ফল খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু ফল খাওয়া নিয়ে বহু মানুষের মাঝেই বিভ্রান্তি কাজ করে। দৈনিক কতখানি ফল খাবেন, কয়বার খাবেন এসব বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো ফল খাওয়ার বিষয়ে কয়েকটি তথ্য।
দিনে দুই থেকে চার বার ফল খান
সাধারণ নিয়মে আপনাকে দৈনিক দুই থেকে চারটি সার্ভিংয়ে ফল খেতে হবে। একটি সার্ভিং কতখানি হবে? এক্ষেত্রে এক কাপ বা সমপরিমাণ এক টুকরো ফল হতে পারে আদর্শ। এক্ষেত্রে আপনি যদি একবারে বেশি ফল খেয়ে ফেলেন তাহলে সার্ভিংয়ের পরিমাণ কমাতে পারেন। আবার একবারে কম ফল কেলে সার্ভিংয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে তা সমান করতে পারেন।
চাহিদা অনুযায়ী খান
ইচ্ছে করলেই আপনার প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ফলে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খাদ্যপ্রাণ আছে তেমন তা কার্বহাইড্রেটেরও উৎস। আর কার্বহাইড্রেট অধিক মাত্রায় গ্রহণ করা ক্ষতিকর হতে পারে। খাওয়ার পর আপনার দেহ থেকে সে বাড়তি ফল হজম করার বিষয়টিও চিন্তা করতে হবে। বাড়তি ফল আপনার দেহের ওজন বাড়াতে পারে। তাই আপনার দৈনন্দিন চাহিদা অনুযায়ী ফল খাওয়া উচিত। আপনি যদি শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়ে দেন তাহলে আগের তুলনায় ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এছাড়া রয়েছে আপনার উচ্চতা, ওজন, লিঙ্গ ও বয়সের বিষয়টি।
সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
আপনার দেহের কোষগুলোর কার্যক্ষমতা চালু রাখার জন্যই ফলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে সেজন্য মনে রাখতে হবে সময়ের বিষয়টিও। রাতে টিভি দেখার সময় আপনি যদি প্লেট ভর্তি ফল খেয়ে ফেলেন তাহলে তা দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক পরিশ্রমের আগেই ফল খাওয়া উচিত। আপনার খাওয়া কার্বহাইড্রেট যেন হজম হয়ে যায় সেজন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সন্ধ্যায় যদি আপনি ফল খেতে চান তাহলে তার পরিমাণ যেন বেশি না হয় সেজন্য খেয়াল রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের ফল খান
ফলে রয়েছে বহু ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও প্রিবায়োটিকস। এ কারণে আপনি কোন ধরনের ফল খাচ্ছেন তা লক্ষ্য করুন। যে ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে শুধু সেটি খেলেই হবে না। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখতে হবে অন্যান্য ফলও যেন খাওয়া হয়। আপনার প্লেটে সর্বদা বিভিন্ন ধরনের ফল রাখলে তা পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
--ফক্স নিউজ