চাঁদের বুকে শালগম ও তুলসী!

এবার নাসা ২০১৫ সালের মাঝে চাঁদে শালগম ও তুলসিগাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছে। এর উদ্দেশ্য হল এটি জানা যে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহে মানুষ বসবাস ও কাজ করতে পারবে কিনা সেটি জানা। একটি বাণিজ্যিক মহাশূণ্যযানের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের মাঝে চাঁদে এই গাছগুলো পাঠানো হবে। আর এই কাজটি সম্পন্ন করবে.
PLANT-MOON চাঁদের বুকে শালগম ও তুলসী!
চাঁদের বিরূপ আবহাওয়ায় গাছগুলোকে রক্ষা করার জন্য কফি রাখার ক্যানের আকৃতির কন্টেইনার ব্যবহার করা হবে। এছাড়া থাকবে ক্যামেরা, সেন্সর ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেগুলো গাছগুলোর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করবে। নাসা’র পরিকল্পনা হচ্ছে, এরকম একটি আবদ্ধ কন্টেইনার তৈরি করা যেটিতে ৫-১০ দিনের মাথায় বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারাগাছে পরিণত হবে।
চাঁদে অবতরণ করার পর বীজগুলোতে পানি দেয়া হবে। একটি পানি সংরক্ষণাগার থেকে পানি সরবরাহ করা হবে। এর ফলে বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটবে। আর কন্টেইনারের ভেতরে থাকা বাতাস ৫ দিনের মাঝে বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটানোর জন্য যথেষ্ঠ। গাছগুলোর বৃদ্ধি ৫-১০ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে।
নাসা মনে করে এই মিশনের মাধ্যমে দুটি উদ্দেশ্য সাধিত হবে। এক, গাছ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। দুই, চাঁদ জীবন ধারণের জন্য কতটুকু উপযুক্ত তা জানা যাবে। আর এর মাধ্যমেই হয়তো নিশ্চিত হওয়া যাবে, চাঁদ মানুষের বসবাস ও কাজ করার মত উপযুক্ত কিনা।
এর আগে গত বছর চীন চাঁদ কিংবা মঙ্গলে শাকসবজি উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছিল, যেগুলো নভোচারীদের খাবারের যোগান দিতে সক্ষম হবে।
Previous Post
Next Post
Related Posts