওয়েট মোবাইল প্রোগ্রাম। আবার অ্যাডোবি ফটোশপ এক্সপ্রেস এডিটর হচ্ছে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, অর্থাৎ একে কম্পিউটার বা মোবাইলে কোথাও ইন্সটল করার দরকার নেই, এ সরাসরি ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকেই রান করানো যাবে।
অপরদিকে যদি কথা বলি, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রোগ্রামটি নিয়ে, তো কম্পিউটারের জন্য ফুল ওয়ার্ড সফটওয়্যার রয়েছে যেখানে সম্পূর্ণ ফিচার পেয়ে যাবেন। ঠিক ডেক্সটপের মতোই কিন্তু লিমিটেড ফিচার এবং লাইটওয়েট প্রোগ্রাম মোবাইলের জন্য রয়েছে অ্যাপ রুপে, কিন্তু মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ওয়েব ভার্সন কিন্তু ডেক্সটপ ভার্সনের মতোই পাওয়ারফুল, যেটা ব্রাউজার দিয়ে অ্যাক্সেস করা সম্ভব। তবে কিছু অ্যাপ্লিকেশন আবার মোবাইলে আছে, ওয়েব ফর্মে আছে কিন্তু ডেক্সটপে নেই। যেমন জিমেইল কিন্তু মূলত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, এর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে, কিন্তু ডেক্সটপ সফটওয়্যার নেই। ক্রোম ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যতিত ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে ফিজিক্যাল ইন্সটল করার কোনই দরকার থাকে না।

অ্যাপস ডাউনলোড

যেকোনো অ্যাপস ডাউনলোড করার জন্য আপনার অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অফিয়াল জায়গা রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে বা অ্যামাজন স্টোর রয়েছে, সাথে আরো অনেক তৃতীয়পক্ষ ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে পাড়বেন। অ্যাপেল ডিভাইজ গুলোর জন্য রয়েছে অ্যাপ স্টোর। তবে কম্পিউটারের জন্য বিষয়টি একটু আলাদা। এক্ষেত্রে আন-অফিশিয়াল সোর্সই বেশি। যদিও উইন্ডোজ নতুন করে স্টোর তৈরি করেছে ডেক্সটপের জন্য, কিন্তু বেশিরভাগ সফটওয়্যার গুলো আপনি আন-অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই খুঁজে পেতে পাড়বেন।


সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজনীয়, কেনোনা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময়ই মানুষ বেশিরভাগ টাইম কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত করিয়ে ফেলে। আপনি উইন্ডোজ কম্পিউটার নিরাপদে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য এই পাঁচটি ফ্রী সফটওয়্যার ডাউনলোডিং সাইট ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করছি, এই সম্পূর্ণ টার্মটি সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন প্রকারের দ্বিধাদন্দ জমা হয়ে নেই। আর্টিকেলটি আপনার জন্য কতোটা সাহায্য পূর্ণ ছিল, আমাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর যেকোনো প্রশ্ন বা মতামতে তো অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুণ।

নিজেকে ডিলিট করে দিন ইন্টারনেট থেকে!


যদি সিকিউরিটি আর প্রাইভেসির কথা চিন্তা করা হয়, অবশ্যই ইন্টারনেট একটি ভয়াবহ জায়গা। সাইবার ক্রাইম, অজানা র‍্যান্ডম সাইবার অ্যাটাক, র‍্যানসমওয়্যারে কম্পিউটার আক্রান্ত করানো, লাখো টাইপের অনলাইন ম্যালওয়্যার, ফেক ভাইরাল নিউজ —ইত্যাদি সহ আরো লাখো কোটি হুমকির বিষয় দিয়ে ইন্টারনেট পরিপূর্ণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হতে পারে আপনি শেষমেশ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন, ইন্টারনেট থেকে নিজের অস্তিত্ব মুছে ফেলবেন, সৌভাগ্যবসত এটা অসম্ভব কোন ব্যাপার নয়, এই আর্টিকেলে দেখানো পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই নিজেকে নেট থেকে মুছে ফেলতে পাড়বেন।

অনলাইন অ্যাকাউন্ট গুলো মুছে ফেলুন
আপনি যদি মুটামুটি সময় ধরে অনলাইন ভিজিট করে থাকেন, তো আমার আন্দাজ ভুল না হলে, নিশ্চয় আপনার অগুনতি অনলাইন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনলাইনে আপনার পরিচয় খোলাসা করতে সবচাইতে বেশি সাহায্য করে আপনার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আইডি যেমন- ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি আইডি। শুধু সোশ্যাল আইডি নয়, হতে পারে আপনার বহুত পাবলিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে, আপনার গুগল ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগও রয়েছে হয়তো। আবার হতে পারে আপনি কোন অনলাইন শপিং সাইটে অ্যাকাউন্ট করে রেখেছেন, তারা আপনার প্রোফাইল বা আপনার টিউমেন্ট পাবলিক করে রেখেছে হয়তো।

এই এই অ্যাকাউন্ট গুলো থেকে মুক্তি পেতে আর অনলাইনে আপনার অস্তিত্ব ডিলিট করার  জন্য অবশ্যই আপনাকে এই অ্যাকাউন্ট গুলো মুছে ফেলতে হবে। কিন্তু এক এক করে কিভাবে এই অ্যাকাউন্ট গুলো মুছবেন? হতে পারে অর্ধেকের বেশি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আপনি ভুলেই গেছেন অলরেডি, হতে পারে আপনি অনেক ওয়েবসাইটের নামই ভুলে গেছেন, যেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট করা ছিল।

যাই হোক, অন্তত যদি আপনার ঐ অ্যাকাউন্ট গুলো মনে থাকে, তো প্রত্যেকটি সাইটে যান এবং ম্যানুয়ালি অ্যাকাউন্ট গুলোকে রিমুভ করে দিন। যদি কোন সাইটের অ্যাকাউন্ট রিমুভ করতে সমস্যা হয়, গুগল করুণ “How To Remove Account From SITENAME.COM” —সার্চ করার পরে আপনি অবশ্যই এমন কিছু নির্দেশনা পেয়ে যাবেন, যার মাধ্যমে ঐ সাইট’টি থেকে নিজের অ্যাকাউন্টকে ডিলিট করতে পারবেন।


অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার সার্ভিস
অনেক অনলাইন সার্ভিস রয়েছে যেমন ডিলিটমি —আপনার সকল ডাটা গুলোকে অনলাইন থেকে রিমুভ করতে আপনাকে সাহায্য করবে, এরা পেইড সার্ভিস প্রদান করে থাকে, যদি আপনার গোপনীয়তা সত্যিই অনেক মূল্য রাখে আপনার জন্য, তো আমি রেকোমেন্ড করবো এদের সার্ভিস গ্রহন করতে। তাছাড়া অনলাইনে আরো ফ্রী সার্ভিসও রয়েছে, যারা আপনার অনলাইন অস্তিত্ব মুছে দিতে আপনাকে সাহায্য করে। যেমন- ডিসীটমি —এখানে আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্টের সাথে সাইটি’কে অথন্টিকেট করতে হবে, সাইট’টির ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ঐ মেইলের সাথে যুক্ত থাকা সকল অ্যাকাউন্ট গুলোকে খুঁজে বেড় করবে এবং আপনি চাইলে সেই অ্যাকাউন্ট গুলোকে ডিলিট করে ফেলতে পারবেন।
তবে এই ডিসীটমি ওয়েবসাইট’টি অনেকটা লিমিটেড, এখানে শুধু জিমেইল আর হটমেইল দ্বারা সাইনআপ করা সকল অনলাইন অ্যাকাউন্ট গুলো রিমুভ করা যায়। কিন্তু আপনি যদি ইয়াহু মেইল ব্যবহার করে কোন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ঐ অ্যাকাউন্টে ম্যানুয়ালি প্রবেশ করে অ্যাকাউন্ট’টি ডিলিট করতে হবে।

পার্সোনাল তথ্য গুলো মুছে ফেলুন
বন্ধু হতে পারে, আপনি কোন সাইটে প্রবেশ করে সেখানে আপনার অনেক পার্সোনাল ইনফরমেশন শেয়ার করেছেন, হতে পারে আপনার পার্সোনাল ফোন নাম্বার, ন্যাশনাল আইডি নাম্বার, বার্থডেট ইত্যাদি। এখন ধরুন ওয়েবসাইট’টি ডাটা রিমুভ করার কোন অপশন রাখেনি, সেক্ষেত্রে আপনি গুগলের কাছে লিগ্যাল রিকোয়েস্ট সেন্ড করতে পারেন ডাটা গুলো রিমুভ করার জন্য। এই রিমুভাল প্রসেসে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তাই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে, সাথে এতে যে আপনার ডাটা গুলো রিমুভ করায় হতে এতে কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে অ্যাটলিস্ট আপনার ট্রায় করে দেখা প্রয়োজন।

সার্চ রেজাল্ট থেকে নিজেকে মুছুন
এবার ধরুন আপনি সকল অনলাইন অ্যাকাউন্ট গুলোকে ডিলিট করে দিয়েছেন এবং সকল ওয়েবসাইটে পাবলিক ডাটা গুলোকেও ডিলিট করে দিয়েছেন। কিন্তু হতে পারে তারপরেও সেগুলো গুগল সার্চ রেজাল্টে এখনো শো করছে। গুগল অনেক ডাটা’কে অনেক ওয়েবপেজ’কে তাদের ক্যাশ সার্ভারে ক্যাশ করে রাখে। তাছাড়া সার্চ রেজাল্টের ডিস্ক্রিপশন থেকেও অনেক তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব। পুরাতন সার্চ রেজাল্ট গুলোকে মুছে ফেলার জন্য সকল তথ্য গুলোকে আপনি এখানে পেয়ে যাবেন, আর বিং রেজাল্ট মুছে ফেলার জন্য এখানে দেখুন। এখানেও কোন নিশ্চয়তা নেই, যে গুগল আপনার ক্যাশকে মুছেই ফেলবে, কিন্তু অন্তত আপনার চেষ্টা করা প্রয়োজনীয়!


মেইল অ্যাড্রেস মুছুন
এবার সর্বশেষ স্টেপটি হচ্ছে আপনার মেইল অ্যাড্রেসটিকে ডিলিট করে দেওয়া। আপনি কোন প্রভাইডারের কাছ থেকে মেইল নিয়েছেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার মেইল অ্যাকাউন্ট ডিলিট প্রসেসটি আলাদা হতে পারে। আপনার অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করে অ্যাকাউন্ট ডিলিট বা ডি-অ্যাক্টিভ করার অপশন খুঁজে বেড় করুণ। অথবা কিভাবে আপনার ইমেইল ডিলিট করবেন তার জন্য গুগল করে দেখতে পারেন। তবে হ্যাঁ, আগের স্টেপ গুলো সম্পূর্ণ শেষ করার আগে ইমেইল অ্যাড্রেস ডিলিট করবেন না। কেনোনা আলাদা অনলাইন অ্যাকাউন্ট গুলো ডিলিট করার সময় আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসটি প্রয়োজনীয় হবে।

অনলাইন থেকে নিজের অস্তিত্ব ডিলিট করা সম্ভব আর উপরের স্টেপ গুলো এই কথাটি’কে প্রমানিত করে। তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে স্টেপ গুলো অনুসরণ করতে হবে এবং মনে রাখবেন কিছু প্রসেসে কিছুটা সময় লাগতে পারে। আর হ্যাঁ, আরেকটি কথা, এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে কিছু কিছু জিনিষ কিছু কিছু জায়গা থেকে কখনোই ডিলিট করা সম্ভব নয়।

আপনি একবার ইন্টারনেটে আপনার তথ্য প্রবেশ করানোর পরে কখনোই ১০০% তথ্য বা তথ্যের সিঙ্গেল পিচ রিমুভ করতে সক্ষম হবেন না। তবে হ্যাঁ, অনেকখানি ডাটা রিমুভ করে ফেলা সম্ভব। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপকারি ছিল এবং আপনি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সম্পর্কে জানলেন। যেকোনো প্রশ্ন বা সাহায্যের জন্য আমাকে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।

ইমেজ ক্রেডিট; By : techubs.net/article/4255

গুগল ক্রোম থেকেও বেশি ফিচার রয়েছে যেগুলোতে তার মধ্যে সেরা ৫টি ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার!

গুগল ক্রোম থেকেও বেশি ফিচার রয়েছে যেগুলোতে তার মধ্যে সেরা ৫টি ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার!

ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে সত্যিই আমাদের দৈনন্দিন কম্পিউটিং চাহিদাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আজকাল তো শুধু একটি ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যেই সারাটাদিন আর সকল কম্পিউটিং চাহিদা গুলো মেটানো যায়। তাই ওয়েব ব্রাউজার গুলো দিন দিন আরোবেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম হিসেবে স্থান অধিকার করছে। যদি ওয়েব ব্রাউজার নিয়ে কথা বলা হয়, সেক্ষেত্রে মূলত তিনটি ব্রাউজারের নাম সবার আগে সামনে আসে; মোজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা আজকের লেটেস্ট মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার। এছাড়া আরো অনেক ব্রাউজার রয়েছে যেগুলো আমরা ভুলেও ব্যবহার করে দেখি না। ক্রোম এবং ফায়ারফক্স উভয়েই ওপেন সোর্স সফটওয়্যার মানে আরো বহুত ব্রাউজার রয়েছে যেগুলো এই ক্রোম (ক্রোমিয়াম) আর ফায়ারফক্স ব্রাউজার প্রোজেক্টের উপরই নির্ভরশীল।


এই আর্টিকেলে ৫টি ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার সম্পর্কে জানবো, যেগুলো গুগল ক্রোমের ফিচার বিদ্যমান থাকার সাথে সাথে আরো বেশি কিছু রয়েছে!

ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার
যদি কথা বলি গুগল ক্রোম নিয়ে, এটি গুগলের ক্রোমিয়াম প্রোজেক্টের একটি প্রোগ্রাম, কিন্তু গুগল ক্রোম গুগল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তারা এতে প্রতিনিয়ত সব নতুন ফিচার যুক্ত করেই চলেছে। ক্রোমিয়াম একটি ওপেন সোর্স প্রোজেক্ট, যেটাকে কাজে লাগিয়ে যে কেউ আলাদা আলাদা ব্রাউজার তৈরি করতে পারে, সেখানে ইচ্ছা মতো নতুন ফিচার যুক্ত করাতে পারে। অপরদিকে গুগল ক্রোম হচ্ছে অফিশিয়াল গুগল ওয়েব ব্রাউজার, যেটাতে গুগল অনেক ফিচার যেমন- বিল্ডইন পিডিএফ রিডার, মিডিয়া কোডেক, স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফিচার ইত্যাদি যুক্ত করে দিয়েছে। যেহেতু ক্রোম, ক্রোমিয়ামের উপর তৈরি তাই ক্রোমিয়ামের উপর তৈরি আরো আলাদা ব্রাউজারের সাথে ক্রোমের অনেক ফিচার মিলে যেতে পারে।

মডার্ন ওয়েব ব্রাউজার গুলোতে এক্সটেনশন সমর্থন করে, এর মানে ব্রাউজারের বিল্ডইন ফিচার ব্যাতিতও ইউজার যেকোনো এক্সটেনশন ইন্সটল করে নিজের ইচ্ছা মতো ফিচার পেতে পারে। বর্তমানে অনেক ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার রয়েছে, যেগুলোতে অনেক সিকিউরিটি উন্নতি আনা হয়েছে এবং গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরে গুগল সার্ভার লিঙ্ক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আলাদা ব্রাউজার গুলো ক্রোমিয়ামের উপরই তৈরি কিন্তু এখানে আরো উপকারি এবং মজাদার অনেক ফিচার যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, যেমন- বিল্ডইন অ্যাড ব্লকার, বিল্ডইন ভিপিএন বা ডিএনএস ফিচার, বেটার টাব ডাউনলোড/বুকমার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, আবার কোন কোন ব্রাউজারে ব্যবহৃত করা হয়েছে কুল থিম যেটা একই বিরক্তিকর লুক থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

ক্রোমিয়াম বা বিলিঙ্ক ইঞ্জিন এর উপর তৈরি হওয়ার ফলে এই আলাদা ব্রাউজার গুলোতেও আপনি সরাসরি ক্রোম এক্সটেনশন মার্কেট থেকেই এক্সটেনশন ডাউনলোড এবং ইন্সটল করতে পাড়বেন। এর মানে ক্রোমের সকল এক্সটেনশন তো চালাতে পাড়ছেনই সাথে আলাদা আলাদা ব্রাউজার থেকে আলাদা আলাদা কুল ফিচার গুলোও পেয়ে যাবেন।

ভিভালডি (Vivaldi)
ভিভালডি একটি ফ্রীওয়্যার, এটি সম্পূর্ণ ক্রোমিয়াম প্রোজেক্টের উপর তৈরি। এই ক্রোস প্ল্যাটফর্ম ব্রাউজারটি ২০১৬ সালে প্রথম মার্কেটে সম্পূর্ণ ভার্সন রিলিজ করে, মানে আলাদা ব্রাউজার গুলো থেকে বয়সে এটি অনেক তরুণ ব্রাউজার। কিন্তু এর বয়সের কথা ভেবে এর ফিচারের যেন অবহেলা করবেন না, ক্রোমের মতোই এটি অনেক পাওয়ার ফুল এবং কুল লুকিং একটি ওয়েব ব্রাউজার। ব্রাউজারটির ইউজার ইন্টারফেসের উপর সরাসরি বেশ কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পাড়বেন, এর থিম কালার পরিবর্তন করতে পাড়বেন এবং ব্রাউজারটি ওয়েব পেজের কালার অনুসারে ইউজার ইন্টারফেসের কালার থিম পরিবর্তন করতে পারে। এর সবচাইতে অসাধারন ফিচারটি হচ্ছে আপনি ট্যাব গ্রুপিং করতে পাড়বেন, সাথে আরো অনেক টাইপের ক্যাস্টম ফিচার তো থাকছেই। যেহেতু ব্রাউজারটি একেবারেই নতুন, তাই এখনো অনেক ফিচারের উপর কাজ করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে অবশ্যই আরো অনেক অসাধারণ ফিচার যুক্ত করা হতে পারে ব্রাউজারটিতে। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রাউজারটি বেশ জনপ্রিয়তা হাসিল করে নিয়েছে, আজকের অনেক টেক গীক আর অ্যাডভান্স ইউজারদের কাছে ভিভালডি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্রাউজার।

ব্রাউজারটি সত্যিই হাইলি কাস্টম যোগ্য একটি ব্রাউজার, এতে আপনি সহজেই স্পীড ডায়াল এবং স্টার্ট পেজ কাস্টম করতে পাড়বেন। কাস্টম থিম, কালার থিম, নাইট মুড ইত্যাদি ফিচার তো থাকছেই সাথে ব্রাউজারটি মাউস জেসচার সমর্থন করে। তাছাড়া ব্রাউজারটির মধ্যে বিল্ডইন সিএসএস ডিবাগার ফিচার রয়েছে, আর এর গুরুত্ব ওয়েব ডেভেলপার’রা ভালো করেই জানেন।


ইয়ানডেক্স ব্রাউজার (Yandex Browser)
ইয়ানডেক্স হলো রাশিয়ান ইন্টারনেট কোম্পানি, যাদের সার্চ ইঞ্জিন পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম। তাদের অফিশিয়াল ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজারটি দেখতে স্ট্যান্ডার্ড ব্রাউজারদের মতো না লাগলেও এতে যথেষ্ট ক্রোমিয়াম ফিল পেতে পাড়বেন। ২০১২ সালে ইয়ানডেক্স ব্রাউজার প্রথম মার্কেটে আসে, আর বর্তমানে এর ক্রোস প্ল্যাটফর্ম আর অনেক কুল ফিচার সহজেই অনেক ইউজারের মন কেড়ে নিয়েছে। উইন্ডোজ, ম্যাক, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, লিনাক্স সকল প্ল্যাটফর্মের জন্যই এই ব্রাউজার প্রাপ্য। এই ব্রাউজারটির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বা বলতে পারেন ইউনিক ফিচারটি হচ্ছে ডিএনএস ক্রিপ্ট (DNSCrypt) — এর মানে এই ডিএনএস সার্ভার থেকে ডাটা সেন্ড বা রিসিভ করার সময় রিকোয়েস্ট গুলোকে এনক্রিপটেড করিয়ে তারপরে সেন্ড বা রিসিভ করে।


এই ব্রাউজারে নিউ ট্যাব বা স্টার্ট পেজকে ট্যাব্লেউ (Tableau) বলা হয়, এখানেও মাউস জেসচার রয়েছে কিন্তু ভিভালডির মতো আপনি একে কাস্টম করতে পাড়বেন না। সাথেও এটি ওয়েব সাইটের থিম এবং কালার অনুসারে নিজের থিম কালার পরিবর্তন করে। ওপেরা ব্রাউজারের মতো এতে টার্বো মুড রয়েছে, যেটা স্লো ইন্টারনেট কানেকশনে কমপ্রেশন ম্যাথড ইউজ করে ব্রাউজিং বা ভিডিও স্ট্রিমিং ফাস্ট করার চেষ্টা করে। সাথে আপনি যে ফাইলই ডাউনলোড করবেন, সেটা ক্যাস্পারস্কি অ্যান্টিভাইরাস দ্বারা স্ক্যান হয়ে ডাউনলোড হবে।


এপিক প্রাইভেসি ব্রাউজার (Epic Privacy Browser)
টেকহাবস আপনি নিয়মিত অনুসরণ করে থাকলে এই ব্যাপারটি অবশ্যই জানেন যে, আমি সিকিউরিটি আর প্রাইভেসির কতো বিশাল ফ্যান। যদিও এই ৩ নং পজিশনে অপেরা ব্রাউজারকে রাখলে ভুল হতো না, কিন্তু আলাদা বিল্ডইন প্রাইভেসি ফিচার যুক্ত থাকার জন্য আমি এপিক প্রাইভেসি ব্রাউজারকে আজকের লিস্টে ৩ নং এ রাখলাম। এটি ইন্ডিয়ার তৈরি প্রথম ওয়েব ব্রাউজার, যেটাতে একসাথে কতিপয় ইউজেট প্রি-ইন্সটল রয়েছে। এপিক ব্রাউজারটি বর্তমানে ম্যাক এবং পিসির জন্য, তবে আশা করা যায় সামনে হয়তো আরো অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করবে। ব্রাউজারটির ইন্টারফেস কিন্তু হুবহু গুগল ক্রোমের মতো, তবে ক্রোম ভেবে যেন ভুল করবেন না।

এপিক ব্রাউজারের প্রধান ফোকাস হচ্ছে প্রাইভেসির দিকে, আজকের সকল ব্রাউজার গুলোতে ইনকোগ্নিটো মুড রয়েছে, কিন্তু তারপরেও আপনার ব্রাউজিং তথ্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার বা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে লুকায়িত নয়, তাই এই ব্রাউজারে বিল্ডইন ভিপিএন প্রক্সি রয়েছে। তাছাড়া ডিফল্ট ভাবে যখন আপনি ব্রাউজারটি ক্লোজ করে দেবেন, সাথে সেশন ডাটা যেমন কুকিজ, হিস্টোরি, ক্যাশ ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর এতে বিল্ডইন ভিপিএন প্রক্সি ফিচার থাকার জন্য অবশ্যই আলাদা কোন এক্সটেনশন ব্যাবহার করার প্রয়োজন পড়বে না। তাছাড়া এসএসএল কানেকশন সর্বদা ডু নট ট্র্যাকিং হেডার রিকোয়েস্ট সেন্ড করে। আলাদা ক্রোমিয়াম ব্রাউজার গুলোতে অনেক টাইপের ডাটা ট্র্যাকিং চালু থাকে, এপিক ব্রাউজারে প্রাইভেসি রক্ষার্থে সকল লিঙ্ক রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে, এতে ডাটা লিক অনেকটাই কমে যাবে।

ডাউনলোড এপিক প্রাইভেসি ব্রাউজার

অপেরা (Opera)
আমার প্রথম ইন্টারনেট ব্রাউজিং অপেরার হাত ধরেই হয়ে এসেছে, ২০০৭ সাল থেকে পিসিতে আর ২০০৯ সাল থেকে মোবাইলে অপেরা ব্যবহার করে আসছিলাম, তবে আমি এখন পার্সোনালভাবে অপেরা তেমন ব্যবহার না করলেও আমার কাছে সকল উপকারি ফিচারে প্যাকড বা জেটপ্যাক ব্রাউজার হচ্ছে এই অপেরা। ব্রাউজারটি ২০ বছরের বেশি পুরাতন আর পূর্বে এটি প্রেস্টো ইঞ্জিনের উপর কাজ করতো, যেটা পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে বিলিঙ্ক ক্রোমিয়াম নির্ভর ইঞ্জিনের উপর অপেরাকে নতুন করে ডেভেলপ করা হয়। ওপেরাতে সত্যিই কিছু উপকারি আর বেস্ট ফিচার যুক্ত করা রয়েছে, ফলে একে সহজেই আপনার কম্পিউটারের জন্য অল-ইন-ওয়ান ব্রাউজার বললে ভুল হয়না।

ওপেরার স্টাইলিশ আর কুল লুকিং স্টার্ট পেজ বা স্পীড ডায়াল ইন্টারফেস সহজেই আপনার মনমুগ্ধ হতে বাধ্য। বর্তমানে অপেরার সবচাইতে আলোচিত ফিচারটি হচ্ছে এর বিল্ডইন ভিপিএন সার্ভিস, সেটা একেবারেই ট্রু ভিপিএন বা পেইড সার্ভিস গুলোর মতো সেবা প্রদান করে, আমি নিজেও ভিপিএন সুবিধার জন্য কম্পিউটারে একে ইন্সটল করে রেখেছি, আর সত্যি বলতে এই ভিপিএন মোটেও ইন্টারনেট স্পীড স্লো করে না। পূর্বে অপেরাতে ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করা যেতো না, কিন্তু এখন এটি ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার হওয়াতে, এতে ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সরাসরি ক্রোম এক্সটেনশন স্টোর থেকে এক্সটেনশন ডাউনলোড বা ইন্সটল করতে পারেনা, আপনাকে অপেরা এক্সটেনশন ওয়েবসাইট থেকে এক্সটেনশন ডাউনলোড করতে হবে।
সাথে আরো কিছু হাইলাইটেড ফিচার যেমন- বিল্ডইন অ্যাড ব্লকার, ব্যাটারি সেভার মুড, টারবো পেজ লোডিং ফিচার, যেকোনো ওয়েব ভিডিও অপআউট করে ডেক্সটপ প্লেয়ারের মতো দেখতে পাড়বেন, এবং আরো বহু কাস্টম ফিচার রয়েছে, তাই আগ্রহী থাকলে আর কথা না বাড়িয়ে এক্ষুনি ইন্সটল করে দেখতে পারেন।

