ইউটিউব সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর = পর্ব ১


ইউটিউবে নতুনদের মনে অনেক রকম প্রশ্ন উকিঝুঁকি দেয়।তাই কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে“ প্রশ্নের উত্তর প্রথমপর্ব শুরু করছি। চলুনপ্রশ্নের উত্তর গুলো দেখেনেই।

1.প্রশ্ন – অ্যাডসেন্স থেকে আমার ইউটিউবের উপার্জন ঠিক করে দেখতে পারছি না কেন?
উত্তর – ইউটিউবেরউপার্জন অ্যাডসেন্সের ড্যাশবোর্ড থেকে সরাসরি দেখে যায়না। এজন্য আপনাকে অ্যাডসেন্সের ড্যাশবোর্ড থেকে পারফরমেঞ্চ রিপোর্ট> প্রোডাক্ট > হোস্টেড অ্যাডসেন্স ফর কন্টেইন্ট–এ জান।সেখানে গেলেআপনার সবউপার্জনের বিবরন দেখতে পারবেন।

2.প্রশ্ন – ইউটিউবের উপার্জন বাড়াবো কি করে?
উত্তর – এটানিয়ে নতুনকরে বলারকিছু নাই।ইউটিউবের উপার্জনটা অনেককিছুর উপরেনির্ভর করে।যেমন সিপিসি, কোন কান্ট্রি থেকে ভিউ আসছে, ইত্তাদি ইত্যাদি। যদি আপনার ভিউয়ার usa থেকে আসে তাহলে আপনার সিপিসি বেষি হবে এবং ইনকাম ও বেশি হবে, আনি যদি বেশি ইনকাম ও সিপিসি বেশি পেতে ছান তাহলে usa যে ভিডিও গুলা বেশি দেখা হয় ঐ ভিডিও গুলি নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন, 

3. প্রশ্ন – কপিরাইট ভিডিও কি করে ইউনিককরবো?
উত্তর – প্রথমেই বলি কপি মানেইচুরি। এটা করা ঠিক নয়, আর আপনি যদি লাইফ টাইম একটি চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে নিজে ভিডিও করার চেসটা করেন, মনে রাখবেন আপনি যদি একটি ভিডিও তৈরি করেন তার থেকে সারা জীবন ইনকাম করতে পারবেন, কিন্তু কপিরাইট ভিডিওতে তা পারবেন না।

4. প্রস্ন – আমার একটি জিমেইলের একটি চ্যানেল ব্যান হওার পরে বাকি চ্যানেল গুলোও ব্যান হয়ে যায়। কারন কি?
উত্তর- এটা ইউটিউবের বহুল প্রচলিতএকটি নিয়মযা আমার নিজেরও খুব অপছন্দ। ধরুন আপনার একটি জিমেইলে ৪টি চ্যানেল আছে।এখন একটি যদি কোন কারনে ব্যান হয়ে যায়, তাহলে বাকি ৩টিও ব্যান হয়ে যাবে। এর থেকে পরিত্রান পেতে আপনি আপনার জিমেল দিয়ে প্রথমে যে চ্যানেল টি করবেন ঐ চ্যানেল এ কোন কাজ করবেন না, ওটা এমনি পড়ে থাকতে হবে, কারন ওটা হচ্ছে আপনার চ্যানেল এর প্রধান চ্যানেল ওই চ্যাণেল টা যদি ঠিক থাকে তাহলে সব চ্যানেল ঠিক থাকবে। আর না হয় আপনি সবগুলো চ্যানেল ভিন্ন ভিন্ন জিমেইলে করুন।অতঃপর একটি অ্যাডসেন্সে সব গুলো এসাইন করুন। এক জিমেইল একের অধিক চ্যানেল কি ভাবে করবেন তা নিয়ে একটি ভিডিও টিউটরিয়ার আছে আমাদের চ্যানেল এ আপনার প্রয়জন হলে দেখে নিতে পারেন।

