ঢাকা : এয়ার কন্ডিশনার নাম শুনলে মনের দৃশ্যপটে ভেসে ওঠে চারকোণা কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কথা। এই যন্ত্রটি যেমন দামী, তেমন আবার এর খরচও ব্যয়বহুল। কষ্ট করে কিনে ফেললেই কাজ শেষ না মাসে মাসে বৈদ্যুতিক বিল দেখলে এই যন্ত্রটিকে বিদ্যুৎ খাদক মনে হতেই পারে। এমন যদি হই এমন একটি এসি, যেটা কিনতে কোন টাকা লাগবে না আবার প্রতিমাসে বৈদ্যুতিক বিল দেয়ার চিন্তাও থাকবে না তাহলে কেমন হয়?
কোন রুপকথা নয়। বাংলাদেশের একজন উদ্ভাবক আশিষ পাল বানিয়েছেন এমন এক এসি যা বানাতে খরচের খাত নেই বললেই চলে। আর বিদ্যুৎ বিল তো দুরের কথা ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না এই এসি ব্যবহার করতে। পুরাতন পানির বোতল আর একটি কাগজের বোর্ড দিয়ে সহজেই বানানো যাবে এই এসি। এটি তৈরি করতে কোন প্রকৌশলীর দরকার হবে না। দরকার হবে না কোন ওয়্যারিং যন্ত্রাদি।
আশিষ পাল এই যন্ত্রটির নাম দিয়েছেন ‘ইকো কুলার।’ পুরাতন প্লাস্টিকের বোতলকে কাজে লাগিয়ে এর আগে ফুলের টব অথবা ফুলদানি, কলম দানি বানানো হয়েছে। তবে এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এই পুরাতন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে আশিষ পাল তৈরি করেছেন বিশেষ এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি।
কিভাবে এই এসি বানানোর পরিকল্পনা মাথায় আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে আশিষ পালের উদ্ভাবন ঘটনাটাও বেশ আকর্ষণীয়। মেয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা করতে শোনেন, দ্রুত গতিতে গ্যাস চলাচলের ফলে তা শীতল হয়। আবিষ্কারের আগ্রহ যাদের থাকে, তারা এ কথাতে নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা করতেই পারেন। আশিষ পাল ঠিক সেই কাজটি করেছেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে গ্রুপে ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত হলেও উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহ তার আগে থেকেই। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে স্বল্প খরচে এ বিদ্যুৎবিহীন ও পরিবেশবান্ধব এসি উদ্ভাবন করেছেন। তার এই উদ্ভাবনের পর গ্রে গ্রুপ কল্যাণমূলক কাজ হিসেবে গ্রামীণ বাংলার হাজার হাজার মানুষকে এই যন্ত্র তৈরি শেখানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এই এসির কার্যপ্রণালীর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি সহজভাবে। মুখের সামনে হাত রেখে ভেতর থেকে ফু দিন। কি হবে? গরম বাতাস বের হবে। আবার মুখটিকে একটু সরু করে বাতাস ছাড়ুন। দেখবেন হাতে ঠান্ডা বাতাস লাগছে। বাতাসটি একই ভাবে আসলেও ফলাফল ভিন্ন। তিনি ঠিক এই সুত্রকেই কাজে লাগিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানী বার্নলির তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। বোতলটিকে মাঝ বরাবর কেটে সরু অংশটি থাকবে ঘরের ভেতরে। খোলা অংশটি থাকবে বাইরে। ফলে কি হবে? বেশি বাতাস প্রবেশ করবে কিন্তু বের হবে সরু মুখ দিয়ে। যার কারণে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাবে এবং রুমের ভেতরটাও শীতল হবে।
বিনা খরচে বিদ্যুৎবিহীন এসির উদ্ভাবক আশীষ পাল
এভাবে বোতলগুলো কাগজের বোর্ডে সংযুক্ত করে কক্ষের জানালায় যুক্ত করে দিলেই রুমে প্রবেশ করবে ঠান্ডা বাতাস। এই যন্ত্র দিয়ে ঘরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমিয়ে আনা যায়। যখন ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা কমে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসে তা মানুষকে স্বস্তি দেয়।
এই পদ্ধতি শহরের জন্য তেমন কার্যকর নয়। তবে গ্রামে, যেখানে বাইরে বেশি বাতাস থাকে কিন্তু বাসার ভেতর কম বাতাস থাকে, সেখানে ব্যবহার করার জন্য উপযোগী এই বিনামূল্যে নিজে তৈরি করার উপযোগী যন্ত্রটি।