ডাউনলোড অপেরা ব্রাউজার

ইউসি ব্রাউজার (UC Browser)
মোবাইল প্ল্যাটফর্মে ইউসি ব্রাউজার সবচাইতে জনপ্রিয় একটি ব্রাউজার, আর ২০১৫ সাল থেকে আর ডেক্সটপ ভার্সনও রয়েছে। যতো ক্রোমিয়াম ব্রাউজার রয়েছে, তাদের তুলনায় এই ব্রাউজার দেখতে একটু ভিন্ন রকমের সাথে অনেক থিম ব্যবহার করতে পাড়বেন। অনেক থিম থাকলেও আমার কাছে ডিফল্ট থিমটিই বেস্ট বলে মনে হয়েছে। ব্রাউজারটিতে বেস্ট ফিচার হচ্ছে, এতে পোর্টেবল হটস্পট তৈরি করার সুবিধা রয়েছে, যদিও উইন্ডোজ ১০ এ ডিফল্টভাবেই ল্যাপটপ বা পিসি থেকে নেট শেয়ার করে ওয়াইফাই হটস্পট বানানো যায়, কিন্তু উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এ ইউসি ব্রাউজারের এই সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
এছাড়াও এই ব্রাউজারে অনেক উপকারি টুল রয়েছে, তবে আপনি যদি মোবাইল ভার্সন ইউসি চালিয়ে থাকেন, অবশ্যই জানেন এই ব্রাউজারের ডাউনলোড ফিচারটি অনেক পাওয়ারফুল, আর পিসির ক্ষেত্রেও সেটা সমান পাওয়ারফুল রেখেছে ইউসি ব্রাউজার, সত্যিই অনেক দ্রুত যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষমতা রাখে এই ব্রাউজারটি। এতে ডিফল্ট স্ক্রীনশট টুল রয়েছে, যেটা অনেকের কাছেই উপকারি একটি ফিচার। ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্টমেন্ট, নাইট মুড, লিঙ্ক প্রি-লোডিং, নেক্সট পেজ প্রি-লোডিং ইত্যাদি আরো অসংখ্য ফিচার রয়েছে এই ব্রাউজারটিতে। তাই অবশ্যই চেক করে দেখতে পারেন, তবে ইউসি ব্রাউজার ব্যবহার করার পূর্বে, উপরের লিস্টে থাকা ব্রাউজার গুলো আগে চেক করে দেখা প্রয়োজনীয়।

ডাউনলোড ইউসি ব্রাউজার

আরো অনেক ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার রয়েছে, যাদের প্রত্যেকের কিছু না কিছু ইউনিক ফিচার রয়েছে, তবে প্রত্যেক ব্রাউজারকে একটি সিঙ্গেল আর্টিকেলে যুক্ত করা সম্ভব নয়, ভবিষ্যতে আরো কিছু ক্রোমিয়াম ব্রাউজার নিয়ে আলোচনা করা যাবে, তবে এই লিস্টে বেস্ট কিছু ব্রাউজার নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, এর মধ্যে কোন ব্রাউজারটি আপনি ব্যবহার করতে চলেছেন।

post by: techubs.net/article/6481

যেকোনো চার্জার যেকোনো ডিভাইজে ব্যবহার করা যাবে?

আজকের দিনে আমাদের সবার কাছে প্রায় একাধিক ডিভাইজ রয়েছে, অনেকেই একাধিক স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন আবার হয়তো ট্যাবলেটও ব্যবহার করেন। আমার নিজের কথায় বলি, একসাথে ৩টি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু যখন চার্জিং করার কথায় আসি, ব্যাপারটা একটু ঝামেলার হয়ে যায়। দেখা যায় সারাবাড়ির ওয়াল সকেট গুলো আমার স্মার্টফোনের চার্জারেই ভড়ে গেছে। আমি জানি, এই প্রবলেম শুধু আমি একা নয়, অনেকেই ফেস করেন। আচ্ছা, যদি আমি আবার হুয়াওয়ে ফোনের চার্জার দিয়ে শাওমি বা স্যামসাং ফোন চার্জ করি তাহলে কি কোন সমস্যা হবে? আবার আমার ফোনের চার্জার দিয়ে কি ট্যাবলেট চার্জ করতে পারবো? বা ট্যাবলেটের চার্জার দিয়ে ফোন? — এই আর্টিকেলে এই প্রশ্ন গুলোরই উত্তর দিতে চলেছি।

চার্জার টাইপ
আজকের দিনে শুধু স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট নয়, অনেক পোর্টেবল ডিভাইজ ব্যবহার করতে হয়, এবং প্রত্যেকটি ডিভাইজকে চার্জ করার প্রয়োজন থাকে। এখন আপনি যদি একাধিক ডিভাইজ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে একাধিক চার্জার বহন করা খুবই ঝামেলার কাজ হতে পারে। আর সকল ডিভাইজের চার্জার টাইপও কিন্তু এক রকমের হয় না। হতে পারে আপনার স্মার্টফোন আর ট্যাবলেট উভয়তেই মাইক্রো ইউএসবি চার্জার পোর্ট সাপোর্ট করে, তাহলেই কি সবকিছু মিল হয়ে গেলো?

আবার যদি কথা বলি, ল্যাপটপ চার্জার নিয়ে, অবশ্যই দেখে থাকবেন ল্যাপটপের জন্য কোন স্ট্যান্ডার্ড চার্জার নেই। একেক ল্যাপটপ তাদের একেক টাইপের চার্জার এবং পিন ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন চার্জার দিয়ে ল্যাপটপ চার্জ করার চিন্তা সম্পূর্ণই বৃথা। তবে বর্তমানের ল্যাপটপ গুলোতে ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট দেখা যাচ্ছে, এতে ল্যাপটপ চার্জার গুলো হয়তো ভবিষ্যতে ইউনিভার্সাল হয়ে উঠবে। অ্যাপেল ডিভাইজ গুলো ব্যবহার করলে আরেক সমস্যা, সেখানে লাইটনিং পোর্ট ব্যবহার করা হয়, শুধু অ্যাপেলই এই টাইপ কানেক্টর ব্যবহার করে, তবে আইফোন আর আইপ্যাড একসাথে ব্যবহার করলে একই চার্জার টাইপ দেখেতে পাবেন।

এবার কথা বলি, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট নিয়ে, বর্তমানে এটি সবচাইতে ইউনিভার্সাল। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোন, উইন্ডোজ ফোন, ব্ল্যাকবেরি ফোন, স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি সহ অনেক পোর্টেবল ডিভাইজে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করা হয়। যাই হোক, অ্যাপেল লাইটনিং টু মাইক্রো ইউএসবি অ্যাডাপটার অফার করে থাকে। যদি কথা বলি ইউএসবি টাইপ-সি নিয়ে, এটি নতুন কানেক্টর টাইপ এবং হয়তো কয়েক বছরের মধ্যে ইউনিভার্সাল হয়ে উঠবে। এই টাইপের কানেক্টর স্মার্টফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ গুলোতেও ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে, কেনোনা ইউএসবি টাইপ-সি অনেক বেশি পাওয়ার হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা রাখে। ল্যাপটপে মাইক্রো ইউএসবি কানেক্টর থাকে না, কেনোনা এটি ল্যাপটপকে যথেষ্ট পাওয়া সরবরাহ করতে সক্ষম নয়।

যাই হোক, এখন ফিরে আসি মূল বক্তব্যে; দেখুন, উত্তর একেবারেই সাধারণ! আপনি যেকোনো চার্জার যেকোনো ডিভাইজে ব্যবহার করতে পাড়বেন? — হ্যাঁ, আপনি পাড়বেন কিন্তু তার আগে অবশ্যই আপনার চার্জার টাইপ মিল হতে হবে। যদি দুইটি ডিভাইজের সেইম চার্জার কানেক্টর হয়ে থাকে, কোনই সমস্যা নেই, আপনি ব্যবহার করতে পাড়বেন। কিন্তু কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি স্যামসাং এর অফিশিয়াল চার্জার ব্যবহার করে হুয়াওয়ে ডিভাইজ চার্জ করেন, এতে কোন সমস্যা হবে না বা আপনি যেকোনো হাই কোয়ালিটি ভালো ব্র্যান্ডের তৃতীয়পক্ষ চার্জারও ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সস্তা চাইনিজ চার্জার গুলো থেকে সাবধান থাকবেন, ৫০-১০০ টাকার চার্জার গুলো ভুলেও ব্যবহার করবেন না, এগুলো আপনার ডিভাইজকে ড্যামেজ করতে পারে। আপনি অবশ্যই তৃতীয়পক্ষ কোম্পানির চার্জার ব্যবহার করতে পাড়বেন, তবে আপনাকে সিউর হতে হবে চার্জারটি যেন হাই কোয়ালিটির হয়।

ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পারেজ
চার্জার কানেক্টরের ঝামেলা মেটার পরে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ টার্মটি হচ্ছে ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পারেজ। দেখুন, যতো মাইক্রো ইউএসবি চার্জার রয়েছে সবগুলোই ৫ ভোল্টের হয়ে থাকে, এর মানে ভোল্টেজ নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। বাজারে দুই টাইপের চার্জার সবচাইতে বেশি দেখা যায়, ৫ ভোল্ট এবং ১ অ্যাম্পারেজ ও ৫ ভোল্ট এবং ২.১ অ্যাম্পারেজ। ভোল্টেজ হলো কোন পাইপে প্রবাহিত হওয়া পানির প্রেসার আর অ্যাম্পারেজ হলো পাইপের মধ্যদিয়ে কতোটা পানি বহমান হবে তার পরিমাপ, আপনি অ্যাম্পারেজকে কোন নদীর পানির স্পীডের সাথেও তুলনা করতে পারেন। যদি আপনি ডিভাইজে বেশি ভোল্টেজের চার্জার ব্যবহার করেন, তবে এতে ডিভাইজের সার্কিট ড্যামেজ হয়ে যাবে, কেনোনা বেশি এনার্জি লোড নেবার ক্ষমতা ঐ ডিভাইজটিতে নেই। তবে মাইক্রো ইউএসবি চার্জারের ক্ষেত্রে বেশি ভোল্টেজ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না, কেনোনা সকল চার্জার ৫ ভোল্টের উপরই হয়ে থাকে, এমনকি আপনি যদি ল্যাপটপ থেকেও চার্জ করেন, সেখানেও ৫ ভোল্টই সরবরাহ বলে ইউসবি ক্যাবলে।

কিন্তু প্রশ্ন আসে, অ্যাম্পারেজের ক্ষেত্রে, কেনোনা বিভিন্ন চার্জার আলাদা আলাদা অ্যাম্পারেজে রেটিং থাকতে পারে। আপনার এক ফোনের চার্জারে ১ অ্যাম্পারেজ রেটিং থাকতে পারে, সাথে ট্যাবলেট চার্জার ২.১ অ্যাম্পারেজ রেটিং করা থাকতে পারে, তো এক্ষেত্রে কি ট্যাবলেট চার্জার স্মার্টফোনে ব্যবহার করা ঠিক হবে? দেখুন, অ্যাম্পারেজের ফলে আপনার ফোনটি ব্লাস্ট হয়ে যাবে না। আজকের বেশিরভাগ মডার্ন ফোন অনেক দ্রুত চার্জ হতে পারে, এর মানে ফোনে বেশি অ্যাম্পারেজ সাপোর্ট করার ক্ষমতা থাকে। আপনি ২.১ অ্যাম্পারেজ রেটিং করা ফোনে যদি ১ অ্যাম্পারেজ চার্জার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কিছুই হবে না, তবে চার্জিং হতে দেরি লেগে যাবে। আবার ১ অ্যাম্পারেজ রেটিং করা ফোনে ২.১ অ্যাম্পারেজ ব্যবহার করলেও সমস্যা হবে না, বরং চার্জিং টাইম একটু ফাস্ট হয়ে যাবে। বেশি অ্যাম্পারেজ চার্জার ব্যবহার করলেও আপনার ফোনে সমস্যা হবে না, কেনোনা ফোন ব্যাটারি সার্কিটে আগে থেকেই অ্যাম্পারেজ ম্যানেজ করার ক্ষমতা দেওয়া থাকে। আবার আপনি যদি হাই কোয়ালিটি চার্জার কিনে থাকেন, সেক্ষেত্রে চার্জার নিজেও অনেক স্মার্ট হবে, সে পরিমান মতোই ডিভাইজকে চার্জ সরবরাহ করবে। আপনার চার্জার যদি ১ অ্যাম্পারেজ রেটিং হয়, তো আজকের দিনে এটিকে স্লো চার্জার বলা হবে, কেনোনা আজকের স্মার্টফোন গুলো অনেক দ্রুত চার্জ হতে পারে সাথে বেশি অ্যাম্পারেজ হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা রাখে।

বিষয়টিকে আরো পরিষ্কার করার জন্য কুইক চার্জিং টেকনোলজির উদাহরণ নেওয়া যেতে পারে। আজকের অনেক মডার্ন ডিভাইজ কুইক চার্জিং সাপোর্ট করে, কিন্তু কুইক চার্জিং ঠিক তখনোই করতে পাড়বেন, যখন আপনার ডিভাইজ এবং চার্জার উভয়েই সেটা সমর্থন করবে। আবার কুইক চার্জিং টেকনোলজি কিন্তু আলাদা হতে পারে, যদি ডিভাইজের টেকনোলজির সাথে চার্জার কুইক চার্জিং টেকনোলজি ম্যাচ না করে, তাহলে কিন্তু কুইক চার্জ হবে না, কিন্তু এর মানে এটা নয় কোন চার্জই হবে না, চার্জ হবে তবে স্লো চার্জ। আপনি কুইক চার্জিং সাপোর্ট করেনা এমন ডিভাইজে কুইক চার্জার লাগালে সেখানে চার্জ হবে, কিন্তু রেগুলার স্পীডে, তাহলে কি দাঁড়ালো? — অবশ্যই আপনার ফোনে বেশি অ্যাম্পারেজ ব্যবহার করতে পাড়বেন, তবে ভোল্টেজ বেশি হলে সার্কিট ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

তাহলে কি যেকোনো চার্জার ব্যবহার করা যাবে?
ওয়েল, আমি উপরের প্যারাগ্রাফ গুলোতে বিষয়টি পরিষ্কারই করে দিয়েছি। হ্যাঁ, বেশিরভাগ সময়ই আপনি ব্যবহার করতে পাড়বেন। তবে আপনার ডিভাইজের আসল চার্জার যদি ২.১ অ্যাম্পারেজের হয়ে থাকে আর আপনি যদি ১ অ্যাম্পারেজ আলাদা চার্জার ব্যবহার করে চার্জ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার চার্জিং স্পীড স্লো হয়ে যাবে। আবার আপনার ডিভাজের আসল চার্জার ১ অ্যাম্পারেজ, এর মানে কিন্তু এই নয় এটি বেশি অ্যাম্পারেজ চার্জার সমর্থন করতে পাড়বে না।

ইউএসবি টাইপ-সির ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক সহজ, আপনি একই চার্জার ব্যবহার করে ইউএসবি টাইপ-সি সাপোর্ট করা সকল ডিভাইজ চার্জ করতে পাড়বেন, এতে সমস্যা হবে না, হোক সেটা ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, বা ট্যাবলেট। ভালো মানের চার্জার ব্যবহার করলে, চার্জার এবং স্মার্টফোন ব্যাটারি নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিতে পারে, এতে ব্যাটারির যেরকম চার্জ দরকার, চার্জার সেটা সরবরাহ করতে পারে। তাই অবশ্যই কমদামী চার্জার পরিত্যাগ করায় বেটার।

আমি নিজেও এক চার্জার ব্যবহার করে আমার দুইটি আলাদা ব্যান্ডের স্মার্টফোন এবং উইন্ডোজ ফোন চার্জ করি। আমার উইন্ডোজ ফোনের আসল চার্জার ১ অ্যাম্পারেজে রেটিং করা কিন্তু আমি ২.১ অ্যাম্পারেজ চার্জার ব্যবহার করে চার্জ করছি ১ বছর যাবত, এতে কোনই সমস্যা লক্ষ্য করতে পারি নি, বরং একটু চার্জ দ্রুতই হয় এখন। আশা করছি, আর্টিকেলটি থেকে সকল প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন।

পোস্ট ক্রেডিটঃ By techubs.net

গুগল সার্চ এর ৫টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল! একভার অবশ্যই দেখুন কাজে লাগবে।

গুগল সার্চ এর ৫টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল! একভার অবশ্যই  দেখুন কাজে লাগবে।
দৈনন্দিন কাজে আমাদের নানা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। সঠিক তথ্যের জন্য বইয়ের জুড়ি নেই। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটিরও সময় পাওয়া যায় না। ফলে অবধারিত হতে হয় দ্বারস্থ হতে হয় গুগল সার্চ ইঞ্জিনের। সেজন্য আবার জানা থাকা চাই বেশ কিছু কৌশল। সঠিক কায়দা না জানলে গুগল থেকে তথ্য খুঁজে বের করা বেশ কষ্টকর।দৈনন্দিন কাজে আমাদের নানা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। সঠিক তথ্যের জন্য বইয়ের জুড়ি নেই। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটিরও সময় পাওয়া যায় না। ফলে অবধারিত হতে হয় দ্বারস্থ হতে হয় গুগল সার্চ ইঞ্জিনের। সেজন্য আবার জানা থাকা চাই বেশ কিছু কৌশল। সঠিক কায়দা না জানলে গুগল থেকে তথ্য খুঁজে বের করা বেশ কষ্টকর।


  • শব্দের অর্থ জানা


গুগলে সার্চ করে যে কোন শব্দ সম্পর্কেই জানা যাবে। গুগল থাকলে ডিকশনারির দরকার পড়ে না। কোনো শব্দের অর্থ জানতে প্রথমে লিখতে হবে define:, এরপর যে শব্দের অর্থটি জানাতে হবে তা উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণ: define: Bangladesh।


  • খাদ্যের তুলনা


খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খাবারে কি পুষ্টিগুণ আছে তা গুগলে সার্চ করে জানা সম্ভব। চাইলে দুইটি খাবারের মধ্যে তুলনাও করা যাবে। এর জন্য গুগল সার্চে গিয়ে খাবার দুটির নামের মাঝে ‘vs’ ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণ, burger vs pizza


  • সিরিয়াল কি সার্চ


নেট থেকে কোনো ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে অনেক সময়ই দেখা যায় তা ট্রায়াল ভার্সনে থাকে। ডাউনলোড করা সফটওয়্যারটি অ্যাক্টিভেট রাখতে হলে প্রয়োজন হয় সিরিয়াল কি। গুগল দিয়ে এই সিরিয়াল কি খুব সহজেই খুঁজে বের করা যায়। সিরিয়াল কি’র জন্য সার্চের শুরুতে 94fbr কোডটি লিখে স্পেস দিয়ে যে সফটওয়্যারটির সিরিয়াল কি চান তার নাম লিখতে হবে। যেমন: 94fbr ESET


  • শুধু রেসিপি


যে কোনো রেসিপি বা খাবারের নাম লিখে সার্চ দিন। সার্চ বক্সের ঠিক নিচে ‘সার্চ টুলস’ নামে একটি অপশন আছে, সেখান থেকে উপাদান, রান্নার সময়, ক্যালরি ইত্যাদি দেখতে পাবেন। ডায়েটের দিকে খেয়াল রেখে যারা রেসিপি বানাতে চান এই টুলটি তাদের কাজের আসবে।


  • টস করা


যদি কোনো কারণে টস করা দরকার হয়, হাতের কাছে কয়েন নেই? সার্চ-বক্সে লিখুন ‘ফ্লিপ অ্যা কয়েন’। গুগল আপনার জন্য কয়েন টস করে র্যা ন্ডম ফলাফল জানিয়ে দেবে।

ডার্ক ওয়েবে কিভাবে প্রবেশ করবেন? (পোস্ট টি সম্পূর্ণ শিক্ষার উদ্দেশ্যে)

ডার্ক ওয়েব হলো ডিপ ওয়েবের সেই অংশ যেখানে সকল রকম অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ হয়। তাই আমি বলবো এই সব ওয়েবসাইটে না যাওয়াই ভালো। যদিও চলে যান তাহলেও কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু এখান থেকে কিছু ডাউনলোড বা কেনাকাটা না করাই উচিত। যদিও বই বা গান(যেগুলো সারফেস ওয়েবে পাবেন না) ডাউনলোড করলেও কোনো ক্ষতি থাকার কথা নয়। কিন্তু ভুলেও অস্ত্র বা ড্রাগ বা কোনো বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়বেন না যেনো FBI CIA-এর মতো সংস্থারা এই সব ওয়েবসাইটগুলিতে নজর রাখার চেষ্টা ক‍রে। একবার শোনা গিয়েছিল FBI নিজেরাই সুপারি কিলারদের নাম করে ফেক ওয়েবসাইট খুলে বসেছিল তাই সাবধান।
ডার্ক ওয়েবে কিভাবে প্রবেশ করবেন? (পোস্ট টি সম্পূর্ণ শিক্ষার উদ্দেশ্যে)
ডার্ক ওয়েবে কিভাবে প্রবেশ করবেন? (পোস্ট টি সম্পূর্ণ শিক্ষার উদ্দেশ্যে)
আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জানা যাক কিভাবে ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেস করবেন। প্রথম শর্ত হলো আপনাকে নিজেকে লুকিয়ে নিতে হবে অর্থাৎ নিজের IP Adress (Internet protocol Adress) লুকিয়ে নিতে হবে। ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেস করার জন্য onion নামের একটা নেটওয়ার্ক আছে। যা ডার্ক ওয়েবে এক্সেস করার গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও আরো কয়েকটা নেটওয়ার্ক আছে; তবে এটাই বেশি ব্যাবহৃত। এর url শেষ হয় .onion দিয়ে। আর এ নেটওয়ার্কে প্রবেশের একমাত্র উপায় Tor Browser যা আপনি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। পেজটিতে আপনার অপারেটিং সিস্টেম অনুসারে ডাউনলোড লিঙ্ক পাবেন। ডাউনলোডের পর ইন্সটল করে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। আপনি Tor নেটওয়ার্কের সাথে connect হয়ে যাবেন। এরপরই আপনি আপনার পছন্দের ওয়েবসাইটে যাবার জন্য তৈরি। আরে দাঁড়ান আপনার কাছে তো লিংক নেই। অ্যানড্রয়েড দের জন্য পদ্ধতিটা জেনে নিন তারপর না হয় লিংক এর দিকে নজর দেবেন।

অ্যানড্রয়েড ইউযারদের জন্য
আপনি যদি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইউয করেন তাহলে প্রথমে Google Play Store থেকে Orbot ডাউনলোড করে সেট আপ করে নিন। একটা ব্রাউজার ডাউনলোড করতে বলবে আপনাকে। সেটা ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। এই ব্রাউজারটার সাহায্যেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে ডার্ক ওয়েব এক্সেস করতে পারবেন।

কিছু লিংক
জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক-ও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে পাবেন। https://facebokcorewwi.onion/

ডার্ক দুনিয়ার সার্চ ইঞ্জিন
ডিপ সার্চ– http://xycpusearchon2mc.onion/
টর্চ — http://xmh57jrzrnw6insl.onion/

দ্য হিডেন উইকি
http://kpvz7ki2v5agwt35.onion/

আমেরিকার সিটিজেনশিপ চান বিনা ঝামেলায়??? দাম ১০০০০ ডলার
http://xfnwyig7olypdq5r.onion/

নেদারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইত্যাদি দেশের পাসপোর্ট, আইডেনটিটি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স চাই???
http://abbujjh5vqtq77wg.onion/

আরো লাগবে এইরকম আকর্ষনীয় সাইটের লিঙ্ক??? নিচের অ্যাড্রেসে গেলেই পাবেন ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজানো প্রচুর লিঙ্ক…
http://torlinkbgs6aabns.onion/
http://dppmfxaacucguzpc.onion/
ডার্ক ওয়েবে আপনাকে স্বাগতম।

বি.দ্রঃ পোস্ট টি সম্পূর্ণ শিক্ষার উদ্দেশ্যে। কোনোরূপ নীতিবিরুদ্ধ কাজের ক্ষেত্রে আমি দায়ী থাকব না।

আইপি এড্রেস কি এবং কিভাবে কাজ করে আইপি এড্রেস, এক নজরে দেখে নিন।

আইপি এড্রেস কি, কিভাবে কাজ করে আইপি এড্রেস, IP Address কি, IP Address হলো আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির একটি অনন্য পণ্য, IP Address দেখতে কেমন, Dynamic ip Address, Static ip Address, কিভাবে জানবেন আপনার আইপি এড্রেস
আইপি এড্রেস কি এবং কিভাবে কাজ করে আইপি এড্রেস, এক নজরে দেখে নিন।
“IP Address” কি শব্দটি আপনি বহুবার শুনেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। যতক্ষন পযন্ত আপনি না যানবেন IP Address কি, আসলে কিভাবে এটি কাজ করে থাকে বা আপনান যদি কোন আবছা ধারণা না থাকে। তবে চলুন জেনে নেই।

 IP Address হলো আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির একটি অনন্য পণ্য,যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার (বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস) এর সঙ্গে অন্য একটি ডিজিটাল ডিভাইস এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। IP Addressদ্বারা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত কোটি কোটি ডিজিটাল ডিভাইস চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান কোথায় তা বোঝা যায়। যেমন, কেউ যদি আপনাকে মেইল পাঠাতে চাইলে মেইল এড্রেস লাগবে একই অর্থে, একটি দূরবর্তী কম্পিউটার আপনার কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগের জন্য আপনার IP Address প্রয়োজন।

আইপি এড্রেস কি, কিভাবে কাজ করে আইপি এড্রেস, IP Address কি, IP Address হলো আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির একটি অনন্য পণ্য, IP Address দেখতে কেমন, Dynamic ip Address, Static ip Address, কিভাবে জানবেন আপনার আইপি এড্রেস

“IP” হল ইন্টারনেটর প্রোটোকল, তাই একটি IP Address হল একটি ইন্টারনেট প্রটোকলের Address। এর অর্থ হল ইন্টারনেট প্রটোকল এড্রেস। অতএব একটি ইন্টারনেট প্রটোকল এড্রেস হল অনলাইনের মাধ্যমে দুটি ডিভাইসে সংযোগ স্থাপনের জন্য, দুটি ডিভাইসের গন্তব্য চিহ্নিত করে ডাটা আদান প্রদানের একটি মাধ্যম।

