কেন আপনি অনলাইন প্রফেশন শুরু করবেন কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে!!

কেন আপনি অনলাইন প্রফেশন শুরু করবেন কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে, আর্টিকেল লিখে আয়, গল্প লিখে টাকা আয়, পত্রিকায় লিখে আয়, ব্লগে লিখে আয়, কবিতা লিখে আয়, গল্প লিখে আয়, আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগ লিখে টাকা আয়, গল্প লিখে টাকা আয়, পত্রিকায় লিখে আয়, কবিতা লিখে আয়, ব্লগে লিখে আয়, গল্প লিখে আয়, আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগ লিখে টাকা আয়, গল্প লিখে আয় করুন, কেন আপনি অনলাইন প্রফেশন শুরু করবেন কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে
কেন আপনি অনলাইন প্রফেশন শুরু করবেন কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে
পেশা হিসেবে অনলাইন প্রফেশন একটি প্রতিষ্ঠিত খাত। অনলাইন পেশাজীবীদের মধ্যে কিছু এলিট প্রফেশন আছে। কনটেন্ট রাইটার প্রফেশনটিকে এলিট শ্রেণীতে ধরা হয়। আয়ের দিক থেকেও তারা সামনেরা কাতারে। তাই পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং একটা লোভনীয় প্রফেশনই বলা যায়। সবচেযে বড় বিষয় হচ্ছে, কনটেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনাকে লম্বা সময় দিতে হবে না। বরং স্বল্প সময়ে আপনি বিষয়টি শিখে নিতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটারদের জনপ্রিয়তার একটি কারণ হলো, ওয়েবে প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই কনটেন্ট প্রয়োজন। ব্লগিং, এফিলিয়েট যাই করতে যান কেন। কনটেন্ট আপনার লাগবেই। তাই ফ্রিল্যান্স/ আউটসোর্সিং সেক্টরে কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদা ব্যাপাক। তাই, কনটেন্টের গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনি ভাল মানের কনটেন্ট লিখতে না পারলে, কনটেন্ট রাইটার হায়ার করতেই হবে। কোন বিকল্প নাই।

আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হোন, তবুও আপনার কনটেন্টের প্রয়োজন। ধরুন টেমপ্লেট বা থিম বিক্রি করবেন, বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে (যেমন- থিম ফরেস্ট)। আপনাকে থিমটি সম্পর্কে লিখতে হবে। থিমের মার্কেটিং করতে গেলে আপনার কনটেন্টের প্রয়োজন। এসইও করতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাল ভাল কনটেন্ট প্রয়োজন। মোটকথা, প্রতিটা ক্ষেত্রেই লেখা-লেখির প্রয়োজনীয়তা থাকায় কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদাও অন্য ক্ষেত্রের তুলনায় একটু বেশিই। তবে আপনাকে অবশ্যই প্রফেশনাল মানের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। নতুবা, আপনি এই প্রফেশনে টিকতে পারবেন না। প্রতিযোগীতা এই খাতে কম হলেও আপনাকে যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

কনটেন্ট রাইটিং বলতে ইংলিশ কনটেন্ট লেখাকেই বুঝাচ্ছি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই ইংরেজীতে দুর্বল। তাই, মানসম্পন্ন কনটেন্ট রাইটার তুলনামূলক কম। আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন, কাজের অভাব এবং ক্যারিয়ার গড়তে সমস্যা হওয়ার কথা না।

আপনি যদি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শরু করেন। আপনার জন্য বেশ কিছু সম্ভাবনাময় খাত হাতছানি দিচ্ছে। সবগুলো আলোচনা এর থেকে কয়েকটা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

ব্লগিং (Blogging):