বাংলাদেশে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার প্রায় প্রতিটি ঘরেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইকো কুলার। অন্যান্য অনেক গ্রামে ইন্টেল এবং গ্রামীণের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা যন্ত্রগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। গ্রামীণ-ইন্টেল যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
কোন রুপকথা নয়। বাংলাদেশের একজন উদ্ভাবক আশিষ পাল বানিয়েছেন এমন এক এসি যা বানাতে খরচের খাত নেই বললেই চলে। আর বিদ্যুৎ বিল তো দুরের কথা ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না এই এসি ব্যবহার করতে। পুরাতন পানির বোতল আর একটি কাগজের বোর্ড দিয়ে সহজেই বানানো যাবে এই এসি। এটি তৈরি করতে কোন প্রকৌশলীর দরকার হবে না। দরকার হবে না কোন ওয়্যারিং যন্ত্রাদি।
আশিষ পাল এই যন্ত্রটির নাম দিয়েছেন ‘ইকো কুলার।’ পুরাতন প্লাস্টিকের বোতলকে কাজে লাগিয়ে এর আগে ফুলের টব অথবা ফুলদানি, কলম দানি বানানো হয়েছে। তবে এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এই পুরাতন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে আশিষ পাল তৈরি করেছেন বিশেষ এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি।
কিভাবে এই এসি বানানোর পরিকল্পনা মাথায় আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে আশিষ পালের উদ্ভাবন ঘটনাটাও বেশ আকর্ষণীয়। মেয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা করতে শোনেন, দ্রুত গতিতে গ্যাস চলাচলের ফলে তা শীতল হয়। আবিষ্কারের আগ্রহ যাদের থাকে, তারা এ কথাতে নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা করতেই পারেন। আশিষ পাল ঠিক সেই কাজটি করেছেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে গ্রুপে ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত হলেও উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহ তার আগে থেকেই। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে স্বল্প খরচে এ বিদ্যুৎবিহীন ও পরিবেশবান্ধব এসি উদ্ভাবন করেছেন। তার এই উদ্ভাবনের পর গ্রে গ্রুপ কল্যাণমূলক কাজ হিসেবে গ্রামীণ বাংলার হাজার হাজার মানুষকে এই যন্ত্র তৈরি শেখানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এই এসির কার্যপ্রণালীর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি সহজভাবে। মুখের সামনে হাত রেখে ভেতর থেকে ফু দিন। কি হবে? গরম বাতাস বের হবে। আবার মুখটিকে একটু সরু করে বাতাস ছাড়ুন। দেখবেন হাতে ঠান্ডা বাতাস লাগছে। বাতাসটি একই ভাবে আসলেও ফলাফল ভিন্ন। তিনি ঠিক এই সুত্রকেই কাজে লাগিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানী বার্নলির তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। বোতলটিকে মাঝ বরাবর কেটে সরু অংশটি থাকবে ঘরের ভেতরে। খোলা অংশটি থাকবে বাইরে। ফলে কি হবে? বেশি বাতাস প্রবেশ করবে কিন্তু বের হবে সরু মুখ দিয়ে। যার কারণে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাবে এবং রুমের ভেতরটাও শীতল হবে।
বিনা খরচে বিদ্যুৎবিহীন এসির উদ্ভাবক আশীষ পাল
এভাবে বোতলগুলো কাগজের বোর্ডে সংযুক্ত করে কক্ষের জানালায় যুক্ত করে দিলেই রুমে প্রবেশ করবে ঠান্ডা বাতাস। এই যন্ত্র দিয়ে ঘরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমিয়ে আনা যায়। যখন ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা কমে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসে তা মানুষকে স্বস্তি দেয়।
এই পদ্ধতি শহরের জন্য তেমন কার্যকর নয়। তবে গ্রামে, যেখানে বাইরে বেশি বাতাস থাকে কিন্তু বাসার ভেতর কম বাতাস থাকে, সেখানে ব্যবহার করার জন্য উপযোগী এই বিনামূল্যে নিজে তৈরি করার উপযোগী যন্ত্রটি।
বাংলাদেশে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার প্রায় প্রতিটি ঘরেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইকো কুলার। অন্যান্য অনেক গ্রামে ইন্টেল এবং গ্রামীণের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা যন্ত্রগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। গ্রামীণ-ইন্টেল যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দেখুনঃ ভিডিওতে: