আমরা প্রত্যেকেই চুলের যত্নে তথা সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন প্রকার তেল ব্যবহার করি। বাজারে যেসব চুলের তেল পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবগুলোই “খনিজ তেল” বা “মিনারেল ওয়েল”। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খনিজ তেল হাইড্রোকার্বন বা ক্যান্সারের অনুঘটক। মূলত খনিজ তেল খনিজ তেল একটি বিতর্কের বিষয়।
খনিজ তেল কী?
খনিজ তেল একপ্রকার বর্ণহীন, গন্ধহীন উচ্চতর আলকেন যা খনিজ উৎস হতে উৎপন্ন। সহজ ভাষায় খনিজ তেল হল এক প্রকার অপরিশোধিত তেল। এই তেল আপনার গাড়িতে ব্যবহৃত তেল অর্থাৎ পেট্রোলিয়ামের মতোই। মূলত পেট্রোলিয়ামকে পরিশোধিত করে গ্যাসোলিন এবং পেট্রোলিয়াম প্রস্তুত করা হয়। অতঃপর, একে পরিশ্রুত করার মাধ্যমে বিভিন্ন পিচ্ছিল প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়। এই খনিজ তেল আলকেন এবং সাইক্লোআলকেন। এর ঘনত্ব ০.৮ গ্রাম/সেমি^৩। বাণিজ্যিকভাবে এই তেলকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাধ্যমে নামকরণ করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একে সাদা তেল, তরল প্যারাফিন কিংবা তরল পেট্রোলিয়াম বলা হয়। মূল বিষয় হলো, অপরিশোধিত তেলে বিষক্রিয়া এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিভিন্ন পদার্থ রয়েছে। কিন্তু এই তেলকে সঠিকভাবে পরিশোধন করা হলে, তা ক্ষতিকারক পদার্থগুলো ধ্বংস করে ফেলে। তবে প্রকৃতপক্ষে, এই তেলকে সঠিকভাবে পরিশোধন করা হয় না। তাই বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী পদার্থগুলো ধ্বংস হয় না।
খনিজ তেল কম মূল্যের একটি পণ্য এবং খুব কম পরিমাণে উৎপাদিত হয়। হালকা এবং ভারী উভয় প্রকার খনিজ তেল বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
খনিজ তেলে তিন প্রকার পদার্থ বিদ্যমান। যথা –
১. আলকেন
২. ন্যাফথেনিক তেল (Nephthenic Oil) যা সাইক্লো আলকেন দ্বারা গঠিত;
৩. আরোম্যাটিক তেল যা আরোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন দ্বারা গঠিত।
খনিজ তেল কী ক্ষতিকর?
খনিজ তেল মূলত জৈব উপাদান। যদিও এটি অপরিশোধিত তেল হতে উৎপন্ন বলে এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। তবে এটি মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্থ করলেও মারাত্নক কোনো ক্ষতি হয় না। এই তেল ব্যবহার করলে মাথাব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আবার, এই তেল ব্যবহার করলে ভাল ঘুমও হয়। যদিও এই তেলের ক্ষতিকারক দিক বেশি, তবুও এটি সস্তা শ্যাম্পুর তুলনায় অনেকটা ভাল।