IP Address দেখতে কেমন?
একটি IP Address এর চারটি ডিজিট থাকে, প্রত্যেকটিতে ১ থেকে ৩ ডিজিট (যাদের একত্রে একটি সেট বলা হয়) থাকে, আর ডিজিটের সেটকে আলাদা করার জন্য একটি ডট(.) থাকে। চারটি নম্বরের প্রত্যেকটি ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত হতে পারে। এখানে একটি উদাহরণ দেখে নিই IP Address কেমন হতে পারে-78.125.0.209। এই চার সংখ্যার সুনিপন দক্ষতায় ফলে, আমারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই এক-অপরের সাথে সংযোগ, বার্তা আদান-প্রদান করা সহ আরো অনেক কিছুই খুব সহজেই করতে পারি। এই সাংখ্যিক প্রোটোকল ছাড়া, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ওয়েবের মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদান করা অসম্ভব।


কিভাবে জানবেন আপনার আইপি এড্রেস?
খুবই সহজ পদ্ধতিতে আপনি আপনার আইপি এড্রেস জেনে নিতে পারেন। আপনার আইপি অ্যাড্রেস জানতে চাইলে www.google.com এ গিয়ে IP Address লিখে সার্চ করুন। সার্চের রেজাল্টের প্রথমেই আপনার আইপি এড্রেস পেয়ে যাবেন।

কাজের ধরণ:
আইপি অ্যাড্রেস স্ট্যাটিক বা ডাইনামিক হতে পারে। স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস কখনো পরিবর্তন করা যায় না। স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস দূরবর্তী কম্পিউটারের সাথে আপনার যোগাযোগ করার জন্য একটি সহজ এবং নির্ভরযোগ্য পন্থা। অনেক ওয়েবসাইট যারা ইন্টারনেট ইউজারদের বিনামূল্যে IP address এর সন্ধান, পরিসেবা প্রদান করে থাকে। আপনি যদি আপনার নিজের IP Address সম্পর্কে জানতে চান, আপনি গুগলে সার্চ দিয়ে সনাক্ত করতে পারেন।

Dynamic ip Address:
Dynamic IP addresses অস্থায়ী এবং একটি কম্পিউটারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। Static IP addresses সংখ্যায় কম হয়,কারণ অনেক ISPsরা্ এই সকল static IP Address থেকেই তাদের গ্রাহকদের মধ্যে এড্রেস শেয়ার করে দেয়। ফলে, কম খরচে বেশী গ্রাহককে সেবাপ্রদান করতে পারে।

Static ip Address:
যারা ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) অনলাইন গেমিং, খুব সহজে অন্যান্য কম্পিউটারের ব্যবহারকারীদের সহজে চিহ্নিতকরণ এবং তাদের সাথে সংযোগস্থাপন করতে চান, তাদের Static IP Address ব্যবহার করা উত্তম। Dynamic IP Address এ Dynamic DNS service ব্যবহার করেও আপনি একটি অস্থায়ী বা one-time IP Address ব্যবহার করে অন্যান্য কম্পিউটারের ব্যবহারকারীদের সহজে চিহ্নিতকরণ এবং তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন। এই প্রায়ই একটি অতিরিক্ত চার্জ যাতে কেটে না নেয়, অবশ্যই ISP এর সাথে চেক করে নেবেন।

আইপি এড্রেস মূলত কি কাজ করে থাকে? 
হোস্ট বা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস খুঁজে বের করে, যাতে আপনি অন্য সার্ভারের সাথে কানেক্ট করতে পারেন।
নেটওয়ার্ক ব্যাবহারকারির অবস্থান চিহ্নিত করা। প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেস একটা নির্দিষ্ট এলাকা বোঝায়। এলাকা ভেদে আইপি ভিন্ন হয়। আইপি অ্যাড্রেস মূলত বাইনারি (Binary) সংখ্যা। কিন্তু এটাকে আমরা কিছু সংখ্যা বা অক্ষরে দেখতে পাই।
মনে রাখবেন:
Static IP Addresses, Dynamic IP Addresses চেয়ে কিছুটা কম নিরাপদ বলে মনে করা, কেননা ডাটা মাইনিংয়ের ক্ষেত্রে এদের ট্র্যাক করা অনেক সহজ। সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার/পরিচালনা করলে আপনি যে ধরনেরই IP Address ব্যবহার করেন না কেন আপনার কম্পিউটার/অন্যান্য যে কোন ডিভাইসের নিরাপত্তা বা অন্য কোন সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকেনা।
তারা ডেটা মাইনিং উদ্দেশ্যে ট্র্যাক সহজ যেহেতু স্ট্যাটিক আইপি ঠিকানা, গতিশীল IP ঠিকানা চেয়ে কিছুটা কম নিরাপদ বলে মনে করা হয়.তবে, নিরাপদ ইন্টারনেট চর্চা নিম্নলিখিত এই সম্ভাব্য সমস্যা প্রশমিত সাহায্য করতে পারেন এবং সেটা ব্যাপার নয় আপনি ব্যবহার মোকাবেলার আইপি কি ধরনের আপনার কম্পিউটার নিরাপদ রাখা.

ট্যাগ: আইপি এড্রেস কি, কিভাবে কাজ করে আইপি এড্রেস, IP Address কি, IP Address হলো আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির একটি অনন্য পণ্য, IP Address দেখতে কেমন, Dynamic ip Address, Static ip Address, কিভাবে জানবেন আপনার আইপি এড্রেস।

ইন্টারনেট ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে ব্রাউজ করা যায় জেনে রাখা দরকার!

ইন্টারনেট ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে ব্রাউজ করা যায় জেনে রাখা দরকার!
ইন্টারনেট ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে ব্রাউজ করা যায় জেনে রাখা দরকার!
আমরা বিভিন্ন সময় ব্লগ এবং  টিউটোরিয়াল এর ওয়েবসাইট গুলোতে নিয়মিত ব্রাউজ করে থাকি। কিন্তু অবসর সময়ে যদি ওয়াই ফাই কানেকশন অথবা ইন্টারনেট না থাকে সে ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করতে পারি না।


তাই আপনাদের জন্য নিয়ে নিয়ে আসলাম এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট ছাড়াই ব্রাউজ করতে পারবেন আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট গুলো। এর জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে আপনার অফলাইন ব্রাউজার নামক একটি এপস।

গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন এই লিংক থেকে। Offline Browser


ডাউনলোড শেষে এপসটি ওপেন করুন।

ইন্টারনেট ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে ব্রাউজ করা যায় জেনে রাখা দরকার!

অতঃপর [ + ] এ ক্লিক করে নতুন ট্যাবে প্রবেশ করুন।

ইন্টারনেট ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে ব্রাউজ করা যায় জেনে রাখা দরকার!

এখানে সাইটের লিংক দেওয়ার একটি অপশন রয়েছে। আপনার পছন্দের সাইটের লিংকটি দিয়ে টাইটেল সহ ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলে পুরো সাইটটি ডাউনলোড হয়ে আপনার মোবাইলে প্রজেক্ট আকারে সেভ হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে আপনি চাইলে যে কোন সময় পরে নিতে পারবেন কোন প্রকার ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই।

ইন্টারনেট ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে ব্রাউজ করা যায় জেনে রাখা দরকার!

ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পোষ্ট এবং বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স গোলি করে নিতে পারেন। তাই আপনার মোবাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ডাউনলোড করেছেন তো?

ইংরেজি না জেনেও বিদেশিদের মত ইংরেজি অডিও সহ ভিডিও করার উপায়!

ইংরেজি না জেনেও বিদেশিদের মত ইংরেজি অডিও সহ ভিডিও করার উপায়!
হ্যালো ভাইয়েরা আজকে আমি আপনাদেরকে শিখাতে যাচ্ছি কিভাবে আপ্নারা ইংরেজি না জেনেও ইংরেজি অডিও সহ ভিডিও করতে পারবেন তাও সেটি হবে বিদেশিদের মতন। তো কথা বাদ দিয়ে শুরু করা যাক।
আমি প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে এই মাধ্যমে ভিডিও করলে মাইক লাগে না । আমি আজকে যে ওয়েবসাইট এর কথা বলতে যাচ্ছি তা হল Natural Readers। এর মাধ্যমে আপনারা টেক্সট কে ভইসে রূপান্তর করতে পারবেন। এখানে আপনি যেকোনো দেশের ইংরেজি ভাষা বলাতে পারবেন। এখানে ছেলে, মেয়ে এবং শিশু সকলের ভইস ব্যাবহার করা যায়। আর আজকে আমরা আমেরিকার একজন লোকের ভইস নিয়ে কাজ করব।
*বিদ্র- আপনি যদি ইংলিশ কিছুই না পারেন তাহলে Google Translate এর মাধ্যমে বাংলাকে ইংলিশ এ অনুবাদ করে কপি করুন ।
১। প্রথম ধাপে আপনাকে লিখতে হবে আপনি যা বলতে চান। (Google Translate এর মাধ্যমে পারলে নিজে লিখুন)
২। তারপরে দ্বিতীয় ধাপে NaturalReaders এ যান ।
৩। সেখানে গিয়ে আপনার লিখিত টেক্সট গুলো পেস্ট করুন।
৪। তারপর উপরে দেখতে পারবেন English Us- Gabriella লেখা । সেখানে ক্লিক করুন এবং আপনার পছন্দ মত একজন কে সিলেক্ট করুন।
৫। এরপরে সেখানে একটা নীল প্লেয় বাটন আছে। সেখানে ক্লিক করুন এবং শুনুন।
৬। এখন আপনার কম্পিউটারে Internet Download Manager ডাউনলোড করুন এটি ইন্সটল করার পরে যদি Natural Readers এ অই ভইস প্লেয় করেন তাহলে ডাউনলোড অপশন আসবে তখন ডাউনলোড করুন।
শেষ এখন শুধু আপনার ভিডিও তে ভইসটি জুড়ে দিন আর আপলোড করুন। ধন্যবাদ যদি আমার পোস্ট ভালো লাগে তাহলে আমাদের পেজে লাইক দিতে ভুলবেন না , অবশ্যয় সাবস্ক্রাইব করুন এবং শেয়ার করে অন্য দের জানার সুযোগ করে দিন।
Mobile IDM- https://play.google.com/store/apps/details?id=idm.full.free
ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/createch007/
ইউটিউব চ্যানেল – bit.ly/cstech12
Website Link- TheTechFreakz.com

দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?

দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?
দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?
আমাদের সংখ্যা পদ্ধতি ১০ ভিত্তিক। প্রায় সব কিছু পরিমাপের জন্যই আমরা দশমিক পদ্ধতির একক ব্যবহার করি। কিন্তু সময়ের ক্ষেত্রে আমাদের এককগুলো খুবই অদ্ভুত। ৩৬৫ দিনে ১ বছর, ৩০ দিনে ১ মাস, ৭ দিনে ১ সপ্তাহ, ২৪ ঘণ্টায় ১ দিন- কোনোটির সাথে কোনোটির মিল নেই। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে। ১ বছর বা ৩৬৫ দিন হচ্ছে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর একবার ঘুরে আসার সময়, ১ মাস বা ৩০ দিন হচ্ছে চাঁদের পৃথিবীকে আবর্তন করার সময় এবং ১ দিন হচ্ছে পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে পৃথিবীর প্রয়োজনীয় সময়।

কিন্তু এরপর দিনের ভগ্নাংশগুলোর পেছনে কোনো প্রাকৃতিক কারণ নেই। অর্থাৎ ১ দিন সমান যে ২৪ ঘণ্টা, এর পেছনে চন্দ্র, সূর্য বা পৃথিবীর আবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। ১ দিন সমান ২৪ ঘণ্টা না হয়ে ১০ ঘণ্টা বা ২০ ঘণ্টাও হতে পারত। কেন হয়নি? অথবা ১ ঘণ্টাকে কেন ৬০ মিনিট, বা ১ মিনিটকে কেন ৬০ সেকেন্ড ধরা হয়েছে? কেন ১০০ মিনিট বা ১০০ সেকেন্ড ধরা হয়নি? সংক্ষেপে উত্তরটি হচ্ছে, হাজার হাজার বছর ধরে এই পদ্ধতি চলে আসছে। কেন ঠিক এই ২৪ এবং ৬০ এর পদ্ধতিই চালু হয়েছে, তার পেছনে ইতিহাসবিদরা কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন।

দিন কেন ১২ ঘণ্টা?
দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?
সরল সূর্যঘড়ি
১২ ঘণ্টা ভিত্তিক দিন প্রথম ব্যবহার করতে দেখা যায় প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতায়। মিসরীয়দের তৈরি প্রথম দিকের সূর্যঘড়ি ছিল খুবই সাধারণ একটি কাঠি, যার ছায়ার দৈর্ঘ্য দেখে দিনের বিভিন্ন সময়ের হিসেব বের করা হতো। তবে আজ থেকে অন্তত ৩,৫০০ বছর পূর্বেই মিসরীয়রা উন্নততর সূর্যঘড়ি আবিষ্কার করে, যেখানে দিনকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়। কেন তারা দিনকে ১২ ভাগ করেছিল, ইতিহাসবিদরা তার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

কারো মতে, ১২ সংখ্যাটি নেওয়া হয়েছিল বছরের ১২টি মাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ১২ সংখ্যার ধারণাটি রাশিচক্রের ১২টি নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে প্রভাবিত। অবশ্য অনেকে মনে করেন, প্রাচীন মিসরীয়রা ব্যাবলনীয়দের ১২ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১২ ঘণ্টার দিন চালু করেছিল। তবে মিসরীয়রা ঘণ্টাগুলোকে আর মিনিট বা সেকেন্ডে ভাগ করেনি, এবং তাদের ঘণ্টাগুলোও গ্রীষ্মকালে বড় এবং শীতকালে ছোট হতো।
দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?
১২ ঘন্টা সময় বিশিষ্ট সূর্যঘড়ি
প্রাচীন চীনারাও দিন এবং রাতকে পৃথক পৃথক ১২ ঘণ্টায় হিসেব করতো, যা দ্বৈত ঘণ্টা নামে পরিচিত ছিল। তবে চীনে একইসাথে আরেকটি পদ্ধতিও চালু ছিল, যেখানে দিনকে ১০০টি ভাগে ভাগ করা হতো। প্রতিটি ভাগকে চীনা ভাষায় ‘কে’ বলা হতো। কিন্তু ১০০ সংখ্যাটি ১২ এর মতো ৩ দ্বারা বিভাজ্য না হওয়ায় দুই পদ্ধতির মধ্যে সময়ের রূপান্তর জটিল ছিল। ফলে পরবর্তীতে ১৬২৮ সালে ১০০ ভাগকে সংশোধন করে ৯৬ ভাগে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ৯৬, ১২ এর গুণিতক হওয়ায় দুই পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় করা সহজ হয়।

রাত কেন ১২ ঘণ্টা?