বর্তমানে অনলাইন জগতে ব্লগিং সবচেয়ে আলোচিত পেশা। সম্মানজনকও বটে। ব্লগিং-এর মাধ্যমে পুরো জীবনটাই বদলে দেয়া সম্ভব। এই পেশার মাধ্যমে সমাজে নিজের প্রভাব বিস্তার করাও সম্ভব। আর ব্লগাররা ভাল আর্ন করতে সক্ষম সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংক্ষেপে ব্লগিং হলো, একটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করা। এজন্য আপনাকে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে। এই কনটেন্টই আপনার সাইট বা ব্লগের প্রতি ভিজিটরকে আকৃষ্ট করবে। নিয়মিতভাবে প্রচুর কনটেন্ট পাবলিশ করলে, প্রচুর ভিজিটর পাবেন। তবে, কনটেন্টগুলো অবশ্যই ভাল এবং ইউনিক হতে হবে। ভাল কনটেন্টই মূলত ভিজিটর নিয়ে আসে। প্রচুর ভিজিটর আসলে আপনি বিভিন্ন অ্যাড প্রোগ্রাম দিয়ে আপনার ব্লগ থেকে আর্ন করতে পারবেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাড প্রোগ্রাম হল Google Adsense। এটা মূলত গুগলের একটা অ্যাড ক্যাম্পেইন। গুগল থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর, ব্লগে অ্যাড প্রদর্শন করতে পারবেন। যখন ১০০ ডলার হবে, তখন আপনি এটা তুলতে পারবেন। একটা আনুমানিক হিসাব করা যাক। প্রতিদিন একটা করে কনটেন্ট পাবলিশ করলে ৩ মাসে হয় ৯০ টা। এই ৯০ টা কনটেন্ট যদি ভিজিটর এবং এসইও ফ্রেন্ডলি হয়, তাহলে এগুলো আপনার ব্লগ দিনে ১০০০ ভিজিটর আনতে সক্ষম। ১০০০ ভিজিটরের ১০% যদি আপনার সাইটে প্রদর্শিত অ্যাডে প্রবেশ করে, তাহলে আপনি ১০০ অ্যাড ক্লিক পাবেন। প্রতিটা কিলিকে যদি নূন্যতম .১০ ডলার করেও পান তাহলে ১০০ ক্লিকে প্রতিদিন ১০ ডলার হয়। এখন দিনে ১০ ডলার হলে মাসে হয় ৩০০ ডলার। ৩০০ ডলার বাংলাদেশী টাকায় এমাউন্টটা একেবারে কম না। এখানে যদি ২০০০ ভিজিটর হয়, তবে ইনকাম হবে দ্বিগুণ। আপনি যদি টানা ২ বছর কাজ করতে পারেন, আপনার আর্নিং এর যে ফিগারটা দাঁড়াবে, তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ ভাল ইনকামই বটে।

মার্কেট প্লেস (Market Places):

শুধু মার্কেট প্লেসের কাজের উপর ভিত্তি করেই অনেকে ভাল উপার্জন করছে। সারা পৃথিবীতে এর উপর ভিত্তি করে অনেক উদ্যোক্তা এবং কোম্পানি গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও এরকম উদ্যোক্তা এবং কোম্পানির সংখ্যা কম নয়। জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসগুলো যেমন oDesk, Elance, Freelancer, Fiverrr এগুলোতে অনেকে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে ‍তুলেছে। আমার পরিচিত কয়েকজন আছেন যারা Odesk এ ঘণ্টায় ১৮-২৮ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করেন। লিংকগুলো দিলাম। আপনি ইচ্ছা করলে দেখে নিতে পারেন।
  1. Amit Ranjan
  2. Asif I
  3. Sadiq Ahmad
আপনি যদি এক বছর কাজ শেখায় সময় দিতে পারেন। তাহলে আশা করা যায়, ন্যূনতম ১০ ডলার দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি দিনে ২ টা কনটেন্ট লিখেন, তাহলে আপনার আর্ন হয় ২০ ডলার। এমাউন্টটা কম না। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার ডিমান্ডও বাড়বে। বাড়বে আপনার উপার্জনও। আপনি যদি ২ বছর পরেও এই পরিমাণ টাকা আর্ন করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভালই হয়।

চাকুরীর সুযোগ (Job Facilities):