5. প্রশ্ন – ইউটিউবের ভিউ বাড়াবো কি করে?
উত্তর- প্রথমেই বলি এই বেপারে খুব সহজ কোন পথে হাঁটবেন না।আমিও নিজেও শুরুর দিকে একটা সময় থেকে পিটিসিসাইট থেকে subscriber, like, view আনতে চাইতাম। ফলাফলছিল প্রচুরসময় নষ্ট করা। আর কিছুনা। এসইও করুন।এবং একটিব পেইজ, গ্রুপ, রেডিট, এ শেয়ার করুন, অথবা নিজে একটি পেইজবুক পেইজ খুলে মারকেটিং করুন, ওটাকে ভাল ভাবে একটিব করে তুলুন তার পর এটাতে শেয়ার করুন, আর ইউটিউবে এসইও করার মোটামুটি সবরকম টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, কয়েকটা দেখলে আপনার আইডিয়া হয়ে যাবে।

6.  প্রশ্ন – সিটিআর (CTR) কি?
উত্তর –  গুগল অ্যাডসেন্স তাদের এডের রেভিনিউ এবং প্রাপ্ত ক্লিকের একটি অনুপাত। এটিকে মুলত (click through rate) সিটিআর বলা হয়। আমার মতে এটি ১৫ - ২০ এর নিচে থাকা উচিত।সিটি আর ১৫ - ২০ এর উপরে উঠলে Invalid clicks এর ফরম পূরন করে ওদের কে জানাতে হবে, এটা কি ভাবে করবেন তা নিয়ে একটি টিউটরিয়াল আছে আমাদের চ্যানেলে, আর তা না হলে বিনা নোটিশে আপনার অ্যাডসেন্স ব্যান হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিকের কিছুনা। এটিকে কমিয়ে রাখারজন্য নিজে থেকে ফেক ক্লিক থেকে বিরত থাকবেন।নিজের শত্রু, পিটিসি ক্লিকার, রোবট ক্লিকার থেকে দূরে থাকবেন। নাহলে আমের (অ্যাডসেন্স) সাথে ছালা(উপার্জন) দুটিই হারাবেন। ভালো করে এসইও করুন, নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন, এমনিতেই ক্লিক পাবেন। ভিউ থাকলে ক্লিকও পাবেন। 

গুরুত্তপূর্ণ সফটওয়্যার – ইউটিউবের ভিডিও বানানোর জন্য আপনার প্রয়জনিও সফটওয়্যারের বেপারে একটু বলি।

Camtasia – এটা সব থেকে কাজের জিনিস। একটি মাত্র সফটওয়্যার দিয়ে আপনি স্ক্রীনরেকর্ড এবং এডিটের কাজ সেরে নিতে পারবেন। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিচিত অনেক প্রফেশনালরা এটাই ব্যাবহার করেন।

Wondershare video editor – ছোট খাটো চমৎকার একটি ভিডিও এডিট করার সফটওয়ার। আমার প্রথম জিবনের ভিডিও এডিটর। এটি দিয়ে আপনি যে কোন ছোট খাটো ভিডিও এডিটের কাজ অনায়াসে করতে পারবেন।

এছাড়া ও আপনি আমাদের ওয়েব সাইটে বিডিও ইডিট অপশন এ ওনেক গুলো সফটওয়্যার পাবেন।

আমি মুলত নতুনদের জন্য লিখেছি। যারা নতুন, তারা পড়লে তাদের মনের অনেক প্রশ্নই যেন দূর হয়ে যায়। ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে নতুনরা জানতে পারে। আমি যা জানি শেয়ার করার চেষ্টা করতেছি, আশা করি অভিজ্ঞরা কোন ভুল পেলে ধরিয়ে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন। উপরওয়ালা সবাইকে ভালো রাখুক। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ্‌।
Previous Post
Next Post
Related Posts