দিনের বেলাকে সূর্যঘড়ির সাহায্যে ১২ ভাগে ভাগ করা সম্ভব হলেও রাতে তা সম্ভব ছিল না। ফলে প্রাচীন মিসরীয় জ্যোতির্বিদরা রাত্রিবেলাকে ভাগ করার জন্য নক্ষত্রের সাহায্য নিতেন। তারা সে সময় ডেকান্স নামে ৩৬টি নক্ষত্রপুঞ্জকে ব্যবহার করতেন, যার মধ্যে ১৮টি রাত্রিবেলা দৃশ্যমান থাকতো। এর মধ্যে ৩ করে ৬টিকে দেখা যেত সন্ধ্যা এবং ভোরের আলো-আঁধারির সময়টুকুতে, আর বাকি ১২টি দেখা যেত গাঢ় অন্ধকারের সময়ে। এই ১২টি নক্ষত্রের উদয়ের সময়ের মাধ্যমেই মিসরীয়রা রাত্রিবেলাকে ১২টি ভাগে ভাগ করত।

নক্ষত্র ব্যবহার করে রাতের ঘণ্টাগুলোর দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের এই পদ্ধতির নমুনা সে সময়ের কিছু কফিনের ঢাকনাতেও পাওয়া গেছে। সম্ভবত মিসরীয় বিশ্বাস করত, মৃত ব্যক্তিরও সময়ের হিসেব রাখার দরকার হতে পারে। তবে এ পদ্ধতিতে বছরের বেশিরভাগ সময়ই রাতের ঘণ্টাগুলো এখনকার ১ ঘণ্টার সমান হতো না। সেগুলো হতো প্রায় ৪০ মিনিট দীর্ঘ।
দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?
রাতের বেলা ডেকান্স তারকাপুঞ্জের চিত্রায়িত দৃশ্য

২৪ ঘন্টার একীভূত দিবারাত্রির ধারণা

পৃথক পৃথকভাবে ১২ ঘণ্টার দিন এবং ১২ ঘণ্টার রাত নির্ধারণের পর ২৪ ঘণ্টার দিনরাত্রির ধারণাটি তৈরি হয়। কিন্তু বছরের সব সময় সমান দৈর্ঘ্যের ঘণ্টার কৃত্রিম ধারণাটি প্রথম ব্যবহার হতে দেখা যায় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে, যখন গ্রীক জ্যোতির্বিদরা তাদের তত্ত্বীয় হিসেব-নিকেশের জন্য এ ধরনের আদর্শ সময়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ১২৭ থেকে ১৪৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রীক জ্যোতির্বিদ হিপারকাস সর্বপ্রথম সমান দৈর্ঘ্যের ২৪ ঘণ্টার দিন ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু চতুর্দশ শতকে ইউরোপে যান্ত্রিক ঘড়ি আবিস্কার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার প্রস্তাব কার্যকর হয়নি।

১ ঘণ্টায় কেন ৬০ মিনিট?

সংখ্যাপদ্ধতি

আমাদের ১০ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি এসেছে হাতের ১০টি আঙ্গুল ব্যবহার করে গণনা করার সুবিধার্থে। কিন্তু আজ থেকে অন্তত ৫,০০০ বছর আগে, সুমেরীয় সভ্যতায় জটিল গাণিতিক এবং জ্যামিতিক হিসাবের জন্য দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির পরিবর্তে ১২ এবং ৬০ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করতো। ১০ ভিত্তিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা হলো, ১০ কে শুধুমাত্র ২ এবং ৫ ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে ভাগ করা যায় না। সেই তুলনায় ১২ কে ২, ৩, ৪, ৬ দ্বারা এবং ৬০ কে ২ থেকে ৬ পর্যন্ত সবগুলো সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় বলে এসব পদ্ধতিতে ভগ্নাংশের কাজ হিসেব করা বেশ সহজ ছিল।

দিন কেন ২৪ ভিত্তিক, আর ঘন্টা-মিনিট কেন ৬০ ভিত্তিক?
কফিনের ভেতরে পাওয়া সময়ের হিসাব
এছাড়াও সুমেরীয়রা এবং পরবর্তী ব্যাবলনীয়রা হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে বাকি চারটি আঙ্গুলের তিনটি করে বিভাজন হিসেব করে এক হাতে মোট ১২ পর্যন্ত গণনা করত। এক হাতের ১২টি সংখ্যাকে অন্য হাতের ৫টি আঙ্গুল দ্বারা গুণ করলে দুই হাতে সর্বোচ্চ ৬০ পাওয়া যায়। এটিও মিনিট-সেকেন্ডে ৬০ সংখ্যাটি নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে।

জ্যামিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা:

সুমেরীয় সভ্যতার পতনের পর খ্রিস্টপূর্ব অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্যাবলনীয়রা কোণ পরিমাপের জন্য ডিগ্রী আবিস্কার করে। সে সময় তাদের ধারণা ছিল পৃথিবী ৩৬০ দিনে একবার সূর্যকে আবর্তন করে। অর্থাৎ যদি প্রতিদিনের কৌণিক আবর্তনকে ১ ডিগ্রী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তাহলে পূর্ণ আবর্তনে ৩৬০ ডিগ্রী সম্পন্ন হয়। ইতিহাসবিদরা ধারণা করেন, এখান থেকেই বৃত্তের ৩৬০ ডিগ্রীর ধারণাটি আসে। বৃত্তের এক ষষ্ঠাংশ, অর্থাৎ ৬০ ডিগ্রী প্রকৃত কোণ গঠন করে। অর্থাৎ ৬০ ডিগ্রী করে বৃত্তের অভ্যন্তরে ছয়টি ত্রিভুজ আঁকলে প্রতিটি ত্রিভুজ সমবাহু হয়। এ কারণে তখন থেকেই জ্যামিতি এবং জ্যোতির্বিদ্যায় ৬০ সংখ্যাটির বিশেষ গুরুত্ব ছিল।

৩৩৫ থেকে ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বের মধ্যে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের বিশাল এলাকা বিজয়ের ফলে ব্যাবিলনের জ্যোতির্বিদ্যা গ্রীসে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ইসলামের আবির্ভাবের পর মুসলিম বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদরাও রোম এবং ভারত থেকে ১২ এবং ৬০ ভিত্তিক সময় পরিমাপের পদ্ধতি গ্রহণ করেন। এভাবে ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী এই পদ্ধতি বিস্তার লাভ করে।

ফিচার ইমেজ- WallDevil

ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)

ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)

২০ থেকে ৩০ বছর আগে, আপনার যখন কোন তথ্য খোঁজার প্রয়োজন পড়তো—তখন চলে যেতেন কোন বইয়ের লাইব্রেরী আর সেখানে প্রায় যেকোনো বিষয়ের উপর তথ্য পাওয়া যেতো। কিন্তু আজকের দিনে আমরা কি করছি—বসে পড়ি কোন কম্পিউটার ডিভাইজের সামনে আর অনলাইনের সাথে যুক্ত হয়ে যেকোনো তথ্য খুঁজে বেড় করি, যা পৃথিবীর যেকোনো লাইব্রেরী থেকে অনেক বেশি পাওয়ারফুল। আপনি প্রায় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়, যেকোনো অবস্থায় এই তথ্য গুলো অ্যাক্সেস করতে পারেন—আর এটিই হলো দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। বর্তমানে আমরা ওয়েবের উপর এতোটাই বেশি নির্ভরশীল যে, আমরা ওয়েব ছাড়া বাঁচতে পারবো না। যাই হোক, এইতো মাত্র ২০ বছরের আগের কথা—যখন ওয়েব উদ্ভাবিত হয়েছিলো। কিন্তু অনেক কম সময়ের মধ্যে এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়। তো চলুন বন্ধুরা, দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সম্পর্কে সকল জানা-অজানা তথ্যের খোঁজ করতে আরম্ভ করি।

ওয়েব এবং নেটের মধ্যে পার্থক্য কি?
অনেকেই মনে করেন ওয়েব এবং ইন্টারনেট হলো একই বিষয়। আর যতক্ষণ আপনি এই ব্যাপারটি সম্পর্কে পরিষ্কার না হতে পারবেন, ততোক্ষণ টিউনটির সামনে এগোনো সম্ভব হবে না। তাই চলুন আগে এই বিষয়টি ভালকরে জেনে নেওয়া যাক।
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
দ্যা ইন্টারনেট—হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কম্পিউটারের একটি সুবিশাল নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটে অনেক কাজ হতে পারে (এগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন বলা হয়) এবং ওয়েব হলো তার মধ্যে একটি কাজ। যখন আপনি কাওকে কোন ইমেইল পাঠান, তখন আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন—কেনোনা আপনার ম্যাসেজটি একটি সংযোগের মাধ্যম দিয়ে অন্য কম্পিউটারে গিয়ে পৌছাচ্ছে। আবার আপনি যখন কারো সাথে চ্যাট করছেন তখনও আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন—কেনোনা আপনার ম্যাসেজ বারবার নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে প্রেরন এবং গ্রহন হচ্ছে। কিন্তু আপনি যখন আপনার ব্লগ আপডেট করেন বা গুগলে কোনকিছু অনুসন্ধান করেন, তখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ওয়েব। ইন্টারনেট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমার লেখা “ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে?” আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো পৃথিবী জুড়ে টেক্সট পেজস, ডিজিটাল ফটোগ্রাফস, মিউজিক ফাইলস, ভিডিওস, এবং এনিমেশনের এক বিরাট সম্ভার, যা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে পারেন। দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর সবচাইতে স্পেশাল বিষয়টি হলো, এর প্রত্যেকটি তথ্য একে অপরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকে। ওয়েব তৈরির সবচাইতে বেসিক উপকরন হলো টেক্সট পেজ (যেমন এই পেজটি), যা ওয়েবপেজ নামেও পরিচিত। একটি কম্পিউটারে থাকা অনেকগুলো ওয়েবপেজ সংগ্রহমালাকে বলা হয় ওয়েবসাইট। প্রত্যেকটি ওয়েবপেজে (সাথে এই পেজটিও) হাইলাইট করা বাক্যাংশ থাকে যাকে লিঙ্কস বলা হয় (অথবা হাইপার টেক্সট লিঙ্কস)। যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করার মাধ্যমে আরেকটি ওয়েবপেজে প্রবেশ করা যায়, আর এভাবে এই প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকে।

কীভাবে কম্পিউটাররা একে অপরের সাথে একই ভাষায় কথা বলে?
ইন্টারনেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো—ইন্টারনেটে থাকা প্রত্যেকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে পারে। আর এটাই হলো ইন্টারনেটের সবচাইতে খাস ব্যাপার। যদি পেছনের দিনের কম্পিউটার গুলোর দিকে ফিরে দেখা যায়, ১৯৬০, ১৯৭০, ১৯৮০ সালের কম্পিউটার গুলো নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করার ক্ষমতা ছিল বিরল ঘটনা। প্রত্যেকটি মেশিন আলাদা আলাদা প্রস্তুতকারী কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত ছিল এবং কেউই অন্য মেশিনের ভাষা বুঝতে সক্ষম ছিল না। ১৯৭০ সালের দিকের ব্যক্তিগত কম্পিউটার গুলোর একটি সাধারন প্রোগ্রাম চালানর মতোও ক্ষমতা ছিল না। প্রত্যেকটি কম্পিউটার শুধু সেই প্রোগ্রাম গুলোই চালাতে পারতো যা বিশেষভাবে তাদের জন্য লেখা হতো। ইমেইল এবং চ্যাটের মতো জিনিষ গুলো ছিল তখন অসম্ভব।
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
কিন্তু ১৯৮০ সালের দিকে আইবিএম নামক একটি বৃহৎ কম্পিউটার কোম্পানি তাদের নতুন ব্যক্তিগত কম্পিউটার উদ্ভবনের জন্য বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কম্পিউটার ক্লোন করে নেন এবং খুব শীঘ্রই বেশিরভাগ ব্যক্তিগত কম্পিউটার একই পদ্ধতিতে কাজ করতে আরম্ভ করে দেয়। এর পরে মাইক্রোসফট তাদের একটি সফটওয়্যার উদ্ভবন করে যার নাম হলো উইন্ডোজ। আইবিএম কম্পিউটার গুলোতে উইন্ডোজ চালু করানোর ফলে সকল কম্পিউটার গুলো একই প্রোগ্রামে চালানো সম্ভব হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন কম্পিউটার গুলোর একে অপরের সাথে কথা বলা এতটাও সহজ ছিল না। যেমন ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সাথে বড় কম্পিউটার মেশিন গুলো এবং বিজ্ঞানের গবেষণার কম্পিউটার গুলো সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতো না। তাহলে কীভাবে এই বিভিন্ন ভাষার কম্পিউটার গুলোর একে অপরের সাথে কথা বলানো সম্ভব হয়েছিল?

