যে ৬টি গাছ ঘরে রাখলে সারা জীবন সুস্থ থাকবেন!

যে ৬টি গাছ ঘরে রাখলে সারা জীবন সুস্থ থাকবেন!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রতি নিয়ত একটু একটু করে অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে আমাদের পৃথিবী। আর তা যোগ্য করে তুলছে অবশ্যই মানুষ। যে হারে গাছ কেটে সাফ করে ’সভ্যতার’ বিকাশ হচ্ছে, তাতে আর কতদিন এই সভ্যতা টিকে থাকবে সেটা নিয়েই বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কিছু দেশে তো কৌটোয় ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বাতাসও বিক্রি হচ্ছে। সেখানে দূষণের মাত্রা একটাই। আমাদের দেশও খুব একটা পিছিয়ে নেই। বেশ কয়েকটি বড় শহর অত্যাধিক দূষণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় একটু টাটকা বাতাস পাবেন কোথায়? উত্তর আপনার বাড়িতেই। কী ভাবে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া নাসা এক গবেষণার বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যা ঘরে রাখলে শুধুমাত্র অক্সিজেনই পাবেন না, সঙ্গে ঘরের মধ্যে থাকা দূষিত বাতাসও পরিষ্কার করার কাজ করবে এগুলি। 
দেখে নিনঃ

কোন কোন গাছ এখন থেকে সাজিয়ে রাখবেন ঘরের মধ্যে :
১) অ্যালোভেরা : বাংলা যাকে বলে ঘৃতকুমারি। ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ফর্মালডিহাইডের (টক্সিন) মতো ক্ষতিকারক জিনিস শোষণ করে নেয়। মাত্র এখটি গাছই ৯টি বায়োলজিকাল এয়ার পিউরিফায়ার ক্যানের মতো বাতাস পরিষ্কার করার কাজ করতে পারে।
২) ফিকাস : খুব ভালো বাতাস পরিষ্কার করতে পারে। বিশেষত, বাতাসের টক্সিন শুষে নেয় এবং টাটকা বাতাস দিতে থাকে। খুব একটা আলো বা পানির প্রয়োজন হয় না এই গাছের। তবে এখটি ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরে যদি ছোট বাচ্চা বা পোষ্য থাকে, তাদের থেকে গাছটিকে দূরে রাখবেন। কারণ এ গাছের পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।
৩) আইভি : নাসার বৈজ্ঞানিকদের মতে, প্রত্যেকটি ঘরে এ গাছ রাখা উচিত। কারণ ঘরের বাতাসের ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে ঘরে নিয়ে আসার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে।
৪) স্পাইডার প্ল্যান্ট : খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। ফলে এই গাছটি খুব বেশি পরিমানে অক্সিজেন দিতে থাকে। তা ছাড়া স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার জায়গার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে।
৫) স্নেক প্ল্যান্ট : এ গাছ সহজে মরে না। বিশেষ আলো বা পানিরও প্রয়োজন হয়। টক্সিন পরিষ্কার বা অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই। তার সঙ্গে সব থেকে ভালো ব্যাপার, রাতেও এরা অক্সিজেন ঘরের মধ্যে ছাড়তে থাকে। বেডরুমে রাখার জন্য সব থেকে আদর্শ গাছ এটা।
৬) পিস লিলি : বাতাসে উপস্থিত রাসায়নিক এবং টক্সিন নিমেষের মধ্যে শুষে নেয়। বিশেষত ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফর্মালডিহাইড জাতীয় টক্সিন শুষে বাতাস পরিষ্কার করে দেয়।
Previous Post
Next Post
Related Posts