বর্তমানে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং কোম্পানির সংখ্যাও বাড়ছে। কোম্পানিগুলোতে পর্যাপ্ত দক্ষ লোকের অভাব। ইচ্ছা করলে ওই সমস্ত কোম্পানিতে চাকুরীও করতে পারেন। বেতন ভাল দেওয়া হয়। আপনি নূন্যতম ২৫০০০ টাকা থেকে শুরু করতে পারবেন। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আরও বেশিও হতে পারে। আপনি যদি দুই বছর কাজ শেখার পর, কোন কোম্পানিতে মাসে ২৫০০০ টাকা বেতনে চাকুরী পান, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনি এটাকে কম ভাবছেন? কখনওই না। বরং এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি আরও অনেক দূর যেতে পারবেন। সবে তো শুরু। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে চারদিকে আপনার ডিমান্ড বাড়বে। সেই সাথে আপনার ইনকাম গ্রাফটাও।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কে না জানে? সংক্ষেপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানে থার্ড পার্টির পণ্য বিক্রির জন্য প্রচার করা। এজন্য আপনাকে একটা ওয়েব সাইট তৈরি করতে হবে। তারপর কোম্পানির পণ্যের প্রচার করবেন। তখন পণ্যের উপর কনটেন্ট লিখতে হবে। এই কনটেন্টই অনলাইন জগতে পণ্যের ইনফরমেশন তুলে ধরবে। এবং এর মাধ্যমে থার্ড পার্টির পণ্য বিক্রি হবে। এই বিক্রির একটা অংশ আপনি কমিশন হিসাবে পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ ক্যারিয়ার গড়তে পারেন সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট সাইট Amazon-এর সাথে। অ্যামাজন ৪-৫% এর মতো কমিশন দেয়। ধরুন আপনার একটা ওয়েব সাইট আছে হাত ঘড়ির উপর। গড়ে প্রতিটি হাত ঘড়ির মূল্য ৮০ ডলার। আপনি দিনে ৫ টি করে হাত ঘড়ি বিক্রি করলেন। তাহলে দিনে ৪০০ ডলারের হাত ঘড়ি বিক্রি হল। তার মানে মাসে ১২০০০ ডলারের বিক্রি। এই ১২০০০ ডলারের ৫% হয় ৬০০ ডলার। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। কথা হলো, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারা নিজেরা কনটেন্ট লিখতে না পারলে কনটেন্ট রাইটার হায়ার করে। আপনার সুযোগটা সেখানেই। মার্কেটারদের সাথে টিম হয়ে কাজ করতে পারেন। অথবা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি তাদের লেখালেখি করে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রোডাক্ট রিভিউ লেখা জানতে হবে। সেলস পেজ এবং প্রোমেশনাল কনটেন্টের উপর হাত থাকতে হবে।

আমাদের দেশের অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে অনেক উপার্জন করছে। শুনে হয়তো আশ্চর্য হবেন, টাকার এমাউন্টটা মাসে লাখের ঘরে। যাই হোক, শীর্ষ ১০ টি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের নাম দিলাম নিচেঃ
এছাড়াও, আরো ২0 টা প্রতিষ্ঠানের লিস্ট দিচ্ছি যেগুলোর সাথে কাজ করে অনেকেই ক্যারিয়ার গড়চ্ছে।
পরবর্তীতে এই ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে। আপনি কিভাবে এগুলোতে কাজ শুরু করতে পারেন এবং এরা কিভাবে, কত আপনাকে পে করবে। সেটা সম্পর্কেও আলোচনা থাকবে। শুরুতে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও সামনে আরও স্পেসিফিক বিষয়ের উপর আলোচনা করার আশা রাখি। কনটেন্ট রাইটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে শুরুটা এখনই করা উচিত। আর সঠিক গাইডলাইন তো অবশ্যই লাগবে। গাইডলাইনের জন্য পরবর্তী পোষ্টগুলোর দিকে চোখ রাখুন।

TAG: কেন আপনি অনলাইন প্রফেশন শুরু করবেন কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে, আর্টিকেল লিখে আয়, গল্প লিখে টাকা আয়, পত্রিকায় লিখে আয়, ব্লগে লিখে আয়, কবিতা লিখে আয়, গল্প লিখে আয়, আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগ লিখে টাকা আয়, গল্প লিখে টাকা আয়, পত্রিকায় লিখে আয়, কবিতা লিখে আয়, ব্লগে লিখে আয়, গল্প লিখে আয়, আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগ লিখে টাকা আয়, গল্প লিখে আয় করুন, কেন আপনি অনলাইন প্রফেশন শুরু করবেন কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে
Previous Post
Next Post
Related Posts