এই বিরাট সমস্যার সমাধান ঘটান একজন ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানিক—যার নাম টিম বার্নারস-লী। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি একটি ইউরোপিয়ান পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারে কাজ করতেন, যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আগত ব্যক্তিরা কাজ করতো এবং প্রত্যেকেই আলাদা ভাষার বেমানান কম্পিউটার দিয়ে কাজ করতো। ফলে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য গুলো শেয়ার করা সম্ভব ছিলনা। কারন তাদের কম্পিউটার গুলো একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম ছিল না। আর তখনই টিম বার্নারস-লী এক আশ্চর্য আবিষ্কার করলেন, যার ফলে প্রত্যেকটি কম্পিউটারের মাঝে কথা বলানো সম্ভব হলো।

এইচটিটিপি (HTTP) এবং এইচটিএমএল (HTML) এর মধ্যে পার্থক্য কি?
যাই হোক, পূর্বের কম্পিউটার গুলো অনেক বেমানান ছিল এবং তারা ASCII (American Standard Code for Information Interchange) পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষন করে রাখতো। আর একে “plain text” নামেও জানা যেতো। ASCII তে 0-255 নাম্বার গুলো বিভিন্ন অক্ষর, নাম্বার, এবং কীবোর্ড অক্ষর যেমন A, B, C, 1, 2, 3, %, &, এবং @ এর রুপান্তর হিসেবে কাজ করে। টিম বার্নারস-লী ASCII এর দুইটি বেসিক সিস্টেম ব্যবহার করে যা কম্পিউটার পরিভাষায় প্রোটোকল বলা হয়। এরপর তার ল্যাবের সকল কম্পিউটার এই দুই নিয়ম অনুসরন করাতে লাগলো এবং তিনি উপলব্ধি করলেন যে, কম্পিউটার গুলো তাদের মধ্যে সহজেই তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম হয়েছিলো।
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
তিনি প্রথম নিয়মটিকে নাম দিলেন এইচটিটিপি (হাইপার টেক্সট ট্র্যান্সফার প্রোটোকল) (HTTP)। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে দুইটি কম্পিউটার তাদের মাঝে কিছু আলাপ করে যেকোনো তথ্য বিনিময় করতে পারে। একটি কম্পিউটার (যাকে ক্লায়েন্ট বলা হয়, এবং যে প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলা হয়) আরেকটি কম্পিউটারের (যাকে সার্ভার বা ওয়েব সার্ভার বলা হয়ে থাকে) কাছে কোন তথ্য চেয়ে জিজ্ঞাসা করে একটি সাধারন ম্যাসেজের রূপে। এরপরে ক্লায়েন্ট এবং  সার্ভার একে অপরের সাথে কয়েক সেকেন্ড চ্যাট করে, ব্রাউজার সার্ভারের কাছে কোন তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে এবং সার্ভার যদি তা খুঁজে পায় তবে তা ব্রাউজারকে পাঠিয়ে দেয়। ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভারের মধ্যে এই এইচটিটিপি আলাপ অনেকটা “খাবারের টেবিলে লবণ পাস করার মতো”। অনেক সময় আপনার লবনের প্রয়োজন পড়ে এবং আপনি টেবিলে বসা অন্য কাউকে লবণদানিটি পাস করতে বলেন আর সে বলে “এই নাও তোমার লবণদানিটি”। এইচটিটিপি এই একইভাবে কাজ করে, এটি এমন একটি ভাষা যা প্রত্যেকটি কম্পিউটার জানে, এবং এর মাধ্যমে আলাপ করে কম্পিউটার গুলো একে অপরেরর সাথে ফাইলস শেয়ার করে।

এইচটিটিপির মাধ্যমে কোন ফাইলট কম্পিউটারের কাছে আসলে সেই ফাইলটিকে প্রদর্শন করানোর জন্য অবশ্যয় কম্পিউটারকে সেই ফাইলটি চিনতে হয়। তাই এখানে টিম বার্নারস-লী তার জিনিয়াস হওয়ার আরেকটি উদাহরণ দেখিয়েছেন। তিনি তথ্য শেয়ার করার জন্য একটি কমন ভাষার ব্যবহার করে যা এইচটিএমএল (HTML) নামে পরিচিত। এইচটিএমএল ASCII সিস্টেমের উপর নির্ভর, তাই যেকোনো কম্পিউটার এটি বুঝতে পারে। এইচটিএমএল এ রয়েছে কিছু স্পেশাল কোড যা ট্যাগ নামে পরিচিত। ওয়েব ব্রাউজার এই ট্যাগ গুলো পড়ে এবং বোল্ড ফন্ট, ইটালিক, হেড লাইনস, টেবিল, এবং ইমেজেস পরিদর্শন করে। আপনি চাইলে আমার এই ওয়েবপেজটির গোপন এইচটিএমএল কোড গুলো দেখতে পারেন। আপনার ওয়েব ব্রাউজার থেকে পেজটির উপরে View page source অপশনটিতে ক্লিক করুন, ব্যাস আপনি দেখতে পেয়ে যাবেন।

এইচটিটিপি (HTTP) এবং এইচটিএমএল (HTML) হলো ঐ সিস্টেম যার উপর নির্ভর হয়ে দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কাজ করে। এইচটিটিপি হলো একটি সাধারন উপায়—যার মাধ্যমে কম্পিউটার গুলো একে অন্যের কাছে ওয়েবপেজ চেয়ে অনুরোধ করে এবং এইচটিএমএল হলো সেই ওয়েবপেজ যা সকল কম্পিউটার পড়তে পারে এবং প্রদর্শন করতে পারে। আশা করি এই ব্যাপারে আর বুঝতে কোন অসুবিধা নেই। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে তা টিউমেন্টে বলতে পারেন।
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
যখন ওয়েব ব্রাউজার সার্ভারের সাথে সম্পর্ক করে
ওয়েব ব্রাউজার (ক্লায়েন্ট) এবং সার্ভার একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে না তো ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে আর নাইবা বাংলা ভাষা ব্যবহার করে—এরা ব্যবহার করে এইচটিটিপি ভাষা। আপনি যখন এই পেজটি আপনার ব্রাউজারে লোড করেছেন তখন আপনার ওয়েব ব্রাউজার এবং সার্ভারের মধ্যে কি কথা হয়েছিলো তা নিচে দেখুন।

» ওয়েব ব্রাউজার যা জিজ্ঞেস করেছিলো
  • GET /world-wide-web-explained HTTP/1.1
  • Host: bn.techubs.net,
  • User-Agent: Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; WOW64; rv:47.0) Gecko/20100101 Firefox/47.0
  • Accept: text/html,application/xhtml+xml,application/xml;q=0.9,*/*;q=0.8,
  • Accept-Language: en-gb,en;q=0.5,
  • Accept-Encoding: gzip,deflate,
  • Accept-Charset: ISO-8859-1,utf-8;q=0.7,*;q=0.7,
  • Keep-Alive: 300,
  • Connection: keep-alive,

» সার্ভার যা রিপ্লাই করেছিলো
  • HTTP/1.1 200 OK
  • Date: Mon, 08 Aug 2016 04:38:02 GMT
  • Server: nginx
  • Content-Encoding: gzip
  • Content-Type text/html; charset=UTF-8
  • Location https://bn.techubs.net/world-wide-web-explained

এই ম্যাসেজ গুলোর মানে নিশ্চয় জানতে চাইবেন? এখানে ব্রাউজার বর্ণনা করছে যে সফটওয়্যারের নাম ফায়ারফক্স। আমি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম রান করছি। তাছাড়া ব্রাউজার বঝাচ্ছে যে সে কি ধরনের ফাইলস সমর্থন করে এবং কোন ভাষা সমর্থন করবে। তাছাড়া আরো বোঝানো হচ্ছে কোন কম্প্রেস করা ফাইল এটি সমর্থন করবে (যেমন gzip)। এবং বোঝানো হচ্ছে (/world-wide-web-explained) এই পেজটি ব্রাউজারের প্রয়োজন। ব্রাউজারের উত্তরে সার্ভার বলছে যে সে nginx সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং সে একটি কমপ্রেসড ফাইল পাঠাচ্ছে (gzip)। তাছাড়া সার্ভার আরো বোঝাচ্ছে যে সে  text/html ফাইল পাঠাচ্ছে আর যা UTF-8 দ্বারা তৈরি।

এইচটিটিপি স্ট্যাটাস কোড
সার্ভার রিপ্লাই করার প্রথমেই দেখতে পারছেন যে, HTTP/1.1 200 OK ম্যাসেজটি পাঠিয়েছে। “200” হলো স্ট্যাটাস কোড—যার মানে সার্ভার বোঝাচ্ছে ব্রাউজার থেকে রিকোয়েস্ট করা ফাইলটি খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সার্ভার আরো কোড প্রদান করতে পারে। যেমন- যদি কোন ওয়েবপেজ বা ফাইল খুঁজে না পাওয়া যায় তবে সার্ভার 404 “Not Found” কোড পাঠিয়ে দেয়। আবার যদি কোন ওয়েবপেজ এক লিঙ্ক থেকে আরেক লিঙ্কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তখন 301 “Permanently moved” কোড সেন্ড করে। সার্ভার যদি ঠিক করার জন্য ডাউন থাকে তবে 503 “Service Unavailable” কোড পাঠিয়ে দেয় এবং ব্রাউজার তখন বুঝে যায় যে তাকে আবার ট্রাই করা প্রয়োজন।

ইউ আর এল কি? | URL
টিম বার্নারস-লী আরেকটি ব্রিলিয়ান্ট উপায় তার মাথায় ভেবে রেখেছিলেন—সেটি হলো যেকোনো কম্পিউটার থেকে যেকোনো কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষিত করা। তিনি টিউমেন্ট করেন যে, প্রত্যেকটি ওয়েবপেজের একটি আলাদা নাম থাকা দরকার (যেমন প্রত্যেকটি ঠিকানার জন্য আলাদা জিপ কোড থাকে), আর একেই ইউআরএল (URL) (a Universal or Uniform Resource Locator) বলে। ইউআরএল হলো কোন পেজের ঠিকানা যা, এই মুহূর্তে আপনি ব্রাউজারের বারে দেখতে পাচ্ছেন।
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
এই পেজের অ্যাড্রেসটি বা ইউআরএল হলো- https://bn.techubs.net/world-wide-web-explained/

চলুন এক সেকেন্ডে এর আসল মানেটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি…

“https” হলো “http” এর সিকিউর ভার্সন যাই হোক সে এক আলাদা বিষয়। “http” মানে হলো দুইটি কম্পিউটার এই প্রসেস ব্যবহার করে একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করে।
bn.techubs.net হলো একটি ঠিকানা বা আমার কম্পিউটারের ডোমেইন নাম।
/world-wide-web-explained হলো সেই পেজ যা এখন আপনি আমার ওয়েব সার্ভার থেকে পড়ছেন।
আর এই সকল বিষয় গুলোকে একত্রিত করে দিলে এটি কম্পিউটারকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, অনুরোধ করা পেজটি কোন স্থানে আছে, কি পদ্ধতি ব্যবহার করে তা বিনিময় করা যাবে এবং কীভাবে পেজটি প্রদর্শন করা যাবে। আর ঠিক এভাবেই দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কাজ করে।

কীভাবে আপনার নিজের ওয়েবসাইট সেট করবেন?
একজন বিখ্যাত অ্যামেরিকান পাবলিশার “বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন” একদা বলেছিলেন যে, জীবনে দুটি জিনিষ অত্যাবশ্যক, একটি হলো মৃত্যু এবং আরেকটি ট্যাক্স পে করা। কিন্তু আজকের দিনে সেই লিস্টে—ওয়েবসাইট যুক্ত করা প্রয়োজনীয়। কেনোনা আজ বিজনেস থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজনীয়। আজকের দিনে একটি ওয়েবসাইট অনেক শক্তিশালী একটি হাতিয়ার হতে পারে (টেলিভিশন থেকেও শক্তিশালী)। 
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
মানুষ এখন তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সকল খবরা খবর ইন্টারনেটে পাবলিশ করতে পছন্দ করে, নিজেদের ছবি, বিয়ের ছবি, কোন বিশেষ মুহূর্তের ছবি ওয়েবে সংরক্ষিত রাখতে পছন্দ করে (যেমন ফেসবুক ও টুইটার)। আপনি যদি মনে করেন যে, এসব থেকে আপনি পিছিয়ে রয়েছেন তবে এখনই সময় এসেছে আপনার নতুন একটি ওয়েবসাইট সেট করার। কিন্তু কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

