টুথব্রাশে জমে থাকে জীবাণু। ছবি : সংগৃহীত
টুথব্রাশ, বিছানার চাদর, তোয়ালে- নিত্যপ্রয়োজনীয়, নিত্যব্যবহার্য জিনিস থেকে হতে পারে বিভিন্ন অসুখ। কেননা বারবার ব্যবহারের পর এগুলো হয়ে পড়ে জীবাণুযুক্ত এবং ব্যবহারের অনুপযোগী।
টুথব্রাশে সাধারণত ১০ মিলিয়ন জীবাণু থাকে। এর মধ্যে থাকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফ্লু তৈরিকারী ভাইরাসও। এমনকি হেপাটাইটিস সি-র ভাইরাসও পাওয়া যায় টুথব্রাশের ভেতর। তাই একজনের ব্রাশ কখনোই আরেকজন ব্যবহার করবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘প্রতি তিন মাস পরপর টুথব্রাশ বদলানো উচিত। প্রতিবার ব্যবহারের পর ব্রাশকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর শুকাতে হবে। আর ব্রাশ সংরক্ষণ করার জন্য ঢাকনাওয়ালা ক্যাবিনেট ব্যবহার করতে হবে।’
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ‘এক মাস পরপর ডিশওয়াশার দিয়ে ব্রাশ পরিষ্কার করুন। পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ফুটান। এরপর ব্যবহার করুন।’ এমনটাই জানা যায় যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মিররে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে।
এ ছাড়া তোয়ালে ও চাদর বদলানোরও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আসুন জানি সেগুলোও।
তোয়ালে
গোসলের তোয়ালে মৃতকোষ শোষণ করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াগুলো শোষণ করে। স্যাঁতসেঁতে তোয়ালেতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। একজনের তোয়ালে অন্যজন ব্যবহার করা মানে এসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অন্যের শরীরেও ছড়িয়ে পড়া। তিনবার ব্যবহারের পর তোয়ালে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
চাদর
মানুষের শরীরের মৃতকোষ, ব্যাকটেরিয়া, দেহের ময়লা এসব জমে থাকে চাদরে। এটি শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রতি সপ্তাহে চাদর পরিষ্কার করা দরকার। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আলো-বাতাসপূর্ণ ঘর জীবাণু ধ্বংস করে।’ তাই চাদর ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে ঘরের জানালাগুলো খুলে দিন।