» ওয়েবসাইট কি?
যেকোনো কারো জমা করে রাখা তথ্য যা আপনি যখন ইচ্ছা তখন অ্যাক্সেস করতে পারেন এবং যা সকল পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত থাকে বেসিক ভাষায় তাকে ওয়েবসাইট বলে। আপনি যদি কোন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন, তবে জানেন যে আপনার তৈরি করা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা সিভি ফাইল বারবার অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার কম্পিউটারের কোন ফোল্ডার বা ডিরেক্টরিতে সেভ করে রাখতে হয়। ওয়েবসাইটেও সকল ডকুমেন্ট গুলো একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডার বা ডিরেক্টরিতে সেভ করা থাকে, আর তা যেকোনো কেউ অ্যাক্সেস করতে পারে কোন প্রকারের বিশেষ পারমিশন ছাড়ায়। যে কম্পিউটারে ওয়েবসাইট কোন ডিরেক্টরিতে সেভ থাকে সেই কম্পিউটারকে সার্ভার বলা হয়। ওয়েবসাইটের মূল ডকুমেন্ট হলো এর টেক্সট পেজ। কিন্তু তাছাড়াও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ডকুমেন্ট (যেমন- ফটোগ্রাফ গুলো জেপ্যাক ফরম্যাটে, বিভিন্ন আর্ট ওয়ার্ক গুলো জিফ এবং পিএনজি ফরম্যাটে সেভ করা থাকে) সংরক্ষিত করা থাকে। অর্থাৎ বেসিক ভাবে ওয়েবসাইটে কোন তথ্য টেক্সট আকারে লেখা থাকে এবং সে তথ্য গুলোকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন গ্রাফিক্স সুন্দর ভাবে সজ্জিত করা থাকে (যেমন টেকহাবস!)—এবং সেগুলোকে একত্রে এমন একটি ফোল্ডারে রাখা হয় যা সকলে অ্যাক্সেস করতে পারে। আশা করছি ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে গেছেন।

» ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য আপনার কি প্রয়োজন?
তাত্ত্বিকভাবে বলতে গেলে আপনি আপনার টেবিলে থাকা কম্পিউটারটিতেই আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন, এবং সমগ্র পৃথিবীর কাছে তা অ্যাক্সেস অ্যাবলও করতে পারেন। আর এই সবকিছু করার জন্য আপনার কম্পিউটারের সিস্টেমে কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন আনতে হবে এবং আপনার ইন্টারনেট কানেকশান যাতে ইঙ্কামিং ট্র্যাফিক গ্রহন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে—আর আপনার কম্পিউটারকে ইন্টারনেট থাকা সকল সার্ভারের সাথে রেজিস্টার করতে হবে যাতে সার্ভার গুলো বুঝতে পারে যে আপনার ওয়েবসাইটটিকে ঠিক কথায় খুঁজতে হবে।

কিন্তু এখানে তিনটি প্রধান কারন রয়েছে, যার ফলে আপনি কখনোয় আপনার ওয়েবসাইট আপনার নিজের কম্পিউটারে হোস্ট করতে চাইবেন না। প্রথমত, আপনি আর নিজের কাজে কম্পিউটারটিকে ব্যবহার করতে পারবেন না। কেনোনা আপনার কম্পিউটার অন্য সকলের রিকুয়েস্ট পূরণ করতেই সর্বদা ব্যাস্ত থাকবে। দ্বিতীয়ত, আপনার কম্পিউটারকে সপ্তাহে ৭ দিন এবং দিনের ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট কানেকশানের সাথে চালু করে রাখতে হবে—যা আপনি কখনোয় চাইবেন না। এবং তৃতীয়ত, আপনার কম্পিউটার যদি পাবলিক করে দেন তবে হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ  করে অন্যান্য ফোল্ডার বা ডিরেক্টরি অ্যাক্সেস করে ফেলতে পারে, এতে আপনার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নষ্ট হবে।

তাই মানুষ ব্যাস্তবিক ভাবে তাদের ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য কোন কোম্পানি থেকে কম্পিউটার ভাড়া নিয়ে থাকেন। আর এই কম্পিউটার গুলো কোন বড় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার বা আইএসপি নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। এর মানে হলো টাকার বিনিময়ে কেউ আপনার ওয়েবসাইট তার নিজের কম্পিউটারে হোস্ট করার সুযোগ করে দেয়। সাধারনত, আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট সেটআপ করতে চান তাহলে, আপনাকে যেকোনো একটি হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে। হোস্টিং প্যাকেজ হলো আপনার এবং আইএসপি এর মধ্যে একটি বেসিক কন্ট্রাক্ট যেখানে বর্ণিত থাকে—আপনি কত টাকার বিনিময়ে কতোখানি ডিস্ক স্পেস এবং ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতে পারবেন (ব্যান্ডউইথ হলো একটি নির্দিষ্ট পরিমান, যা নির্দেশ করে প্রতিমাসে ঠিক কতোখানি তথ্য ইউজাররা আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাক্সেস করতে পারবে)।

হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার পড়ে আইএসপি আপনাকে একটি ডিফল্ট ডিরেক্টরি প্রদান করে যেমন “www.largewebhostingisp.com/yoursite4321” কিন্তু এই ডিরেক্টরিটি একদমই মনে রাখার জন্য সহজ নয়। তাই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি সহজে মনে রাখার জন্য নাম নির্বাচন করতে হবে—যাকে ডোমেইন নেম বলা হয়ে থাকে। ডোমেইন নেম হলো একটি সাধারন মনে রাখার জন্য সহজ অ্যাড্রেস যা ইউজাররা সহজেই মনে রাখতে পারে। ডোমেইন নেমকে কাজ করানোর জন্য একে আপনার আইএসপি থেকে দেওয়া ডিফল্ট ডিরেক্টরি বা আইপি তে পয়েন্ট করাতে হয় (যেমন- http://www.largewebhostingisp.com/yoursite4321)। সুতরাং ইউজাররা যখন তাদের ব্রাউজার অ্যাড্রেস বারে আপনার ডোমেইন নেম প্রবেশ করাবে—তখন তারা আসল অ্যাড্রেসে বা ডিরেক্টরিতে বা আইপিতে চলে যাবে, আর এই প্রসেস সকল সিনের মধ্যে গোপন থাকে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে−তাই আপনার চিন্তা করার কোন কারন নেই।

কিছু কিছু আইএসপি ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ফ্রেন্ডলি সিস্টেম দিয়ে থাকে—যেখানে হোস্টিং প্যাকেজ এবং ডোমেইন নেম একসাথে সেটআপ করা যায়। এবং তাদের একটি বাৎসরিক ফী প্রদান করার মাধ্যমে এসকল সার্ভিস অ্যাক্সেস করা যায়, সাধারন ৩,০০০-৬,০০০ টাকা খরচ করে একটি সাধারন ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব। যখন আপনি কোন ডোমেইন নেম কেনেন তখন আপনাকে সেই ডোমেইন নেমের বৈধ মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়—এবং আপনার সকল তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষিত করে রাখা হয়, যাকে হুইজ বলা হয়। আর এই জন্যই একই নাম আরেকজন ব্যক্তি আবার কিনতে পারে না।

কীভাবে আপনি ওয়েবপেজ তৈরি করবেন?
ডোমেইন নেম এবং ওয়েব হোস্টিং সেটআপ করা পাঁচ মিনিটের সমান কাজ। কিন্তু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে—কেনোনা এখানে আপনার অনেক তথ্য লেখার প্রয়োজন পড়বে (আপনি যে তথ্য গুলো সংরক্ষিত রাখতে চান), আপনাকে একটি চমৎকার পেজ লে-আউট তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে এবং আপনার তথ্য গুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ফটোগ্রাফ খোঁজার প্রয়োজন পড়বে। যাই হোক, সাধারনত তিনটি উপায়ে আপনি কোন ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন।

» র‍্যো এইচটিএমএল (Raw HTML)
কোন ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য বেসিকভাবে নোটপ্যাড বা ওয়ার্ডপ্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে—যা উইন্ডোজে ডিফল্টভাবে থাকে, এখানে ইচ্ছা মতো কোডিং করার মাধ্যমে ইচ্ছা মতো ওয়েবপেজ তৈরি করা সম্ভব। আর এভাবে আপনি অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে, কোন ওয়েবপেজ ঠিক কীভাবে কাজ করে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ওয়েবপেজ তৈরি করা একটু মুশকিলের কাজ—যদি আপনার সঠিক কোড জানা না থাকে তবে আপনি ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন না। একেকটা ওয়েবপেজ তৈরি করার চেয়ে আপনি রেডিমেড পেজ থেকে ওয়েবপেজ ইচ্ছামতো সাজিয়ে নিতে পারেন—আর একে বলা হয়ে থাকে ট্যামপ্লেট। ট্যামপ্লেট হলো আগে থেকেই ডিজাইন করে থাকা একটি এইচটিএমএল ফাইল, যেখানে আপনার তথ্য প্রবেশ করাতে পারবেন। আর এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ইনস্ট্যান্ট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু ট্যামপ্লেট ব্যবহারে অসুবিধা হলো আপনার সাইটটি আরো হাজার সাইটের মতো দেখতে হয়ে যাবে।

» WYSIWYG ইডিটর
ওয়েবপেজ তৈরি করার আরেকটি পদ্ধতি হলো কোন পেজ ইডিটর প্রোগ্রাম ব্যবহার করা, যা পেজ তৈরি করার জন্য গোপনে কোডিং করে। আর এই প্রোগ্রাম গুলোকে বলা হয়ে থাকে WYSIWYG (what you see is what you get) ইডিটর, কেনোনা এখানে আপনি ইচ্ছা মতো লে-আউট তৈরি করতে পারবেন, এবং সকল কোড আপনার পেছনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। অনেক জনপ্রিয় প্রোগ্রাম যেমন- ড্রিমওয়েভার ঠিক একই উপায়ে কাজ করে। তাছাড়া বেশিরভাগ ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ওপেন অফিস, ইত্যাদি আপনাকে কোন টেক্সট ডকুমেন্টকে সরাসরি ওয়েবপেজ কনভার্ট করার সুবিধা প্রদান করে থাকে, তাও মাত্র কয়েকটা মাউস ক্লিক করার মাধ্যমে।

» কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)
ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য সর্বশেষ পদ্ধতিটি হলো কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) ব্যবহার করে তৈরি করা। এই পদ্ধতি সকল টেকনিক্যাল বিষয় গুলোকে একপাশে রেখে আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে সাহায্য করে। আপনি খুব সহজেই কোন পেজ ট্যামপ্লেট তৈরি করতে পারবেন এবং ভিজুয়াল পরিবর্তনের মাধ্যমে যেকোনো স্টাইল সেট করতে পারবেন—আর একে বলা হয়ে থাকে থিমস। আপনি সহজেই যেকোনো পেজ এবং টিউন তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার সাইটে পাবলিশ করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস, ড্রুপাল, জুমলা ইত্যাদি সিএমএস গুলো একই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার সাইটে অনেক প্রকারের এক্সট্রা ফাংশন যুক্ত করতে পারেন—আর একে বলা হয়ে থাকে প্ল্যাগিন্স।

কীভাবে আপনার ওয়েবপেজ গুলো আপলোড করবেন?
একবার ওয়েবপেজ তৈরি করা হয়ে গেলে এবং ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা হয়ে গেলে, এখন প্রয়োজন পড়বে আপনার ওয়েবপেজ গুলো ওয়েব সার্ভারে আপলোড করার। ওয়েবপেজ গুলো ওয়েব সার্ভারে এফটিপি (FTP) (ফাইল ট্র্যান্সফার প্রোটোকল) ব্যবহার করে আপলোড করা হয়ে থাকে। এই প্রসেসটি অনেক সহজ, অনেকটা আপনার কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার হতে আরেকটি ফোল্ডারে ফাইল কপি করার মতো। ওয়েবপেজ গুলো আপলোড করার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইট কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাবলিক ভাবে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে। আপনি ইচ্ছা মতো যেকোনো ওয়েবপেজ ইডিট করতে পারবেন। কোন প্রকারের ভুল এড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার সম্পূর্ণ সাইটটি আপনার কম্পিউটারে ব্যাকআপ করে রাখতে পারেন। এতে আপনার সার্ভার ক্রাস করলেও আপনার তথ্য গুলো হারানোর ভয় থাকবে না।

কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রমোট করবেন?
আপনি অবশ্যই চাইবেন যে, অনেক মানুষ আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাক। তাই অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার সাইটের লিঙ্ক শেয়ার করার প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটটি নিবন্ধন করাতে হবে যেমন- গুগল, ইয়াহু, বিং, এবং আরো ডজন খানেক সার্চ ইঞ্জিন। কিছু সময়ের মধ্যে বা পরে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার সাইটটি গ্রহন করবে, যদি অন্যান্য সাইটে আপনার লিঙ্কটি এড করানো থাকে। কারন গুগলের রোবট সর্বদা সকল সাইট ভিসিট করতে থাকে নতুন কনটেন্ট গুলো ইনডেক্স করানোর জন্য।
ইন্টারনেট আর ওয়েব কিন্তু এক জিনিষ নয়, আপনি জানেন কি?(এতো তথ্য আগে কখনোই জানতেন না, গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি)
তো মোটামুটি এই ছিল আজকের বিষয় গুলো। আপনি যদি ভালোভাবে বুঝতে এবং জানতে চান যে কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় বা কীভাবে কাজ করে তবে সর্বউত্তম উপায় হলো নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেখা। আপনি আপনার কম্পিউটারে ওয়েবপেজ গুলো হোস্ট করে সহজেই সাইট বানাতে পারেন এবং আপনি যদি প্রফেশনাল কিছু ভেবে থাকেন তবে ভালো আইএসপি থেকে হোস্ট এবং ডোমেইন কিনে সাইট বানাতে পারেন। আপনি যদি চান তবে আমাকে মেইল করতে পারেন, আমি আপনাকে সাজেস্ট করে দেবো। আপনার যেকোনো প্রশ্নে চাইলে নিচে Comment করতে পারেন।

ক্রেডিট; TecHubs